গোল বন্যাই হল চ্যাম্পিয়নস লিগে। মঙ্গলবার রাতে ৯ ম্যাচে গোল হয়েছে ৪৩টি! লাল কার্ড ৫টি আর পেনাল্টি হয়েছে ৬টি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এর আগে মাত্র দুবার এক রাতে এত বেশি গোল হয়েছিল। গত মৌসুমে লিগ পর্বের শেষ রাউন্ডে হয়েছিল রেকর্ড ৬৪টি গোল । তবে সেই রাতে ১৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, প্রতি ম্যাচে গোল গড় ছিল ৩.৫৫।
এরপর দ্বিতীয় স্থানে আছে ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবরের রাতটি। সেদিন ১২টি ম্যাচে ৩.৬৬ গড়ে ৪৪ গোল হয়েছিল। কাল রাতে ৯ ম্যাচেই ৪.৭৮ গড়ে হয়েছে ৪৩ গোল। এই রাতে লাল কার্ড দেখেছেন ৫ জন-অলিম্পিয়াকোসের সান্তিয়াগো হেজে, লেভারকুসেনের রবার্ট আনড্র্রিক, পিএসজির ইলিয়া জাবারনি, নাপোলির লরেৎসো লুক্কা এবং পাফোসের জোয়াও কোরেইয়া।
লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে ১৩ মিনিটের ব্যবধানে আতলেতিকো মাদ্রিদের জালে ৪বার বল পাঠিয়েছে আর্সেনাল। ৪-০ গোলে জিতেছে তারা।
৫৭ মিনিটে গোলের শুরু করেন গাব্রিয়েল মাগালিয়ায়েস। ৬৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। এরপর জোড়া গোল করেন আর্সেনালের সুইডিশ স্ট্রাইকার ভিক্টর ইয়োকেরেস।
বার্সেলোনা ৬-১ গোলে হারিয়েছে অলিম্পিয়াকোসকে। তাতে এল ক্লাসিকোর আগে নিজেদের শক্তি জানান দিয়ে রাখল তারা। হ্যাটট্রিক করেছেন ফের্মিন লোপেস। জোড়া গোল করেছেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। অপর গোলটি লামিনে ইয়ামালের।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনকে। লেভারকুসেন ও পিএসজি দুই দলই ১০ জনে পরিণত হয়েছিল। ৩৩ মিনিটে রবার্ট আনড্রিখ ও ৩৭ মিনিটে ইলিয়া জাবারনি লাল কার্ড দেখেন। বিরতির আগেই ব্যবধান ৪–১ করে ফেলে পিএসজি। দেজিরে দুয়ে দুটি, খিচা কাভারাস্কেইয়া ও উইলিয়ান পাচো করেন এক গোল। বিরতির পর পিএসজির হয়ে একটি করে গোল করেন নুনো মেন্দেস, উসমান দেম্বলে ও ভিতিনিয়া।
ফল
বার্সেলোনা ৬–১ অলিম্পিয়াকোস
কাইরাত আলমাতি ০–০ পাফোস এফসি
লেভারকুসেন ২–৭ পিএসজি
আর্সেনাল ৪–০ আতলেতিকো মাদ্রিদ
নিউক্যাসল ৩–০ বেনফিকা
সেঁ জিলোয়াস ০–৪ ইন্টার মিলান
ভিয়ারিয়াল ০–২ ম্যানচেস্টার সিটি
পিএসভি আইন্দহফেন ৬–২ নাপোলি
কোপেনহেগেন ২–৪ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড
নেদারল্যান্ডসের ক্লাব পিএসভি আইন্দহফেনের মাঠে ৬-২ গোলে হেরেছে নাপোলি। ৬–২ গোলের হারই নাপোলির চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয়। এই গোল উৎসবের মাঝে গোলশূন্য ড্র করেছে শুধু কাইরাত আলমাতি ও পাফোস এফসি।
ভিয়ারিয়ালের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির জিতেছে ২–০ ব্যবধানে। নরওয়ের স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড করেছেন প্রথম গোল। তাতে টানা ১২ ম্যাচে গোল করে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড ছুঁয়েছেন হলান্ড। এই মৌসুমে এ নিয়ে তিনি ১৪ ম্যাচেই ২৪ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করে ফেললেন। ম্যানচেস্টার সিটির অপর গোলটা করেছেন বের্নার্দো সিলভা।