Beta
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

হোয়াইট হাউসে বৈঠকে কোন নেতা কী বললেন

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইউরোপের নেতারা।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইউরোপের নেতারা।
[publishpress_authors_box]

আলাস্কার ধারাবাহিকতায় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউরোপের নেতাদের।

ওই বৈঠকের পর জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আজকের বৈঠক ছিল এ পর্যন্ত সেরা এবং তিনি পুতিনের সঙ্গে সরাসরি দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার জানান, তিনি বৈঠকের ফলাফল নিয়ে “অত্যন্ত সন্তুষ্ট”। 

তার ভাষ্যে, আলোচনায় নেতাদের মধ্যে একটি “বাস্তব ঐক্যের অনুভূতি” প্রকাশ পেয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে ইউক্রেনকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।”

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আহ্বান জানান রাশিয়ার ওপর যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে। তিনি বলেন, “আমি কল্পনাও করতে পারি না যে পরবর্তী বৈঠক যুদ্ধবিরতি ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে।” মের্জ আরও জানান, পুতিন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সম্মতি দিয়েছেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মের্জের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে সমর্থন করেন। তবে তিনি আরও যোগ করেন, ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য ইউরোপীয় সামরিক বাহিনীর উচিত হবে সরাসরি “স্থলবাহিনী মোতায়েন” করা।

ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব তুলনামূলক সতর্ক অবস্থান নেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও “কোনও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি।” জেলেনস্কি ও পুতিনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, রুশ নেতাকে “বিশ্বাস করা যায় না।”

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো “কীভাবে নিশ্চিত করা যায় যে এটি আবার ঘটবে না। কারণ এটি প্রতিটি ধরনের শান্তিচুক্তির জন্য অপরিহার্য শর্ত।”

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন আবারও রাশিয়ার অপহৃত ইউক্রেনীয় শিশুদের ফেরানোর দাবি জানান। তিনি বলেন, “এই যুদ্ধের মানবিক মূল্য শেষ হওয়া চাই।”

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে ট্রাম্পকে অভিহিত করেন “বাস্তববাদী শান্তির মধ্যস্থতাকারী” হিসেবে। তিনি জানান, আগামী কয়েকদিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে নেতারা কাজ চালিয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত