মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় কভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় প্রাইভেটকার খাদে পড়ে বাবা ও ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের ভবেরচর ফাঁড়ির পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।
নিহতরা হলেন– চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন (৫৮), তার ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৭) ও মামী রাহেলা বেগম (৫৫)।
দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারের চালক ইব্রাহিম খলিল সুজন (৩৩) ও নিহত আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০) আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, আলমগীর হোসেন কুয়েত প্রবাসী ছিলেন। সম্প্রতি তিনি দেশে ফেরেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকেন ঢাকার ডেমরা এলাকায়। শুক্রবার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় কাদরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে তারা রওনা হন। এ সময় রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সঙ্গে করে ঢাকায় নিয়ে আসছিলেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, রাত দেড়টার দিকে প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে একটি কভার্ড ভ্যান প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেলে আলমগীর হোসেনসহ ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। চালকসহ আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার রিফাত মল্লিক বলেন, রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশ মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাদিয়া আফরিন জানান, রাত আড়াইটার দিকে ৫ জনকে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহত দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার পর পর কভার্ড ভ্যানসহ চালক পালিয়ে গেছে। আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
