সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেপাল এখন উত্তাল। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান, টিয়ার গ্যাস ও গুলি ব্যবহার করেছে। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে অন্যান্য বড় শহরে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। এই অবস্থায় বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ না হওয়ার আশঙ্কা জন্মে। সেটাই সত্যি হলো। বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি।
দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন নেপালে। এর মধ্যেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা নেপাল। এই অবস্থায় কাঠমান্ডুর দ্বিতীয় ম্যাচটি আয়োজন করা সম্ভব কিনা, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরী বৈঠকে বসেছিল অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা)। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আনফা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ হতে যাওয়া নেপাল-বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি বাতিল করা হলো। এ কারণে ফুটবল সমর্থকদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।”
সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় রণক্ষেত্র নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। বিক্ষোভকারীরা নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জেন-জি’দের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুধু তা-ই নয়, শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় জারি হয়েছে কারফিউ। এই পরিস্থিতিতে শুরুতে স্থগিত করা হয় বাংলাদেশ ফুটবল দলের অনুশীলন। এরপর সন্ধ্যায় আনফার জরুরী বৈঠকে বাতিল করা হয়েছে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি।
এর আগে নেপালের কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দলের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব জানিয়েছিলেন, বিকেল সোয়া ৩টায় অনুশীলন থাকলেও বাইরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় অনুশীলনের জন্য রওনা হওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ দল এখন নিরাপদে হোটেলেই অবস্থান করছে। দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন হয়েছে টিম হোটেলেই। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকেও সোমবার বেলা ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে নেপালের পরিস্থিতি জানিয়ে বলা হয়, “নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে আজ বেলা ৩ টায় দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনুশীলন নির্ধারিত ছিল। তবে অনিবার্য কারণবশত অনুশীলন সেশনটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। অনুশীলনের নতুন সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।”