যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি ইহুদি জাদুঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার সময় ইসরায়েলের দূতাবাসে কর্মরত এক দম্পতিকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বিবিসিকে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজার মানুষদের সহায়তা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় জাদুঘরটিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন ওই দম্পতি। অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার সময় খুব কাছ থেকে তাদের গুলি করা হয়।
ঘটনার পর ইসরায়েলি দূতাবাসের মুখপাত্র তাল নাইম কোহেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি বিবৃতি শেয়ার করেন।
তাতে বলা হয়, “আজ সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটাল জুয়িশ মিউজিয়ামে একটি ইহুদিদের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় ইসরায়েলি দূতাবাসের দুজন কর্মীকে কাছ থেকে গুলি করা হয়।
“স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় উভয় পর্যায়ের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের ও ইহুদি সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দেবে, এবিষয়ে তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।”
হামলাকারীর পরিচয় এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানিয়েছে, ক্যাপিটাল জুয়িশ মিউজিয়ামের বাইরে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের হত্যাকারীর নাম ইলিয়াস রদ্রিগেজ। বয়স ৩০। থাকেন শিকাগোতে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ বলেছে, “ওই ব্যক্তি ঘটনার সময় মিউজিয়ামের বাইরে হাঁটাচলা করছিলেন।
“এরপর তিনি চারজনের একটি দলের দিকে এগিয়ে গিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করেন এবং দুজনকে গুলি করেন।”
রদ্রিগেজ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ প্রধান পামেলা স্মিথ জানান, পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার সময় ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত কর’ স্লোগান দিচ্ছিলেন রদ্রিগেজ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে তিনি বলেন, “ওয়াশিংটন ডিসির এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড, যা স্পষ্টতই ইহুদিবিদ্বেষ থেকে ঘটেছে, অবশ্যই এখনই বন্ধ হতে হবে! ঘৃণা ও চরমপন্থার কোনও স্থান যুক্তরাষ্ট্রে নেই।
“ভুক্তভোগীর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। এরকম ঘটনা সত্যিই খুব দুঃখজনক! ঈশ্বর সবার মঙ্গল করুন!”