যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তবে বিরোধের মীমাংসা তো হয়নি। তাই ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনায় বসতে হবে। কিন্তু সেই আলোচনা কোথায় হতে পারে?
নিরপেক্ষ স্থান হিসাবে সৌদি আরবকে সেই আলোচনার েভন্যু করার প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী েশহবাজ শরিফ, এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সংবাদপত্র ডন।
গত এপ্রিলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই বৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে।
ভারত অভিযোগ করে, এই সন্ত্রাসীরা মদদ পাচ্ছে পাকিস্তান থেকে। অন্যদিকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের অভিযোগ যাচাইয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাব তোলে পাকিস্তান।
দুই পক্ষের উত্তেজনা গত ৭ মে যুদ্ধে গড়ায়, যখন ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে। তা ঠেকাতে ‘মারকা-ই-হক’ নামে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে পাকিস্তান।
চারদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎপরতায় নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। তাদের যে বিরোধ, তা আলোচনার মধ্য দিয়ে মীমাংসার জন্যও যুক্তরাষ্ট্র থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে শেহবাজ শরিক বুধবার ইসলামাবাদে তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে আলোচনার স্থান হিসাবে সৌদি আরবের কথা বলেন।
বৈঠকে থাকা একজন ডনকে বলেন, আলোচনার জন্য সম্ভাব্য স্থান হিসাবে চীনের কথা উঠলে শেহবাজ তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এতে ভারত কখনও রাজি হবে না।
এরপর শেহবাজ আশা প্রকাশ করেন যে সৌদি আরব তৃতীয় দেশ হতে পারে, যেখানে উভয় পক্ষ আলোচনায় বসতে পারে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের বিষয়ে ভারতের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনায় কাশ্মীর, পানি, বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদ হবে মূল বিষয়।
কাশ্মির জন্ম থেকেই দুই দেশের বিরোধের বিষয়। পহেলগামে হামলার পর সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত, তার পাল্টায় পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সব চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিলে তাদের আন্তঃবাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। আর ভারত বরাবরই অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তান বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের আতুরঘর।
শেহবাজ আরও বলেন, দুই পক্ষের সম্ভাব্য আলোচনায় পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইসলামাবাদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
দুই পক্ষের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।