আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে কোনও সংশয় রাখতে চাইছে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বিকল্প নেই- প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একথা বলার পর তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানালেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে সংসদ নির্বাচন।
শুক্রবার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় কবি ফররুখ আহমদের পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শনকালে শফিকুল আলম সংসদ নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বলে বাসস জানিয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের এপ্রিলে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত মে মাসে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর ড. ইউনূস নির্বাচনের সময় ফেব্রুয়ারিতে এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত জানান।
বিএনপিসহ অধিকাংশ দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে সম্মত হলেও অভ্যুত্থানকারীদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি ভোটের চেয়ে সংবিধানসহ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হচ্ছে।
জুলাই সনদ প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “মাথায় রাখতে হবে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোনও বিকল্প আমাদের হাতে নেই।”
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মৌলিক সংস্কারগুলো তার আগেই চূড়ান্ত করে ফেলার ওপর জোর দেন তিনি।
ড. ইউনূস সেই সঙ্গে আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানতম তিনটি ম্যান্ডেটের অন্যতম হচ্ছে সংস্কার। তাই নির্বাচন ও বিচারের মতোই সমান গুরুত্ব দিয়ে জুলাই সনদের বিষয়টিকে দেখতে হবে।”
তার একদিন পর মাগুরায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল বলেন, নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
“অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার কোনও ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।”
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণ করবে।