Beta
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
Beta
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

ইসরায়েলের বেলায় নিজেদের আইনই মানছে না যুক্তরাষ্ট্র

২০ এপ্রিল, ২০২৪-এ অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারমের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান।
২০ এপ্রিল, ২০২৪-এ অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারমের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণ নাগরিক ওমর আসাদ। তাকে হাতকড়া পরিয়ে, চোখ বেঁধে এবং মুখ বন্ধ করে একটি ঠান্ডা কার পার্কে ফেলে রেখেছিল ইসরায়েলি সেনারা। ওই অবস্থাতেই ওমরের মৃত্যু হয়।

২০২২ সালের জানুয়ারির এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং জড়িতদের জবাবদিহি করার দাবি ওঠে। ৮০ বছর বয়সী ওমর আসাদকে হত্যা করা ইসরায়েলি সেনা ইউনিটকে সামরিক সহায়তা সীমিত করতে দেশের নিজস্ব আইন প্রয়োগের আহ্বানও জানান যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা। ওমর আসাদকে আটক করা ইসরায়েলের কুখ্যাত নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে চরম অমানবিক কর্মকাণ্ডের আরও অভিযোগ রয়েছে।

আলোচিত ওই ঘটনার দুই বছরেরও বেশি সময় পরে এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, কোনও ইসরায়েলি সেনা ইউনিটকে সামরিক সহায়তা সীমাবদ্ধ করতে লিহি ল’ প্রয়োগ করা হবে না এখন। যদিও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বিদেশি সামরিক ইউনিটকে সহায়তা নিষিদ্ধ করতেই আইনটি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ (ডিডাব্লিউএএন-ডন) এর অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর রায়েদ জারার বলেন, “ইসরায়েলকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখার দীর্ঘ রীতি অব্যাহত রাখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজস্ব আইনও লঙ্ঘন করছেন, যা আপত্তিজনক।”

গত মাসে সংবাদমাধ্যমে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের উপর লিহি ল’ প্রয়োগ করতে প্রস্তুত। কিন্তু ইসরায়েলি নেতারা প্রকাশ্যে এর জোরাল বিরোধিতা শুরু করলে পিছু হটে যুক্তরাষ্ট্র।

লিহি আইন কী

লিহি আইন হলো যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা আইনের কিছু ধারা, যেগুলোয় চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত বিদেশি কোনও বাহিনীকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট দেশটি তাদের বাহিনীর সংশোধন এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করার জন্য পদক্ষেপ নিলে আইনটিতে তাদের প্রতি সহায়তা পুনরায় চালু করার অনুমতিও দেওয়া আছে।

সিনেটর প্যাট্রিক লিহির নামে এই আইনের নামকরণ করা হয়।

আইনে পররাষ্ট্র দপ্তর ও পেন্টাগনের জন্য দুটি প্রবিধান রয়েছে। তাই ধারাগুলোকে কখনও কখনো বহুবচনে লিহি ল’জ বলা হয়।

চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন কী

যুক্তরাষ্ট্রের আইনে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিশদভাবে বলা আছে।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলতে যা বোঝায় তার মধ্যে অত্যাচার বা নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক আচরণ বা শাস্তি; অভিযোগ ও বিচার ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা; কোনও ব্যক্তিকে অপহরণ এবং গোপনে আটকে রাখার মাধ্যমে নিখোঁজ এবং জীবন, স্বাধীনতা বা ব্যক্তির নিরাপত্তার অধিকারকে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করার কথা আছে।

তবে কয়েক বছর ধরে লিহি ল’ নিয়ে কাজ করা রায়েদ জারার বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রধানত চার ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপর দৃষ্টি দেয়- বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক গুম।

আইনটি কীভাবে কাজ করে

যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য গ্রহণকারী দেশের কোনও বাহিনীর কোনও ইউনিটের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেলে পররাষ্ট্র দপ্তরকে এই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমে বিষয়টি সেই দেশের সরকারকে জানানো হয়, যাতে তারা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে পারে।

প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শক হ্যারিসন বলেন, এই আইনের প্রয়োগ এমনিতেই হওয়া উচিৎ। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের প্রতি অবিলম্বে সহায়তা বন্ধ করতে হবে। এটি নিয়ে কোনও আলোচনা বা বিশেষ বিবেচনার সুযোগ নেই।

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, “এই আইন আলোচনার জন্য নয়। এটি নির্বাহী শাখার জন্য একটি বাধ্যতামূলক দেশীয় আইন।”

ইসরায়েলের বেলায় যুক্তরাষ্ট্র কী করছে

ইসরায়েলি বাহিনীগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষ ইসরায়েল লিহি ভেটিং ফোরাম রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে যে কেউ লিহি আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারে। ওমর আসাদের হত্যার পর ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল।

তবে রায়েদ জারার বলেন, লিহি আইনে অভিযোগের ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে তাদের বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অনুসন্ধানের জবাব দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেয়। অথচ অন্য কোনও দেশের জন্য এমন সুযোগ নেই।

এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কখনও লিহি আইন প্রয়োগও করা হয়নি।

গত ২০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এক্সিওসে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। লিহি আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। এরপরই আইনটি আলোচনায় আসে।

এই খবরে ইসরায়েল কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়

ইসরায়েলি নেতারা দৃঢ়ভাবে তাদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপের বিরোধিতা শুরু করেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এই খবর ছড়িয়ে পড়ার কয়েকদিন পর নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন পরিদর্শনে যান।

গ্যালান্ট সেখানে গিয়ে বলেন, “পৃথিবীতে কেউ আমাদের মূল্যবোধ ও নৈতিকতা শেখাতে পারে না। আমরা সাতটি সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শুরুতে রয়েছি। পুরো নিরাপত্তা বাহিনী আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।”

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও পদক্ষেপ “বিপজ্জনক নজির স্থাপন করবে এবং যুদ্ধের সময় আমাদের যৌথ শত্রুদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে।”

বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে বেনি গ্যান্টজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র কী বলেছে

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবার বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাঁচটি ইউনিটের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে তাদের উপর লিহি ল’ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটিই কার্যকরভাবে তাদের সেনাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকার করেছে।”

তিনি জানান, পঞ্চম ইউনিটটির সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি নেতজাহ ইয়েহুদা ইউনিট।

গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ওই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো ঘটে, বলেন বেদান্ত প্যাটেল।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ইউনিটগুলোর নাম বা তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবেলায় নেওয়া পদক্ষেপগুলোও প্রকাশ করেনি। এতে ইসরায়েলের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা কী

হ্যারিসন বলেন, আইনটি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ইউনিটগুলোকে পুনরায় সামরিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মানদণ্ড নির্ধারণ করে দেয়।

অবিচারে জড়িত সেনাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “অভিযোগগুলো অবশ্যই তদন্ত করে বিচার করতে হবে এবং শাস্তিও দিতে হবে।”

কিন্তু ইসরায়েল খুব কমই তার নিজের সেনাদের বিচার করে। যেমন ফিলিস্তিনি আমেরিকান ওমর আসাদ হত্যার জন্য কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত কীভাবে লিহি আইন লঙ্ঘন করে

হ্যারিসন বলেন, বাইডেন প্রশাসন আইন অনুযায়ী কাজ করছে না। আইন অনুযায়ী প্রথমে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ইউনিটগুলোকে অর্থ সহায়তা স্থগিত করতে হবে। তারপরে বিদেশি সরকারের সঙ্গে জবাবদিহিতার বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর অন্তত এমন একটি ইসরায়েলি সেনা ইউনিটকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে, যা তার সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেয়নি।

হ্যারিসন আল জাজিরাকে বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা জানার পরও বছরের পর বছর সহায়তা অব্যাহত রাখা স্পষ্টতই লিহি ল’য়ের লঙ্ঘন।

এ প্রসঙ্গে রায়েদ জারার বলেন, বাইডেন প্রশাসন কেবল আইনই লঙ্ঘন করেনি, আইনের বাইরে গিয়ে ইসরায়েলকে নজিরবিহীনভাবে ৯০ দিন সময়ও দিয়েছে।

তিনি বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থ সহায়তা বন্ধ করার আদেশ দেননি। তার মানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন করছেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় তিনি আমাদের আইন ভঙ্গ করছেন।”

বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ণ

ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বছরে কমপক্ষে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা পায়। বাইডেন গত মাসে ইসরায়েলের জন্য অতিরিক্ত ১৪ বিলিয়ন ডলারের সহায়তায় বিলে স্বাক্ষর করেছেন।

জারার মনে করেন, একটি মাত্র ব্যাটালিয়নকে সহায়তা বন্ধ করা ছোট মনে হলেও এতে অনেক বড় প্রভাব পড়ত।

তিনি বলেন, এটি এই বার্তা পাঠাত যে, ইসরায়েল বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী নয়; নিজেদের জবাবদিহি করার আইনসঙ্গত কোনও ব্যবস্থা নেই ইসরায়েলের।

“এটি ওয়াশিংটন ও তেল আবিবে শক্ত সিগনাল পাঠাত যে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের তালিকায় ইসরায়েলের নামও উঠে গেছে। এর অর্থ ইসরায়েলকে একটি নতুন বাস্তবতা মোকাবেলা করতে হবে। ব্ল্যাঙ্ক চেক নীতির দিন শেষ হয়ে গেছে।”

জারার বলেন, এক সেনা ইউনিটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ হলে ইসরায়েলকে দেওয়া দেশটির সহায়তা আরও স্বচ্ছতা, তদরকি ও জবাবদিহিতার মধ্যে আসত।

গাজা যুদ্ধে কি লিহি আইন প্রযোজ্য

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ এবং নারী ও শিশু। গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের বন্যা বইছে।

হ্যারিসন ও জারার উভয়েই বলছেন, গাজায়ও ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য লিহি আইন প্রযোজ্য হওয়া উচিৎ।

যুদ্ধের আচরণ মূলত আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের মানদণ্ডে পরীক্ষা করা হলেও হ্যারিসন বলেন, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন যুদ্ধের আইন লঙ্ঘনকেও ছাড়িয়ে যায়।

তিনি বলেন, উদাহরণস্বরূপ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং যৌন সহিংসতা ও নির্যাতন উভয়ই চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।

হ্যারিসন বলেন, “যুদ্ধের সময় কোনও অপরাধের ঘটলে তাও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে, সেক্ষেত্রেও লিহি আইন প্রয়োগযোগ্য।”

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত