এক পেশে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল মিরপুরে। কিন্তু ব্রাদার্স ইউনিয়ন যথেষ্ট লড়াই করেছে। অবশ্য এ লড়াইয়ে তাদের কোন লাভ হয়নি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে শরিফুল ইসলামের ক্যারিয়ার সেরা স্পেলে দিন শেষে ৪৬ রানে হেরেছে ব্রাদার্স। এদিকে এই জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
লিস্ট এ ক্রিকেটে শরিফুল ইসলামের ক্যারিয়ার সেরা স্পেল এতদিন ছিল ২১ রানে ৪ উইকেট। সেই কীর্তি ছাপিয়ে মিরপুরে ৫ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। এরপর আরও এক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা স্পেলটিকে ৪০ রানে ৬ উইকেটে নিয়ে যান শরিফুল।
এদিন আগে ব্যাট করে সৌম্য সরকারের ৭৯ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৯০, মাহমুদুল হাসান জয়ের ৫৫ বলে ৫৯ রানে বড় সংগ্রহের দিকে ছোটে রূপগঞ্জ। জাকের আলি ও সামিউন বশির রাতুল নিচের দিকে ৪৯ বলে ৪৪ ও ১৯ বলে ২৫ রান করলে ৯ উইকেটে ২৭৭ রানের ভালো সংগ্রহ পায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
জবাবে শেষদিকে সুমন খানের ২৫ বলে ৩৪ রানের একার লড়াইয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলা ব্রাদার্সের স্বপ্ন ভাঙে বৃষ্টি শুরু হলে। ব্রাদার্সের ইনিংসের ৪৮.৪ ওভারে থাকার সময় বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে আর শুরু হয়নি। পরে বৃষ্টি আইনে ১০ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। নতুন টার্গেট অনুযায়ী ৪৮.৪ ওভারে ব্রাদার্সকে ২৭১ রান করতে হতো। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় তাদের রান ছিল ৯ উেইকেটে ২৬০।
ব্রাদার্সের হয়ে মাহফিজুল ইসলাম রবিন ১০৮ বলে ৭৬ রান করেন। এছাড়া আইচ মোল্লা ৭৩ বলে ৪৭, মাইশুকুর রহমান ৩২ বলে ৪৬ রান করেন। বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় ব্রাদার্সের লড়াই তাদের জয়ের পথে নেয়নি।
এই জয়ে ১০ ম্যাচ থেকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে উঠে এল রূপগঞ্জ।
জিতেও লাভ হলো না ধানমন্ডির
সেঞ্চুরি করতে পারেননি মাত্র ৩ রানের জন্য। সেই আক্ষেপটা হয়তো কেটে গেছে নুরুল হাসান সোহানের। তার ইনিংসেই যে ম্যাচ জিতেছে তার দল। রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ধানমন্ডী স্পোর্টস ক্লাব। দল জিতলেও সুপার লিগে ওঠার পথ খোলেনি ধানমন্ডির। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে জেতায় কপাল পুড়ল তাদের।
বিকেএসপিতে এদিন আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৮০ রানের ভালো স্কোর গড়ে রূপগঞ্জ টাইগার্স। আসাদুল্লাহ আল গালিব ও নাসির হোসেন যথাক্রমে ৬৫ ও ৭৭ রান করেন। নাসির ৮৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৭৭। নিচের দিকে আরিফুল হক মাত্র ২৮ বলে ৬ ছক্কায় করেছেন ৪৮। এছাড়া নুহায়েল সানদিদ ২৬ বলে করেন অপরাজিত ৩৪ রান।
জবাবে শুরুর ব্যাটারদের রানে ভালো ভাবে এগোতে থাকে ধানমন্ডি। আজমির ৪০, হাবিবুর সোহান ৩৩, ফজলে রাব্বি ৪৭ রান করেন। তবে সোহান রান তাড়ার ইনিংসে ধরে খেলে ৯৫ রানে ৯৭ করেছেন। ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে ৭৫ রানের ইনিংসে জয়ের পথ তৈরি করেন। রাব্বি ৪০ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
গাজীর সঙ্গে লড়তেও পারেনি পারটেক্স
একদিন আগে পারিশ্রমিক ইস্যুতে ম্যাচ না খেলার হুমকি দিয়েছিল পারটেক্স স্পোর্টিংয়ের ক্রিকেটাররা। তারাই ম্যাচ ডেতে বিকেএসপিতে উপস্থিত। ম্যাচ খেললেন এবং বড় হার জুটল তাদের। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩০২ রান করে গাজী। জবাবে পারটেক্স ৯ উইকেটে ১৩২ রান তোলতে ম্যাচ শেষ হয়। মোহর শেখ অন্তর ব্যাটিং করতে পারেননি। গাজীর হয়ে এনামুল হক বিজয় ৭৮, সাব্বির হোসেন ৬৪, শামীম মিয়া ৫৩ ও সাদিকুর রহমান ৪৬ রান করেন। পারটেক্সের হয়ে আদিলের ৫৩ রান ছাড়া বড় রান কেউ করতে পারেননি।