বিসিবি নির্বাচনের পর লিগ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকার ক্লাবগুলোর বড় একটা অংশ। তাই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল দেশের ক্রিকেটে। অনিশ্চয়তার মেঘ সরেছে অবশেষে। লিগ বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ক্লাবগুলো। আগামী মাসে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট।
মিরপুর শেরে-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার সিসিডিএমের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২০টি ক্লাবের মধ্যে ১৬টির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সফল বৈঠকের পর অনিশ্চয়তার মেঘ সরে গেছে। তবে জট পেকেছে নতুন করে। তৃতীয় বিভাগের বদলে প্রথম বিভাগ দিয়ে লিগ শুরু মানছেন না অনেকে।
প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে এবারের মৌসুম হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দিপন। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘আজ আমরা প্রথম বিভাগের দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রায় সব ক্লাবই এসেছে এবং কেউই বলেনি যে তারা খেলবে না। সবাই নতুন মৌসুমে অংশ নিতে আগ্রহী। আমরা খুব শিগগিরই লিগ শুরুর তারিখ ঘোষণা করব।’’
প্রয়োজনে তিনটি বিভাগ—প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগ একসঙ্গে পরিচালনার পরিকল্পনা আছে সিসিডিএমের। তবে প্রিমিয়ার ডিভিশন আপাতত শুরু হচ্ছে না, কারণ সামনে বিপিএল, জাতীয় দলের সিরিজ ও জাতীয় ক্রিকেট লিগের ব্যস্ততা।
বৈঠকে অংশ নেওয়া আম্বারের প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান তপু বলেন, ‘‘এতদিনে তৃতীয় বিভাগ শুরু করে দেওয়ার কথা। সেটা না করে প্রথমি বিভাগ কেন?’’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে গেলে বিসিবির সহসভাপতি ফারুক আহমেদ যোগ দেন। তিনি জানান, এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত। তাকে উল্টো এক প্রতিনিধি বলে বসেন, ‘‘তাহলে চিঠি দিলেই পারতেন, বৈঠকে ডাকার দরকার কী ছিল।’’
নতুন মৌসুমে মাঠ নিয়েও আশাবাদী সিসিডিএম চেয়ারম্যান। তিনি বললেন, ‘প্রথম বিভাগের জন্য ৫টা মাঠ দরকার ছিল, আমরা ৭টা মাঠ পেয়ে গেছি। বসুন্ধরায় এবার প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ম্যাচ হবে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের সিলিকন, পিকেএসপি এক ও দুই নম্বর গ্রাউন্ড, কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার মাঠও পাচ্ছি। বিকেএসপির দুটি মাঠও কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাব।’’



