সংগঠক হওয়ার মেয়াদটা মাত্র দুই মাস টিকল মোহাম্মদ আশরাফুলের। এ বছরের ৮ জুলাইয়ে ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে জায়গা পান মোহাম্মদ আশরাফুল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮-এর ধারা ২(১৫) অনুযায়ী গঠিত হয়েছিল ১১ সদস্যের সেই কমিটি। দুই মাসের ব্যবধানে ৮ সেপ্টেম্বর আবারও নতুন করে অ্যাডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
সেই কমিটিতে নেই আশরাফুলের নাম। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের জায়গায় যুক্ত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এ ছাড়া সাথিরা আক্তার জেসির পরিবর্তে ঢাকা জেলার অ্যাডহক কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে।
এনএসসির এমন সিদ্ধান্তে ঢাকার বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার পরিচালক হয়ে বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথটা সুগম হলো বুলবুলের। বিসিবি সভাপতি ছাড়াও ওই অ্যাডহক কমিটিতে আছেন আরও ১০ জন। যারা সবাই আগের কমিটিতেও ছিলেন। কিন্তু দুই মাসের ব্যবধানে আশরাফুলকে সরিয়ে দেওয়া কেন? বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক কী এটা ইতিবাচক হিসেবে নিবেন?
আশরাফুল অবশ্য নেতিবাচক কিছু দেখছেন না। গণমাধ্যমে তিনি বললেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-১২ ক্রিকেট খেলার সময় থেকে বুলবুল ভাই আমার রোল মডেল। তিনি বিসিবির সভাপতি। সামনে নির্বাচনও করবেন। কাউন্সিলরশিপের জন্য তার কমিটিতে থাকা দরকার। আমি এটা মেনে নিয়েছি। আমি তো নির্বাচন করবো না। কাউন্সিলরও হবো না। তাই ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছি এটা।’’
এনএসসি থেকে পরিচালক হয়ে বিসিবিতে আসার সুযোগ আছে বুলবুলের। তবে সরকার বদলে গেলে সেই কোটা হারানোর শঙ্কাও আছে। অন্য কোনো ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হলে সেটা করার সুযোগ নেই এনএসসির। এজন্যই হয়তো আশরাফুলের জায়গায় এলেন তিনি।
বিসিবি সভাপতি পদে বুলবুলের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন আশরাফুলেরই সাবেক সতীর্থ তামিম ইকবাল। আশরাফুল শুভকামনা জানালেন দুজনকেই, ‘‘তামিম বর্তমান ক্রিকেটার। আর বুলবুল ভাই আইসিসির চাকরি ছেড়ে বিসিবিতে এসেছেন। দুজনই যোগ্য। দুজনের জন্যই শুভকামনা। আমি কোচিং নিয়ে আছি। ওটা নিয়েই থাকতে চাই। চার-পাঁচ বছর পর কেউ যদি আবারও সংগঠক হওয়ার প্রস্তাব দেয় তখন দেখা যাবে।’’