Beta
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

ডাকসু নির্বাচনে কে কোন প্যানেলে

ducsu-building-180825
[publishpress_authors_box]

ভোটের বাকি আর ২২ দিন, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় শেষ; তার সঙ্গে সঙ্গে ডাকসু নির্বাচনের প্যানেলগুলো রূপ পেতে শুরু করেছে।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনের জন্য সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন প্যানেলের ঘোষণা আসতে শুরু করেছে।

ইসলামী ছাত্রশিবির, বাম সংগঠনগুলোর জোট, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সোমবারই তাদের প্যানেল ঘোষণা করেছে।

অভ্যুত্থানের পর গড়া সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ তাদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এখনও ঘোষণা করেনি। তবে ভিপি, জিএস পদে কারা লড়বেন, তা জানিয়েছে।

প্যানেল ঘোষণা এখনও করেনি বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলও; সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, তাদের সাংগঠনিক প্রধান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।

ছাত্রদল থেকে ভিপি প্রার্থী হতে ফরম তিনজন তুললেও তা জমা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় রয়েছে। ফলে প্যানেল চূড়ান্ত করতে ছাত্রদলের হাতে আরও একদিন সময় রয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না।

সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে; সেবার ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক বাদে বাকি সব পদে জয়ী হয়েছিল ছাত্রলীগ।

ছাত্র পরিষদের প্যানেল থেকে ভিপি হয়েছিলেন নুরুল হক নুর। তিনি এখন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি হিসাবে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয়।

সেবারের সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়াদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিবের পদে রয়েছেন।

শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) সরাসরি ভোটে নির্বাচন শুরু হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর। ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়ন পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছিল।

১৯৭৩ সালের নির্বাচনটি ব্যালট বাক্স হাইজ্যাকের পর পণ্ড হয়ে গিয়েছিল।

ডাকসুতে এর পরের নির্বাচনটি হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। সেবার জয়ী হয় জাসদ ছাত্রলীগের প্যানেল; তাতে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন মো. আখতারুজ্জামান। পরের বছর ভোট হলে তারা পুনর্নির্বাচিত হন।

১৯৮২ সালের নির্বাচনে বাসদ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

এরপর ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের জোট ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ জয়ী হয়। ভিপি হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন।

পরের বছর ১৯৯০ সালের নির্বাচনে আমানউল্লাহ আমান ও খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে ছাত্রদল পূর্ণ প্যানেলে জেতে। তার তিন দশক পরে ২০১৯ সালে ভোট হয়।

অভ্যুত্থানের পর বদলে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়ে গত ২৯ জুলাই তফসিল ঘোষণা করে।

তফসিল অনুযায়ী, মঙ্গলবার মনোয়নপত্র জমার সময় শেষের পর ২০ আগস্ট বাছাই করে ২১ অগাস্ট প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ অগাস্ট।

প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৬ অগাস্ট। তারপর ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসুর ২৮টি পদে ভোট দেবে ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২০ হাজার ৮৭১ জন, ছাত্রী ১৮ হাজার ৯০২ জন।

তারা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের পাশাপাশি হল সংসদের নেতাও নির্বাচন করবেন একই দিন ভোটের মাধ্যমে।

ভিপিতে আটকে ছাত্রদল

ছাত্রদল থেকে ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী হতে ফরম তুলেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম কাউসার ও আবিদুল ইসলাম খান।

ছাত্রদল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী হতে ফরম নিয়েছেন কবি জসীমউদদীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর বারী হামীম। এজিএস বা সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম তুলেছেন বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদ।

শেষ দিন সোমবার ফরম তুলে আবিদুল সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের প্যানেল এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

“আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদেরকে মনোনয়ন ফরম তুলতে বলেছেন। আমরা তুলেছি। তবে আমরা কে কোন পদে নির্বাচন করব, সেটা আমাদের নেতা ঠিক করে দেবেন।”

বাগছাস লড়বে বৈষম্যবিরোধী নামে

যে অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে গড়ে উঠেছিল সেই আন্দোলন।

সেই আন্দোলনে নেতৃত্বদাতারা অভ্যুত্থানের পর জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠনের পর ছাত্র সংগঠন হিসাবে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাসছাস। সেই সংগঠন ডাকসুতে পূর্ণ প্যানেল অংশ নিতে যাচ্ছে, তবে তাদের প্যানেলের নাম দিচ্ছে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান সোমবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

এই প্যানেল থেকে কে কোন পদে নির্বাচন করবেন, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের ভিপি-জিএস পদে লড়বেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে কাদের ঘোষণা দিয়েছেন, ডাকসুতে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদটি তারা ফাঁকা রাখবেন সানজিদা আহমেদ তন্বীর জন্য।

ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের এই শিক্ষার্থী গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে এককভাবে লড়ছেন। জুলাই আন্দোলনে আহত এই শিক্ষার্থী রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

কাদের ফেইসবুকে লিখেছেন, “তন্বী আমাদের জুলাইয়ে জ্বলে ওঠা বিক্ষোভের উৎস, তন্বী আমাদের জুলাইয়ে গর্জে ওঠা প্রতিরোধের অনুপ্রেরণা। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের সমর্থিত প্যানেলে ‘গবেষণা ও প্রকাশনা’ বিষয়ক সম্পাদক পদটি শূন্য রাখা হয়েছে এবং তন্বীর প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।”

উমামা ফাতেমা দেবেন স্বতন্ত্রদের নেতৃত্ব

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ভিপি প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র একটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন।  

এই প্যানেল থেকে জিএস পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া, এজিএস পদে সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহী থাকবেন বলে শোনা গেছে।

উমামা ফাতেমা সোমবার মনোনয়ন ফরম তুলে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যোগ্যতা দেখে আগামীকাল (মঙ্গলবার) প্যানেল ঘোষণা করব। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব একটি ডাকসু প্যানেল ঘোষণা করব।”

ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব পদে থেকে গত বছরের জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রাণ রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী উমামা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কও ছিলেন তিনি।

অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পর ঘোষণা দিয়ে ছাত্র ফেডারেশন ছাড়েন উমামা। তারপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্রের দায়িত্ব নিলেও কয়েক মাস পর তার সঙ্গেও সম্পর্কোচ্ছেদ করেন তিনি।

এনসিপির সঙ্গে কোনও সম্পৃক্ততা না রাখা উমামা সম্প্রতি জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে বাণিজ্যের কড়া সমালোচনা করে আলোচনায় আসেন।

ছাত্র পরিষদ দিচ্ছে পূর্ণ প্যানেল

এবারের নির্বাচনেও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে গতবারের নির্বাচনের মাধ্যমে আলোচনায় আসা ছাত্র অধিকার পরিষদ।

তাদের প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়বেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস পদে লড়বেন সাবিনা ইয়াসমিন। এজিএস পদে লড়বেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম।

সোমবার মনোনয়ন ফরম তোলার পর সংবাদ সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিন ইয়ামীন মোল্লা।

ছাত্র পরিষদ থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মোহাম্মদ শাকিব খান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান মজুমদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুক্তার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আশিক হৃদয় আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে রাকিব হোসেন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ইশতিয়াক আহমেদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিয়াম ইমন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে মোহাম্মদ রজবসালার খান শাওন প্রার্থী হচ্ছেন।

দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্য প্যানেলে শিবির

চার দশক পর ইসলামী ছাত্রশিবির ডাকসুতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচন করতে যাচ্ছে। প্যানেলে সংগঠনের নেতাদের পাশাপাশি নৃগোষ্ঠী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ ও ইনকিলাব মঞ্চের শিক্ষার্থীদেরও রেখেছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনটি।

ছাত্রশিবিরের প্যানেলে ভিপি প্রার্থী হচ্ছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে লড়বেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ। এজিএস পদে প্রার্থী হচ্ছেন মহিউদ্দিন খান।

এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে খান জসিম, পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আবদুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আরমান হোসাইন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ফাতেমা তাসনিম জুমা, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম সাব্বির, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে সাখাওয়াত জাকারিয়া, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সদস্য পদে সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, আনাস বিন মনিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষের সামনে সংবাদ সম্মেলনে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা করা হয়।

প্যানেল ঘোষণা করে শিবিরের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটা সম্মিলিত প্যানেল দেওয়ার জন্য।”

জোট বেঁধেছে বামরা

ডাকসু নির্বাচনে এক হয়ে লড়তে জোট বেঁধেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। বাম জোট থেকে ভিপি পদে লড়বেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, জিএস পদে লড়বেন ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমি ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে শামসুন নাহার হলের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বামদের জোটবদ্ধ প্যানেলের ঘোষণা দেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল।

তিনি জানান, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র মঞ্চ ও নির্দলীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের প্যানেল গঠন করা হয়েছে।

এককভাবে লড়বে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

চরমোনাই পীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন আলাদা প্যানেল নিয়ে নেমেছে ডাকসু নির্বাচনে।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ভিপি পদে লড়বেন। জিএস পদে লড়বেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান। এজিএস পদে লড়বেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করেন আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার তারা পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের প্রার্থীদের নাম জানাবেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত