আলো ছড়িয়ে চলেছেন লিওনেল মেসি। ইন্টার মায়ামির সঙ্গে ৩ বছরের নতুন চুক্তির পরই করলেন জোড়া গোল। তার নৈপুণ্যে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্রথম প্লে-অফে আজ ন্যাশভিলকে ৩–১ গোলে হারিয়েছে মায়ামি।
ন্যাশভিলের বিপক্ষেই হ্যাটট্রিক করে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়মিত মৌসুম শেষ করেছিলেন তিনি। আজ হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে একই ক্লাবের বিপক্ষে দুবার জালের দেখা পেলেন। মেসির দুই গোলের মধ্যে একটি ছিল চোখে লেগে থাকার মতো অসাধারণ হেড।
ম্যাচ শুরুর আগে এমএলএস কমিশনার ডন গারবারের কাছ থেকে গোল্ডেন বুট বুঝে নেন মেসি। এ বছর এমএলএসে ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে (১৯টি গোলও বানিয়েছেন) সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেলেন কিংবদন্তি। পাশাপাশি ২০২৫ সালের সেরাদের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও জায়গা পেয়েছেন তিনি।

প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুই মৌসুমে লন্ডন ডোনাভান এমএলএস এমভিপি অর্থাৎ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার হাতছানি ইন্টার মায়ামি অধিনায়ক মেসির সামনে। এই ক্যাটাগরিতে মোট আছেন পাঁচজন। মেসির সঙ্গে লড়াইয়ে আছেন লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির ডেনিস বুওয়ানগা, স্যান ডিয়েগো এফসির আনহেস দাহায়া, এফসি সিনসিনাটির এভান্দের এবং ন্যাশভিল এসসির স্যাম সারিজ।
এমএলএসের মৌসুম সেরা গোল এবং মৌসুম সেরা সেভ নির্ধারণ করা হবে অনলাইন ভোটে এবং এর ঘোষণা দেওয়া হবে আগামী সোমবার।

চেজে স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই ন্যাশভিলকে চেপে ধরে মায়ামি। গোলের জন্যও খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ১৯ মিনিটে ডি বক্সে লুইস সুয়ারেজের ক্রস পান মেসি। এরপর শরীর শূন্যে ভাসিয়ে দারুণ এক হেডে জাল কাঁপান।
৬২ মিনিটে মায়ামির হয়ে ব্যবধান বাড়ান তাদেই আলেন্দে। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন মেসি। তাতেই এমএলএসের সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ গোলের মালিক এখন মেসি। আগের রেকর্ডটি যৌথভাবে কার্লোস ভেলা ও ডেনিস বোয়াঙ্গার দখলে ছিল। এক পঞ্জিকাবর্ষে সমান ৩৮ গোল করেছিলেন তারা।



