ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার আবার হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন। এর আগেরবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এটাই তার সেখানে প্রথম সফর। সেই দ্বন্দ্বের কারণে দুই দেশের সম্পর্কে সাময়িক ফাটল ধরে এবং কিয়েভের যুদ্ধ প্রচেষ্টাও হুমকির মুখে পড়ে।
তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। জেলেনস্কির সঙ্গে অন্তত পাঁচজন ইউরোপীয় রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান থাকবেন। তারা একত্রিত হয়েছেন যাতে ট্রাম্পের চাপ কিছুটা লাঘব হয়। কারণ ট্রাম্প যেকোনও মূল্যে যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চূড়ান্ত চুক্তি করতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে, তা ইউক্রেনের ক্ষতির কারণ হলেও।
শনিবার জেলেনস্কি ও ট্রাম্প বৈঠকের ঘোষণা দেন। রবিবার জানানো হয়, এ বৈঠকে যোগ দেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন ও ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে।
ম্যাক্রোঁ রবিবার এক ভিডিও কনফারেন্স শেষে বলেন, আগামীকালের আলোচনায় আমাদের লক্ষ্য হলো ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শন করা। তিনি সতর্ক করে বলেন, আমরা যদি আজ রাশিয়ার সামনে দুর্বলতা দেখাই, তবে ভবিষ্যতের সংঘাতের ভিত্তি তৈরি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতির নেতারা শুধুমাত্র ট্রাম্প ও জেলেনস্কির আরেকটি বিবাদ ঠেকাতে যাচ্ছেন, এই গুজবকে গুরুত্বহীন হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “তারা কাল এখানে আসছেন জেলেনস্কিকে রক্ষা করার জন্য নয়। তারা আসছেন কারণ আমরা ইউরোপীয়দের সঙ্গে কাজ করছি। আমরাই তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”
রবিবার ব্রাসেলসে জেলেনস্কি ও ফন ডার লিয়েন ইউক্রেনের প্রধান ইউরোপীয় মিত্রদের নিয়ে “কোয়ালিশন অব উইলিং” বৈঠকে যোগ দেন।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট স্টাব সোশাল মিডিয়া এক্সে লেখেন, “কোয়ালিশনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইউক্রেনকে সমর্থন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় ঐকমত্য রয়েছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের যৌথ অবস্থান আরও জোরদার করছে।”
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা বলেন, “দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য এ মুহূর্তে আন্তঃআটলান্টিক ঐক্য অপরিহার্য।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার সদিচ্ছাকে স্বাগত জানান।
শনিবার ইউরোপীয় নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন বলেছেন, ‘চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি নেই।’ তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হলো আরও আলোচনা, যেখানে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শিগগিরই অংশ নেবেন।”
ওয়াশিংটনে সোমবারের বৈঠকের বাইরেও ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন কস্তা ও পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক।
নর্ডিক-বাল্টিক এইটের আট দেশের নেতারা; ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে ও সুইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, “ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে ইউক্রেন বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নয়। আর ইউরোপকে বাদ দিয়ে ইউরোপ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নয়।”
রবিবার সকালে ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে লেখেন, “রাশিয়া বিষয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে। অপেক্ষা করুন।” এর কয়েক মিনিট আগে তিনি গণমাধ্যমের সমালোচনা করে লেখেন, “যদি আমি রাশিয়াকে মস্কো ছেড়ে দিতে রাজি করাতে পারতাম, তথাকথিত ফেক নিউজ আর তাদের সহযোগী র্যাডিক্যাল ডেমোক্র্যাটরা বলত আমি ভয়ংকর ভুল করেছি। তাই তারা ফেক নিউজ! তারা আমার থামানো ছয়টি যুদ্ধ নিয়েও কিছু বলে না!!!”
আরেক পোস্টে তিনি লিখেন, “ফেক নিউজ সবসময় সত্য বিকৃত করে। আমি যাই করি বা বলি, তারা কখনও সৎভাবে রিপোর্ট করবে না। আলাস্কায় বাইডেনের বোকা যুদ্ধ নিয়ে আমার দারুণ বৈঠক হয়েছে। যুদ্ধটি হওয়াই উচিত ছিল না।”
গত শুক্রবার আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ট্রাম্প লেখেন, “সবাই একমত হয়েছেন যে এই ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ করার সেরা উপায় হলো সরাসরি শান্তি চুক্তি, কেবল যুদ্ধবিরতি নয়।”
তবে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে তথ্য খুবই সীমিত। তারা শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মাত্র ১২ মিনিট কথা বলেন, কোনো প্রশ্ন নেননি। জমি ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গও তোলেননি।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন, সোমবারের আলোচনায় অগ্রগতি হলে তিনি শুক্রবার পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে একটি সম্মেলন চান।
অন্যদিকে পুতিন রবিবার তার মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ও কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভকে ফোন করেন।
যুদ্ধবিরতি নাকি চূড়ান্ত চুক্তি
সফরটি ঘটছে এক সংকটময় মুহূর্তে। রাশিয়া দনেৎস্ক অঞ্চলে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। এরই মধ্যে ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক সম্মেলন শেষে বেরিয়ে এসেছেন এবং বহু বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে বেশি সমন্বিত অবস্থান নিয়েছেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ট্রাম্প তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসে পুতিনের সঙ্গে একমত হয়ে যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে একটি চূড়ান্ত শান্তিচুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অথচ জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতারা যুদ্ধবিরতি ছাড়া শান্তিচুক্তি অসম্ভব বলে আসছেন।
রবিবারও জেলেনস্কি তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “অস্ত্রের চাপের মধ্যে চুক্তি করা অসম্ভব। আগে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। তারপর দ্রুত চূড়ান্ত চুক্তির দিকে যেতে হবে। আমরা এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে কথা বলব।”
ইউরোপীয় নেতারাও জেলেনস্কির এই অবস্থানকে সমর্থন করেছেন। পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “বোমা পড়তে থাকা অবস্থায় শান্তি নিয়ে আলোচনা করা যায় না।”
নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে বিরোধ
গত ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে হওয়া বিরোধের একটি কারণ ছিল; ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বাস, জেলেনস্কি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বাস্তববাদী নন। তারা মনে করতেন, স্পষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না থাকলেও ইউক্রেনের একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া উচিত।
কিন্তু জেলেনস্কি এমন চুক্তি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এই কারণে ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এবং ‘মাগা’ সমর্থকদের বিরাগভাজন হন তিনি। তবে ইউক্রেন ও ইউরোপের কাছে এই নিশ্চয়তা ভবিষ্যতে রাশিয়ার আরেকটি আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সেই সময় যুক্তরাষ্ট্র যে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিচ্ছিল তা মূলত আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকারের সুযোগ করে দেওয়ার মতো এক প্রস্তাব ছিল। তবে পরিস্থিতি এখন কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে।
রবিবার ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ন্যাটোর অনুচ্ছেদ-৫ এর মতো সুরক্ষা দিতে পারে। অর্থাৎ একটি দেশ আক্রান্ত হলে ন্যাটোর সব দেশকে সেটিকে নিজেদের উপর হামলা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। উইটকফ বলেন, “রাশিয়াকে এটি প্রথমবারের মতো রাজি হতে দেখলাম।”
তবে রুবিও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি এই নিশ্চয়তার রূপ কী হবে। এনবিসির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এটি কিভাবে গঠন হবে, কী নামে ডাকা হবে, কীভাবে বাস্তবায়নযোগ্য নিশ্চয়তা থাকবে; এসব বিষয় আগামী কয়েকদিনে ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, ট্রাম্প যদি এতে রাজি হন, তবে তা হবে “একটি বিশাল ছাড়।” এতে হয়তো জেলেনস্কির একটি উদ্বেগ দূর হতে পারে। কিন্তু তার সব উদ্বেগের সমাধান নয়।
ভূমি বিনিময় প্রসঙ্গ
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে ভূমি বিনিময়ের বিষয়টি প্রধান বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
ট্রাম্প প্রকাশ্যে ও গোপনে ইউক্রেনকে শান্তির বিনিময়ে কিছু ভূমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। গত সপ্তাহে তিনি যখন পুতিনের সঙ্গে সম্মেলনের ঘোষণা দেন, তখন ইউরোপ ও ইউক্রেন উভয়ই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। কারণ আলোচনার আগে তিনি ইঙ্গিত দেন, কিয়েভকে রাশিয়ার দখলে থাকা ভূমি ছেড়ে দিতেই হবে।
তিনি বলেন, “কিছু ভূখণ্ড অদলবদল হবে, যা উভয়ের জন্যই ভালো হবে। আমরা কিছু ফেরত পাব, আর কিছু বদলে যাবে।” আলোচনার পরও তিনি একই কথা পুনর্ব্যক্ত করে যুক্তি দেন, “রাশিয়া একটি বিশাল শক্তি, আর তারা (ইউক্রেন) তা নয়।”
কিন্তু অতীতের মতোই, জেলেনস্কি এ প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ইউক্রেনের সংবিধানের উল্লেখ করে বলেন, দেশের কোনও ভূমি দেওয়া যাবে না। তার ভাষায়, “ইউক্রেনের ভূখণ্ড বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই সংবিধানে রয়েছে। এ বিষয়ে কেউ পিছু হটবে না, আর কারও পক্ষে তা সম্ভবও নয়।”
সম্মেলনের পর কোন কোন ভূমি বিনিময় হতে পারে তা নিয়ে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা গণমাধ্যমে ফাঁস হয়।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ট্রাম্প ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব জানিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, যদি ইউক্রেন দনেৎস্ক ও লুহানস্ক সম্পূর্ণভাবে ছেড়ে দেয়, তবে রাশিয়া যুদ্ধের বেশিরভাগ ফ্রন্টলাইন স্থির রাখবে। একই প্রস্তাব ফাইনান্সিয়াল টাইমসও প্রকাশ করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়া দক্ষিণের খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে ফ্রন্টলাইন স্থির রাখবে। এর বদলে রাশিয়া সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের কিছু এলাকা থেকে সরে দাঁড়াবে, যা তুলনায় অনেক ছোট এলাকা।
এই ধরনের একটি চুক্তি জেলেনস্কিকে বাধ্য করবে রাশিয়াকে এমন ভূমি দিতে, যা রাশিয়া এখনও দখল করতে পারেনি। আর বিনিময়ে পেতে হবে খুব সামান্য এলাকা। রয়টার্স জানায়, জেলেনস্কি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কিন্তু ট্রাম্প এ প্রস্তাবে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে, যা জেলেনস্কি ও ইউরোপের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি
রাশিয়ার বিমান হামলায় শনিবার রাতে দনেৎস্ক, খারকিভ ও খেরসন অঞ্চলে পাঁচজন নিহত ও কমপক্ষে ১১ জন আহত হন। জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের এক গ্রামে রুশ হামলায় ১৫ বছরের এক কিশোর নিহত হয়। তার বাবা-মা, ভাই-বোন আহত হন।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানায়, রাশিয়া ৬০টি ড্রোন ও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ইউক্রেন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪০টি ড্রোন ভূপাতিত করে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, তারা ইউক্রেন থেকে আসা ৪৬টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ভোরোনেঝ অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষে একজন আহত হন।
কিয়েভের কেন্দ্রীয় বাজারে মানুষের মধ্যে আশা খুব বেশি দেখা যায়নি। ৩৫ বছর বয়সী ইরিনা লেভচুক বিবিসিকে বলেন, “আগামীকালের বৈঠক নিয়ে ভালো কোনও প্রত্যাশা নেই।” তিনি খেরসন ফ্রন্টলাইন থেকে উদ্ধার করা তার কুকুর ‘সুসি’ নিয়ে বাজারে ফল কিনছিলেন।
তথ্যসূত্র : বিবিসি, টাইম ও ইউপিআই।