Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

কলসিন্দুর নয় নান্দাইলে ফুটবল বিপ্লব

জাতীয় দলে নান্দাইলের তিন ফুটবলার  হালিমা আক্তার, মিলি আক্তার,  ও সৌরভী আকন্দ প্রীতি। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় দলে নান্দাইলের তিন ফুটবলার হালিমা আক্তার, মিলি আক্তার, ও সৌরভী আকন্দ প্রীতি। ছবি : সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

মেয়েদের ‍ফুটবল সাফল্যে আজ স্বর্ণ শিখরে। টানা দুবার সাফের শিরোপা জিতেছে তারা। প্রথমবার নাম লিখেয়েছ এশিয়ান কাপেও। মিয়ানমারে বাছাইপর্বে টানা দুই ম্যাচ হারিয়েছে র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা বাহরাইন ও মিয়ানমারকে।

নারীদের ফুটবলের এই জয়যাত্রার শুরুটা হয়েছিল ময়মনসিংহের কলসিন্দুর দিয়ে। কালের বিবর্তনে সেই কলসিন্দুর থেকে আগের মত নারী ফুটবলার উঠে আসছে না আর। অথচ ময়মনসিংহের নান্দাইলেই নীরবে ঘটে গেছে ফুটবল বিপ্লব।

বাছাইপর্ব খেলতে ‍মিয়ানমার যাওয়া দলটিতে নান্দাইলের আছেন তিনজন- মিলি আক্তার, হালিমা আক্তার ও সৌরভী আকন্দ প্রীতি। তাদের বাড়ি অবশ্য তিনটি আলাদা ইউনিয়নে।

জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বারঘরিয়া গ্রামের মেয়ে প্রীতি খেলেন মাঝমাঠে। তার বাবা আবুল কালাম আকন্দ একজন হতদরিদ্র কৃষক।

শেরপুর ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের হালিমা আক্তারের বাবা দুলাল মিয়াও হতদরিদ্র মানুষ। তিন বোনের মধ্যে হালিমা দ্বিতীয়। হালিমা ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব–১৯ নারী ফুটবলে আলো ছড়িয়ে জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে।

দুলাল মিয়া সকাল সন্ধ্যাকে জানালেন, ‘‘আমার তিন মেয়ের মধ্যে দুজন ফুটবল খেলে। হালিমা এখন জাতীয় দলে আর পান্না খেলছে স্থানীয় পর্যায়ে। শুরুতে অনেকে খারাপ কথা বলত মেয়েদের নিয়ে। তবে এখন সবাই প্রশংসা করে। মেয়েদের জন্য আমি গর্বিত।’’

দুই মেয়ের ফুটবলার হওয়া নিয়ে তিনি বললেন, ‘‘স্কুল ফুটবলে কলসিন্দুর খুব ভালো করত। এখন আমাদের নান্নাইলের স্কুলগুলোতে মেয়েদের খেলা হয়। আমার দুই মেয়েও এভাবে ফুটবল খেলা শিখেছে।’’

চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বারই গ্রামের মেয়ে মিলি আক্তার। বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোলরক্ষক তিনি। তার বাবা মো. সামছুল হক কলা বিক্রেতা, তবে মেয়েকে ফুটবল খেলা থেকে বারণ করেননি কখনও। মিলি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দলে সুযোগ পেয়ে সেখানেই চাকরি করছেন এখন।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত