ঢাকার বনশ্রী এলাকায় আনোয়ার হোসেন নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে সোনা ও নগদ অর্থ ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকের এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
স্বজনরা বলছেন, বাসার মূল গেইট তালাবদ্ধ থাকার কারণেই এই সুযোগ পেয়েছে ছিনতাইকারীরা। তাদের গুলি ও অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়ে আনোয়ার বাসার সামনে পড়ে থাকলেও বাড়িওয়ালা গেইটের চাবি না দেওয়ায় স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিতে পারেননি। পরে এলাকাবাসী আনোয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন আক্ষেপ করে বলেছেন, “দারোয়ান যদি গেট খুলে রাখতো, তাহলে আমার এই ঘটনা ঘটতো না।”
এই আপেক্ষ শুধু আনোয়ার হোসেনের একার নয়, রাজধানী ঢাকার বেশিরভাগ ভাড়াটিয়ারই। কারণ, রাত ১১টার মধ্যেই বেশিরভাগ বাড়ির মালিক মূল ফটক বন্ধ করে দেন। কোনও কারণে রাত ১১টার আগে বাসায় ফিরতে না পারলে, বা ১১টার পরে বের হতে হলে নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয় ভাড়াটিয়াদের।
রাত ১১টার মধ্যে বাসার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টিকে বাড়িওয়ালাদের স্বেচ্ছাচারিতা বলছেন অনেকে।
তারা বলছেন, অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের মানুষই মনে করেন না। তারা নিজেদের রাজা-বাদশাহ ভাবেন। এমনও মালিক আছেন, রাত ১১টার পর ‘কেয়ামত হয়ে গেলেও’ বাইরে যেতে দেন না। বাড়ির মালিকদের এই স্বেচ্ছাচারিতা দেখার কেউ নেউ। তাদেরকে এই মানসিকতা পরিহার করতে হবে।
তবে বাড়ির মালিকরা বলছেন, ভাড়াটিয়া ও ভবনের নিরাপত্তার জন্যই রাতে নির্দিষ্ট সময় পর মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়ির মালিকদের কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। বাড়ির মালিকরা নিজেদের সিদ্ধান্তে রাতে ফটকে তালা দিয়ে রাখেন।
কী ঘটেছিল আনোয়ারের সঙ্গে
ভুক্তভোগী আনোয়ারের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ। বনশ্রী ডি ব্লক ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির নিচতলার এক ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন তিনি। বনশ্রীর সি ব্লকের ৫ নম্বর সড়কে ‘অলংকার জুয়েলারি’ নামে একটি দোকান আছে তার।
সোমবার রাতে সেই দোকান থেকে ফেরার পথে বাসার সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তিনি। শরীরে তিনটি গুলি ও তিনটি কোপের ক্ষত নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আনোয়ার।
ছিনতাইয়ের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আনোয়ারের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম বলেন, “ঘটনার সময় আমি রান্নাঘরে ছিলাম। সেখান থেকে গুলির শব্দ শুনে আমি গেইটে আসি। এসে দেখি গেইটে তালা লাগানো। এরপর আমি দৌড়ে দারোয়ানের রুমে গিয়ে চাবি চাই। এ সময় দারোয়ানের ঘরের দরজাও লাগানো ছিল। তাদের দরজা ধাক্কায়া আমি চিৎকার করে ডাকছি। কানতে কানতে কইছি আমারে চাবি দেন, আমার জামাইরেতো মাইরা ফলাইতাছে।
“আমি অনেকক্ষণ দরজা ধাক্কায়াও দারোয়ানের কোনও সাড়াশব্দ পাইনি। এরপর আমি তাদের ঘরের জানালায় গেছি। দেখি দারোয়ান পরিবার নিয়া ঘরের মধ্যে বসা। এরপর দারোয়ান ঘরের দরজা খুলে আমারে জিগায়, কী হইছে? আমি তখন কইলাম আমার চিৎকার সবাই শুনতেছে, আপনে শুনেন নাই? আমারে চাবি দেন, আমার জামাইরে মাইরা ফালাইলো।”
হোসনে আরা বেগম বলেন, “তখন দারোয়ান আমারে বলে চাবি তিনতলায়, বাড়িওয়ালার কাছে। সেই কথা শুনে আমি দৌড়ে বাড়িওয়ালার ফ্ল্যাটের দরজায় যাই। সেখানে দরজা টোকাইছি আর আহাজারি করছি। কিন্তু বাড়িওয়ালা দরজা খোলেনি।”
চার বছর ধরে ওই বাসায় ভাড়া থাকেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এতদিন ধরে বাসায় ভাড়া থাকি। প্রতিদিন যাওয়া-আসার সময় দেখা হয়। কিন্তু বিপদের সময় আমার আহাজারি শুনেও তারা দরজা খোলেনি। কেউ সাহায্য করাতো দূরে থাক, একটু জিজ্ঞেসও করেনি কী হইছে আমার? বাড়িওয়ালা দরজা না খোলায় আবার দৌড়ে নিচে আসি। তখন গেইটের উপারেই আমার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছিল।”
আনোয়ারের স্ত্রী হোসনে আরা বলেন, “আমারে দেইখা কয় গেইট খোলো না ক্যান, আমিতো মইরা যাইতেছি। সেই কথা শুনে আমি চিৎকার কইরা কানছি। কইছি গেইট ক্যামনে খুলমু? বাড়িওয়ালা চাবি দিতেছে না। তখন উপায় না পাইয়া গেইটের ভেতরে আমি সিজদায় পড়ে আল্লাহার কাছে দোয়া করতে করতে কইছি- আল্লাহ আমার স্বামীটারে বাঁচাও। এইখানে আমারে সাহায্য করার কেউ নাই।
“এরপর সিজদা থেকে উঠে আবার দৌড়ে তিনতলায় বাড়িওয়ালার ফ্ল্যাটে গেছি। চাবির জন্য আকুতি করছি। কিন্তু তারা দরজা খোলেনি। পরে আবার দৌড়ায়া নিচে আইসা দেখি গেইটের তালা খোলা। কে খুলছে জানি না। দৌড়ায়া বাইর হয়ে দেখি আমার স্বামী নাই। তখন আশপাশের মানুষ জানাইছে কারা যেন আমার স্বামীরে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।”
আনোয়ারের শ্যালক মোহাম্মাদ শাহাবুদ্দীন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “প্রতিদিন রাত ১১টায় গেইট লাগায়। সেই হিসাবেই আমার বোনজামাই বাসায় ফেরে। কিন্তু গতকাল বাড়ির গেইট লাগানো হইছে সাড়ে ১০টায়। এজন্য আমার বোনজামাইকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। গেইট খোলা থাকলে এমন ছিনতাই হতো না। আমার মনে হয়, এই ঘটনার সঙ্গে বাড়িওয়ালা কিংবা দারোয়ান জড়িত থাকতে পাড়ে। তা না হলে কাল গেইট এত আগে কেন লাগালো?”
তিনি বলেন, “বাসার নিচতলায় একটি রুমে দারোয়ান তার পরিবার নিয়ে থাকে। নিচতলারই একটি ফ্ল্যাটে আমার বোন ভাড়া থাকে। তিনতলায় বাড়িওয়ালার একজন আত্মীয় থাকেন। তিনিই মূলত বাড়িটির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এত বড় একটা ঘটনার পর এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার বিকাল ৪টা) তাদের কেউ কোনও খোঁজ নেয়নি আমাদের।”
আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি দোকান বন্ধ করে নিজের মোটরসাইকেলে করে বাসার সামনে যাই। গিয়ে দারোয়ানকে গেটটা খোলার জন্য বলি। কিন্তু দারোয়ান গেইট খোলেনি। এমন সময় দেখি ৩টা মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে রাউন্ড করে আমাকে ঘিরে ধরেছে। এসময় আমি বাঁচার জন্য দৌড় দিলেও বাসার ভেতরে ঢুকতে পারিনি। তখন ছিনতাইকারীরা আমাকে গুলি করে ও কুপিয়ে ১৪০-১৫০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।”
তিনি জানান, ছিনতাইকারীদের তিনটি গুলি তার শরীরে লেগেছে। এরমধ্যে দুটি গুলি লেগেছে দুই উরুতে। আরেকটি লেগেছে অণ্ডকোষে।
“এছাড়া আমার শরীরে তিনটি কোপ দিয়েছে তারা”, বলেন আনোয়ার হোসেন।
অন্য ভাড়াটিয়াদের অভিজ্ঞতা
ঢাকায় সাংবাদিকতা করেন এনায়েত শাওন। ভাড়া থাকেন তেজকুনিপাড়ার একটি বাসায়।
ভাড়া বাসায় থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে শাওন ফেইসবুকে লিখেছেন, “এই শহরে মানুষ সারাবছর অমানবিক জীবন-যাপন করতেই বাধ্য হয়। একপ্রকার লকডাউনেই থাকে, রাত ১১টা থেকে সকাল পর্যন্ত। চাইলেও বাসা থেকে বের হতে পারে না, বাসায় প্রবেশ করতে পারে না। জরুরি প্রয়োজনেও বাড়ির মালিককে শত ব্যাখ্যা দেয়ার পরও সহানুভূতি মেলা দুষ্কর।
“বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের মেইন গেইটের চাবি দেয় না। কারও দেরি হলে যে পরিমাণ হেনস্থা হতে হয় তা অবর্ণনীয়। আর বাড়ির দারোয়ানগুলো যেন মালিকের চেয়ে এক কাঠি সরেস। কথায় কথায় প্রায়শই শুনতে হয় ‘না পোষালে আপনি তাহলে বাসা ছেড়ে দেন’। সামান্য প্রতিবাদ করলে বাসা ছেড়ে দিতে হয়েছে এমন অনেক ঘটনা শুনেছি, দেখেছি।”
তিনি আরও লিখেছেন, “এমন অনেক পরিচিতদের দেখেছি রাত ১১টা বেজে গেছে তাই অন্য বাসায় থাকার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। এই ভাড়াটিয়ারা এই শহরে একপ্রকার জেলবন্দী জীবন-যাপনেই অভ্যস্থ হয়ে গেছে, এমন কোনও ব্যবস্থা নেই যেখানে ভাড়াটিয়ারা ন্যায় বিচার পাবে। এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে নালিশ করবে। অথচ পর্যাপ্ত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই থাকছে সাধারণ নাগরিকেরা। যাদের বাসার গেইট ১১টা বা ১২টায় বন্ধ হয় তারাই জানে এটা যে কত বড় ‘যন্ত্রণা’। আমার ধারণা এই ‘গেইট’ বন্ধ হয়ে যাওয়ার চিন্তায় হাজারও মানুষ উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের অসুখে ভোগে।”
এনায়েত শাওন লিখেছেন, “বাড়ির ছাদে ভাড়াটিয়াদের অধিকার সে তো সোনার হরিণের মত! কবে শেষ হবে এই স্বেচ্ছাচারিতা? অবিবাহিত যুবক-যুবতী, বিভিন্ন পেশাভিত্তিক ভাড়াটিয়াদের যে বৈষম্যের শিকার হতে হয় সে বিষয়ে লিখতে গেলে উপন্যাস হয়ে যাবে।
“তবে, কিছু কিছু বাড়িওয়ালা আছে যারা ব্যতিক্রম। আবার কিছু কিছু ভাড়াটিয়া যে বাড়িওয়ালার সাথে অন্যায় করে তাও আছে। তবে এই সংখ্যাটা কম। কারণ বাড়িওয়ালা চাইলেই তো যে কাউকে নোটিশ দিয়ে দিতেই পারে।”
মীর হাবিব নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের এক শিক্ষার্থী বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন ধানমন্ডিতে।
অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে সকাল-সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “বাসার মালিক এমন যে, ১১টার পর কেয়ামত হয়ে গেলেও বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই।”
বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুজ্জামান রোজেন জানান, রাত ১১টা বাজলেই তার ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। খোলা হয় সকাল সাড়ে ৫টায়।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “রাত ১১টার পর বাইর থেকে ফিরলেও বাসায় ঢুকতে পারি না। আবার রাত ১১টার পর শত প্রয়োজন হলেও বাইরে বের হতে পারি না। প্রতিমাসে অগ্রিম ভাড়া দিয়ে বাসায় থাকি। কিন্তু বাড়িওয়ালার আচরণ এমন যে তিনি আমাদের দয়া করে থাকতে দিয়েছেন। বাড়িওয়ালাদের এমন স্বেচ্ছাচারিতা দেখার কেউ নেই।”
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যাণ পরিষদের নেতা মামুন জেয়ার্দার সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়াদের ওপর যেভাবে নিপীড়ন করেন সেগুলোর অন্যতম এই মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া। এছাড়া বছর বছর ভাড়া বৃদ্ধি, ঠিকমতো পানি না দেওয়া, হুটহাট বাড়ি ছাড়তে বলা, এমন অনেক নিপীড়ন বাড়ির মালিকরা করে থাকেন। আমরা এসব অন্যায়ের প্রতিকার চাই।”
কী বলছেন বাড়ির মালিকরা
ভাড়াটিয়া ও ভবনের নিরাপত্তার জন্যই রাতে নির্দিষ্ট সময় পর মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে দাবি করছেন বাড়িওয়ালারা।
মোহাম্মপুরের বছিলার এক বাড়ির মালিক আতাউর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “রাতে বাড়িতে যদি ডাকাতি-চুরির মতো কোনও ঘটনা ঘটে তাহলেও ভাড়াটিয়ারা বাড়ির মালিককেই দোষারোপ করবেন। বলবেন বাড়ির নিরাপত্তা নেই। এ কারণেই রাতে বাড়ির মূল ফটক বন্ধ করে রাখি আমি। যদি কারও জরুরি প্রয়োজন হয় তখনতো ফটক খুলে দেওয়া হয়।”
তবে মূল ফটক বন্ধ করার পেছনে বাড়ির মালিকদের ‘স্বেচ্ছাচারী মনোভাব’ কাজ করে বলে জানালেন মিরপুরের পল্লবী এ ব্লকের বাড়ি ও ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ রেজা।
তিনি বলেন, “ভাড়াটিয়াকে রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরতে বাধ্য করাটা একজন বাড়িওয়ালার স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের মানুষই মনে করেন না। তারা নিজেদের রাজা-বাদশাহ ভাবেন। মনে করেন ভাড়াটিয়ার সঙ্গে যা ইচ্ছা তাই করার ক্ষমতা তার আছে। বাড়ির মালিকদের এই মানসিকতা পরিহার করতে হবে।”
সৈয়দ মাসুদ রেজা বলেন, “বাড়ির নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকলে নিরাপত্তা কর্মী রাখবেন মালিকরা। তাছাড়া এখন আধুনিক সময়। চাইলেই সেন্সরযুক্ত গেইট লাগানো যায়। সেসব গেইটের লক ফিঙ্গার প্রিন্ট, পাসওয়ার্ড, স্মার্ট কি কার্ডসহ বিভিন্ন স্মার্ট মেথডে আনলক করা যায়। এসব লকও ব্যবহার করা যায়।”
তিনি বলেন, “আপনি বাড়ির মালিক, ভাড়াটিয়ার টাকায় আপনার সংসার চলে। তাই ভাড়াটিয়াদের ভোগান্তি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা বাড়ির মালিকের দায়িত্ব বলে মনে করি। তাই মালিকদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে বলে আমি মনে করি।”
পুলিশ কী বলছে?
ফটকের চাবি না দেওয়ার বিষয়ে আনোয়ার হোসেনের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার ওসি মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, বাড়ির মালিক সুইজারল্যান্ড প্রবাসী। তার অবর্তমানে একজন আত্মীয় ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। চাবি না দেওয়ার কারণ জানতে দারোয়ান পেয়ার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি জানান, এই ঘটনায় সোমবার বিকালে আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম থানায় মামলা করেছেন। মামলায় তিনি ১৬০ ভরি সোনা লুটের অভিযোগ করেছেন।
রাতে বাড়ির ফটক বন্ধ রাখার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশনা বা বাধ্যবাধকতা আছে কিনা- তা জানতে কথা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের সঙ্গে।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কখনোই বাড়ির মালিকদের কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে রাতে বাড়ির ফটকে তালা দিয়ে রাখেন।”