মিরপুরের উইকেটকে কটাক্ষ করে অনেকে বলেন ধানক্ষেত। এটা কথার কথা। তাই বলে হোম অব ক্রিকেটে সত্যিই থাকবে পুঁইশাকের বাগান! দুই বছরের জন্য বিসিবির টার্ফ ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে যোগ দেওয়া টনি হেমিং মিরপুরে এসেই আবিষ্কার করেন এই শাকের বাগান। পাশে দেখেন পেপে গাছসহ সবজির চাষাবাদও।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটগুলো ঘুরে দেখার পর আউটারের পিচ দেখার সময় তার চোখ পড়ে পাশে থাকা একটি পুঁইশাকের বাগানে। প্রধান মাঠকর্মী রকির কাছে তিনি মজা করেই জানতে চান বিশ্বের অন্য কোনো স্টেডিয়ামে পিচের পাশে সবজির চাষ হয় কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তর ছিল না কারও কাছে।
২০২৪ সালে পূর্বাচলের স্টেডিয়ামে নতুন পিচ ও আউটফিল্ড তৈরির জন্য প্রথমবার বিসিবির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে যোগ দিয়েছিলেন টনি হেমিং। তখন তার মাসিক বেতন ছিল ৬,০০০ ডলার। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে এবার নতুন দায়িত্বে তার বেতন হবে মাসে ৮০০০ ডলার। বছরে বাংলাদেশি মুদ্রায় হেমিং বেতন পাবেন প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
পাশাপাশি হুট করে চাকরি ছাড়তে পারবেন না তিনি। এজন্য বিসিবিকে জানাতে হবে দুই মাস আগে। বছরে ছুটি পাবেন ৩০ দিন। আকাশপথে ভ্রমণের জন্য পাবেন ৫ হাজার ডলার।
টনি হেমিং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, পার্থ এবং তাসমানিয়া স্টেডিয়ামে কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৭–২০১৭ পর্যন্ত দুবাইয়ে আইসিসির প্রধান কিউরেটরও ছিলেন হেমিং। বাংলাদেশে প্রথম দফা নিয়োগের পর সিলেট স্টেডিয়ামে কাজ করেছেন তিনি।
তখন মিরপুরে গামিনির জন্য একপ্রকার ঢুকতেই পারেননি হেমিং। এবার সেই গামিনির সাম্রাজ্যই পেতে যাচ্ছেন তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর হেমিংয়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট মিরপুরের উইকেটের বদনাম দূর করা। এজন্য রবিবারের মত আজ সোমবারও মিরপুর পরিদর্শন করেছেন হেমিং। তার হাতের ছোঁয়ায় মিরপুরের পিচের বদলের অপেক্ষায় সবাই। পাশাপাশি পিচের পাশে সবজি চাষের মতো বিব্রতকর কিছুরও হয়তো দেখা মিলবে না আর।