Beta
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কে এই মারিয়া কোরিনা মাচাদো

machado
[publishpress_authors_box]

ভেনেজুয়েলায় গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। সেই তিনিই পেলেন ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার।

শুক্রবার সোশাল মিডিয়া এক্সে এক পোস্টে নোবেল কমিটি জানায়, তারা এই পুরস্কার দিচ্ছেন মাচাদোকে “ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার নিরলস প্রচেষ্টা ও একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের সংগ্রামের জন্য।”

অসলোতে মাচাদোর নাম ঘোষণা করতে গিয়ে নোবেল কমিটির সভাপতি ইয়রগেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস বলেন, পুরস্কারটি যাচ্ছে “এক সাহসী ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শান্তির নেত্রী, এমন এক নারীর কাছে, যিনি ক্রমবর্ধমান অন্ধকারের মধ্যেও গণতন্ত্রের শিখা প্রজ্বলিত রেখেছেন।”

তিনি আরও বলেন, মাচাদো “আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছাপত্রে বর্ণিত সব মানদণ্ড পূরণ করেছেন।” সেই ইচ্ছাপত্র অনুযায়ী, শান্তি পুরস্কার দেওয়া হবে “তাকে, যিনি জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায়, স্থায়ী সেনাবাহিনী বিলোপ বা হ্রাসে এবং শান্তি কংগ্রেসের আয়োজন ও প্রসারে সর্বাধিক বা সর্বোত্তম কাজ করেছেন।”

ভেনেজুয়েলায় “আয়রন লেডি” নামে পরিচিত মাচাদো ১৯০১ সালে শান্তি পুরস্কার চালুর পর থেকে ১৪৩ জন পুরস্কারজয়ীর মধ্যে কেবল ২০তম নারী। নিজের পুরস্কারের খবর জানার পর তিনি “আশ্চর্য ও অভিভূত” হয়েছেন বলে জানান। এএফপি সংবাদ সংস্থার কাছে তার প্রেস টিম পাঠানো এক ভিডিওতে ফোনে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি অবিশ্বাস্য অনুভব করছি!”

তিনি সেই সময় ফোনে কথা বলছিলেন এদমুন্ডো গনসালেস উরুতিয়ার সঙ্গে, যিনি মাচাদোর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছিলেন।

গনসালেস বলেন, “আমরা আনন্দে অভিভূত।”

মারিয়া কোরিনা মাচাদো কে

মারিয়া কোরিনা মাচাদো পারিসকার বয়স ৫৮ বছর। তিনি ভেনেজুয়েলার বিরোধীদল ভেন্তে ভেনেজুয়েলার নেতা। তিনি স্বচ্ছ গণতন্ত্রের পক্ষে প্রচারণা চালান, বাজারমুখী অর্থনৈতিক সংস্কারের পক্ষে, যার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ’র মতো প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণের প্রস্তাবও রয়েছে। আবার একই সঙ্গে তিনি দেশের দরিদ্র জনগণের সহায়তায় কল্যাণমূলক কর্মসূচি চালুরও সমর্থক।

তিনি ১৯৬৭ সালের ৭ অক্টোবর কারাকাসে জন্মগ্রহণ করেন। চার বোনের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বড়। তিনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও ফিন্যান্সে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী।

তিন সন্তানের জননী মাচাদো ২০০২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন স্বেচ্ছাসেবী নাগরিক সংগঠন “সুমাতে” এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। সংগঠনটির লক্ষ্য ছিল নিকোলাস মাদুরোর শাসনের সময় দেশের রাজনৈতিক বিভাজনের মধ্যেও মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা।

সুমাতে থাকাকালীন তিনি একই বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের বিরুদ্ধে গণভোট আয়োজনের নেতৃত্ব দেন। সেখানে শ্যাভেজের স্বৈরাচারী নীতির প্রতিবাদ জানানো হয়। এর ফলে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় এবং শ্যাভেজ সমর্থকদের পক্ষ থেকে তার পরিবার মৃত্যুর হুমকি পায়। বাধ্য হয়ে তিনি তার সন্তানদের বিদেশে পাঠান।

তবুও মাচাদো নিকোলাস মাদুরোর বিরোধিতায় অবিচল থেকেছেন। মাদুরো ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন।

২০২৩ সালে মাচাদো বিরোধীদলীয় প্রেসিডেন্ট প্রাইমারিতে নিরঙ্কুশ জয় পান। এটি তাকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে দীর্ঘদিনের সমাজতান্ত্রিক নেতা মাদুরোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

কিন্তু এক বছর পর ভেনেজুয়েলার সুপ্রিম জাস্টিস ট্রাইবুনাল তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার রায় বহাল রাখে। অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক সাব অভিযোগ করেন, মাচাদোর ভেন্তে ভেনেজুয়েলা দলের কিছু সদস্য ২০২৩ সালে এক সামরিক অস্ত্রাগার লুট ও এক মাদুরোপন্থী গভর্নরের ওপর হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। আদালত আরও রায় দেয়, মাচাদো যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তেল কোম্পানি সিটগো ও কলম্বিয়ায় কার্যরত মনোমেরোস কোম্পানির মতো বিদেশি সম্পদের ক্ষতি ঘটিয়েছেন।

ফলে বিরোধী জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন এডমুন্ডো গনসালেস উরুতিয়া। তবে মাচাদো নিজে থেকে প্রচার চালিয়ে যান উরুতিয়ার হয়ে।

বর্তমানে মাচাদো কার্যত ভেনেজুয়েলায় বিচ্ছিন্ন। তার প্রায় সব ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা গ্রেপ্তার হয়েছেন বা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। মাদুরো ও তার সমর্থকরা যে কেউ তার শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে গেলে তাদের লক্ষ্যবস্তু বানায়। ধারণা করা হয়, উরুতিয়া বর্তমানে নির্বাসনে স্পেনে আছেন। যদিও কেউ কেউ বলছেন তিনি লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে সফর করছেন।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর মাচাদো ঘোষণা দেন যে তিনি আত্মগোপনে যাচ্ছেন। কারণ তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। ওই নির্বাচনে মাদুরো নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। যদিও ফলাফল বিরোধীরা চ্যালেঞ্জ করে।

মাচাদো এখন কোথায়

তার বর্তমান অবস্থান জানা যায়নি। ২০২৪ সালের আগস্টে তিনি একবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন তিনি কারাকাসে বিতর্কিত নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দেন।

তিনি সাদা পোশাকে উপস্থিত হয়ে বলেন, “যেভাবে আমরা কঠিন লড়াই করে নির্বাচনী জয় অর্জন করেছি, তেমনি এখন এক নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে। একদিন একদিন করে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আমরা কখনোই আজকের মতো এত শক্তিশালী ছিলাম না।”

এই বছরের জানুয়ারিতে মাদুরোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের আগে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভে অংশ নিতে গিয়ে তিনি অল্প সময়ের জন্য গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তারের ঠিক আগে ট্রাকের উপরে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকা নেড়ে তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, “তারা চায় আমরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করি, কিন্তু ভেনেজুয়েলা আজ ঐক্যবদ্ধ।”

মাদুরোর সরকার মাচাদোর বিরুদ্ধে “ষড়যন্ত্র” পরিচালনার অভিযোগ করেছে। সরকার জানায়, এই ঘটনাটি প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রচেষ্টা।

তথ্যমন্ত্রী ফ্রেডি নানেজ টেলিগ্রামে লেখেন, “মিডিয়া বিভ্রান্তির এই কৌশল নতুন কিছু নয়। প্রতারণার কারিগর ফ্যাসিস্টদের কাছ থেকে এমনটা অপ্রত্যাশিত নয়।”

বর্তমানে মাচাদো আবার আত্মগোপনে আছেন। তবে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি তার সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

২০২৫ সালের মে মাসে তিনি দাবি করেন, তার দল সংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে মাদুরোর জোটকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। এক্সে মাচাদো লেখেন, “এটি এক বিরাট প্রহসন, যার মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী গত বছরের নির্বাচনে নিজেদের পরাজয় ঢাকতে চাইছে।”

গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নও মাচাদো ও উরুতিয়াকে মানবাধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ “সাখারভ পুরস্কার” দিয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট জানায়, এই পুরস্কার “ভেনেজুয়েলার জনগণের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামকে প্রতিনিধিত্ব করে।”

নোবেল কমিটি তার সম্পর্কে কী বলেছে

নোবেল কমিটি তাদের ঘোষণায় জানায়, তারা সবসময় “সেই সাহসী নারী ও পুরুষদের সম্মান জানায়, যারা দমন-পীড়নের মুখে স্বাধীনতার আশাকে বাঁচিয়ে রেখেছে কারাগারে, রাস্তায় এবং জনসমাবেশে। যাদের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করেছে যে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধই বিশ্বকে বদলাতে পারে।”

কমিটি উল্লেখ করে, “গত বছর মাচাদো তার জীবনের ওপর গুরুতর হুমকি সত্ত্বেও আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি দেশ ছেড়ে যাননি, এই সিদ্ধান্তই লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।”

কমিটি আরও জানায়, “স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সাহসী রক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মারিয়া কোরিনা মাচাদো আলফ্রেড নোবেলের উইলে বর্ণিত শান্তি পুরস্কারের তিনটি মানদণ্ডই পূরণ করেছেন।

“তিনি তার দেশের বিরোধীদের একত্রিত করেছেন। তিনি কখনও ভেনেজুয়েলার সামরিকীকরণের বিরোধিতা থেকে সরে আসেননি। তিনি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পক্ষে অটল থেকেছেন।”

নোবেল কমিটি আরও জানায়, তারা আশা করছে এই পুরস্কার “তার সংগ্রামকে সমর্থন দেবে, সীমিত করবে না।”

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা মাচাদোর নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশ্ন করলে ফ্রিডনেস বলেন, “আমরা প্রতি বছরই এ বিষয়ে আলোচনা করি। বিশেষত যখন পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য। কারণ তার জীবনের ওপর হুমকি রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই পুরস্কারের মাধ্যমে আমরা বিশ্বকে জানাতে চাই যে, এমন এক সময়ে যখন বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, তখন গণতন্ত্রই শান্তির পূর্বশর্ত।”

অসলো পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিনা গ্রেগার এক্সে লেখেন, ভেনেজুয়েলার মাচাদোকে পুরস্কার দেওয়া “গণতন্ত্রের জন্য এক পুরস্কার।”

তিনি লেখেন, “যখন বিশ্বজুড়ে স্বৈরাচার আবার মাথা তুলছে, তখন এই পুরস্কার সেইসব সাহসী মানুষদের সাহসকে তুলে ধরে যারা বুলেট নয়, ব্যালটের মাধ্যমে স্বাধীনতার পক্ষে লড়ছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই বছর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিজস্ব নোবেল শান্তি পুরস্কার শর্টলিস্টে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। এই কাজটিতে মাচাদো বহু বছর ধরে যুক্ত, যা প্রমাণ করে যে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনই গণতন্ত্র ও শান্তির ভিত্তি।”

ডোনাল্ড ট্রাম্প কি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি, যদিও তিনি প্রকাশ্যে এই পুরস্কার পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছিলেন।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন যে তিনি “সাতটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন”, তাই তিনি পুরস্কারের যোগ্য।

বুধবার তিনি ইঙ্গিত দেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি তার “২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার” ফল, যা তিনি গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছিলেন এবং এটি অষ্টম যুদ্ধেরও অবসান ঘটাবে।

ট্রাম্প নিজে কিছু না বললেও হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং নোবেল কমিটির সমালোচনা করে বলেন, “[ট্রাম্প] একজন মানবতাবাদীর হৃদয় নিয়ে কাজ করেন। এমন আর কেউ নেই যার ইচ্ছাশক্তি দিয়ে তিনি পাহাড় সরাতে পারেন।”

তিনি এক্সে লেখেন, “নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে যে তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে বেশি মূল্য দেয়।”

নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়রগেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস সাংবাদিকদের বলেন, কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় কেবল “আলফ্রেড নোবেলের কাজ ও ইচ্ছার ভিত্তিতে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা প্রতি বছর হাজার হাজার চিঠি পাই, যেখানে মানুষ জানায় তাদের কাছে শান্তির অর্থ কী। এই কমিটি যখন বসে, তখন তারা এমন একটি কক্ষে বসে যেখানে সব পুরস্কারজয়ীদের প্রতিকৃতি টানানো, এবং সেই কক্ষ সাহস ও সততার প্রতীক। তাই আমাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তি একটাই, আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য।”

তথ্যসূত্র : আল জাজিরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত