Beta
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
Beta
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

মুরগির দাম কে ঠিক করে

প্রোটিনের অন্যতম উৎস মুরগি কিনতে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
প্রোটিনের অন্যতম উৎস মুরগি কিনতে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of অনিক রায়

অনিক রায়

ঢাকার বাজারে কয়েকদিনের ব্যবধানে শুধু ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০-৫০ টাকা। দাম বাড়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে প্রথমত অজুহাত দেওয়া হচ্ছে চলমান দাবদাহের। তবে ঢাকার পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা গরমের চেয়ে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলিকেই বেশি দায়ী করছেন।

যদিও অতিরিক্ত দামে মুরগি বিক্রি ও বাজার নিয়ন্ত্রণে করপোরেটদের হস্তক্ষেপের এই অভিযোগ পুরনো। এবং বরাবরের মতোই কোম্পানিগুলো দাবি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

অন্যদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, এসব তো তাদের একার দেখার বিষয় না। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরও কাজ করার জায়গা আছে।

দাম বৃদ্ধির কারণ

ঢাকার কারওয়ান বাজার, খিলগাঁওয়ের গোরান বাজার ও মহাখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দেশি মুরগি ৭২০ টাকা, ব্রয়লার ২০০-২২০ টাকা, লাল লেয়ার ৩৪০-৩৫০ টাকা, সোনালি ৩৯০ টাকা, রোস্টের কর্ক ৩৮০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৯০ টাকা ও সাদা কক ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছে, মুরগির পরিমাণ বাজারে কম। আর পাইকার থেকেই বেশি দামে কেনা পড়ছে, তাই দাম বেশি।

দাম বৃদ্ধির তিন কারণ

তাপপ্রবাহ : চলমান তাপপ্রবাহের কারণে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে বলে দাবি করেছে পোল্ট্রি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এ কারণে প্রতিদিন ২০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে বলে দাবি তাদের।

ছোট খামারিদের লোকসান : তাপপ্রবাহের কারণে ছোট খামারিরা বড় লোকসানের ভয়ে তাদের মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে বাজারে মুরগির পরিমাণ কমে গেছে।

করপোরেট নিয়ন্ত্রণ : দেশের মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি খাদ্যের (ফিড) সিংহভাগ উৎপাদন করছে কয়েকটি কোম্পানি। পাশাপাশি ডিম ও মাংসের বাজারেরও বড় অংশ তাদের দখলে। বাজারে তাদের নিয়ন্ত্রণ বেশি থাকায় তারা ইচ্ছেমতো দাম ঠিক করতে পারছে।

বড় লোকসানের ভয় ছোট খামারিদের

চলমান তাপপ্রবাহের ফলে দেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে বলে দাবি করেছে পোল্ট্রি মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এ কারণে প্রতিদিন ২০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে বলে দাবি তাদের।

গত ২৭ এপ্রিল দেওয়া বিপিএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১০-১২ দিনে সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালি মুরগি মারা গেছে, যাতে ক্ষতি ২০০ কোটি টাকার মতো। এসব মুরগির মধ্যে ৮০ শতাংশ ব্রয়লার, ১০-১৫ শতাংশ লেয়ার, বাকি ৫ শতাংশ সোনালি মুরগি। গরমের কারণে মুরগির উৎপাদন কমেছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত, ডিমের উৎপাদন কমেছে ৪ শতাংশ। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করে বিপিএ।

গরমে বিভিন্ন জায়গায় মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনা শোনা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই। এ বিষয়ে ঢাকার সবচেয়ে বড় মুরগির আড়ৎ কাপ্তানবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাপ্তান বাজারের এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, “ছোট খামারে মুরগি মারা গেলে তাদের বড় লোকসান হয়। তাই আগে আগে মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছে। যেই মুরগি হয়তো ১০-১৫ দিন পর বিক্রি করলে ভালো ওজন হতো, সেটা মারা যাওয়ার ভয়ে আগে আগে বিক্রি করে দিচ্ছে।”

কাপ্তান বাজারে মুরগির দাম ঠিক হয় জোগান ও চাহিদার উপর উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দুইদিন আগেও ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ বেশি ছিল। দৈনিক গড়ে ৩০০ মুরগি বোঝাই ট্রাক আসত। ছোট খামারিরা তাদের মুরগি ছেড়ে দেওয়ায় জোগান বেড়েছিল,যদিও সেগুলো আকারে-ওজনে কম ছিল। বাজার ১৫০ টাকা কেজিতে শুরু হলেও ভোরে দাম কমে ১৩০ টাকায় চলে আসত। কারণ,ক্রেতা কম ছিল।

“তবে গত দুইদিন বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। দিনে ১৮০-২০০টি ট্রাক আসছে। ফলে গত রাতে ব্রয়লারের দাম ১৫০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকায় উঠেছে।” 

ব্যবসায়ীরাও করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণে

মে মাসের শেষ দিকে মুরগির দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা কাপ্তানবাজারের ব্যবসায়ীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যবসায়ী বলেন, “ছোট খামারিদের হাতে আর মুরগি নেই। এখন যা আছে, বেশিরভাগই করপোরেটদের হাতে। ফলে ধীরে ধীরে তারা দাম বাড়াবে।

“আমি কেন আমার নাম জানাতে আপনাকে মানা করেছি জানেন? কারণ, আমিও করপোরেট কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে মুরগি আনি। আমার নাম বের হলে ব্যবসার ক্ষতি হবে, তাই নাম বলতে চাচ্ছি না। কাপ্তানবাজারের বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই আসলে করপোরেট কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে ব্যবসা চালাচ্ছে।”

ছোট খামারিরা এই গরমে তাদের সব মুরগি ছেড়ে দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সামনে শুধু করপোরেটদের হাতে মুরগি থাকবে। কারণ, এদের অনেক টাকার বিনিয়োগ। তারা তাদের খামারগুলোও অত্যাধুনিক। এই গরমেও তাদের মুরগির কোনও সমস্যা হচ্ছে না।”

সামনে বড় কোম্পানিগুলো ইচ্ছামতো দাম ঠিক করবে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “তারা দাম ঠিক করে দেবে। আমাদের সেই দামে মুরগি বিক্রি করতে হবে।”

কাপ্তানবাজারের ব্যবসায়ীরা কেন করপোরেটদের দিকে বেশি হেলে পড়ছে, সেই ব্যাখ্যাও দেন আরেক ব্যবসায়ী। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “কোম্পানিগুলো আমাদের কাছ থেকে আগেই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ রেখে দেয়। ফলে দাম যা-ই হোক, তারা আমাদের মুরগি দেবে। এই নিশ্চয়তার জন্যই প্রায় সবাই ওদের সাথে ব্যবসা করে।

“ছোট খামারিদের সাথে ব্যবসা করা একটু জটিল। আমার ট্রাকের ড্রাইভারের সাথে টাকা পাঠাতে হয়। মুখে বলবে এক সাইজের কথা, আর গিয়ে দেখব আরেক সাইজ। অন্যদিকে, কোম্পানিগুলোর খামারে আমার ড্রাইভারের থাকার জন্য, খাওয়ার জন্য কিংবা গোসলের জন্য জায়গা আছে। আমিও নিশ্চিত থাকি মুরগি নিয়ে।” 

এ পরিস্থিতিতে ছোট খামারিরা ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, “বিভিন্ন কারণে ঠকে ছোট ব্যবসায়ীরা। তখন হয় তারা ব্যবসা ছেড়ে দেয়, তা না হলে বড় কোম্পানিদের সাথে চুক্তিতে মুরগি পালে। এভাবে পুরো বাজার বড় কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। তারাই ঠিক করছে কী হবে, না হবে।”

ব্যবসার কতটা করপোরেটদের দখলে

দেশের মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি খাদ্যের (ফিড) সিংহভাগ উৎপাদন করছে কয়েকটি কোম্পানি। পাশাপাশি ডিম ও মাংসের বাজারেরও বড় হিস্যা তাদের দখলে।

প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনের পাশাপাশি চুক্তির ভিত্তিতে কোম্পানির বাইরে অন্য অনেক খামারিকেও কাজে লাগাচ্ছে কোম্পানিগুলো। বাজারের আকৃতি, মুনাফাসহ ব্যবসায়িক বিভিন্ন তথ্য প্রকাশের বিষয়ে কোম্পানিগুলো বরাবরই এক ধরনের গোপনীয়তা বজায় রাখে।

কোম্পানিগুলোর দাবি, ডিম ও মাংসের বাজারে তাদের নিয়ন্ত্রণ ১০-১৫ শতাংশের বেশি হবে না। যদিও খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পোলট্রি পণ্যের বাজারের সিংহভাগই কোম্পানিগুলোর দখলে। বলতে গেলে বাজারের গতিপ্রকৃতি তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে।

পোলট্রি বাজারে বর্তমানে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানকে প্রভাবশালী হিসেবে দেখা হয়, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কাজী ফার্মস, নারিশ, প্যারাগন, আফতাব, কোয়ালিটি, প্রোভিটা, সিপি, ডায়মন্ড এগ ও জামান গ্রুপ।

পোলট্রি খাতে মাংস ও ডিমের জন্য মুরগির একদিন বয়সী বাচ্চা কিনে থাকে খামারিরা। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসব বাচ্চা যেসব মোরগ-মুরগির মাধ্যমে উৎপাদন হয়, সেগুলোকে বলা হয় প্যারেন্ট স্টক (পিএস)। আর পিএস উৎপাদন হয় গ্র্যান্ড প্যারেন্ট স্টক (জিপি) থেকে। দেশে জিপি ও পিএসের বাজারের পুরোটাই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে। ব্রয়লারের জিপি স্টকের বাজারে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ৮৫ শতাংশ।

ঢাকার নেদারল্যান্ডস দূতাবাস দেশের পোলট্রি খাতে কর্পোরেটগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক গবেষণা চালায়। গবেষণার ভিত্তিতে ২০২০ সালে প্রকাশিত ‘পোলট্রি সেক্টর স্টাডি বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উঠে আসে, দেশে মাংসের জন্য পালনকৃত ব্রয়লার মুরগির জিপি স্টক সবচেয়ে বেশি রয়েছে কাজী ফার্মস গ্রুপের। দুটি খামারে তাদের ৪৯ হাজার জিপি ব্রয়লার রয়েছে। ব্রয়লারের জিপির বাজারের ৩৪ শতাংশই কাজী ফার্মসের দখলে। প্রতিষ্ঠানটির ব্রয়লার ও লেয়ারের পিএস খামার রয়েছে সাতটি। যেগুলো একদিন বয়সী বাচ্চা উৎপাদন করছে। কোম্পানিটির জবাইখানায় একদিনে ১০ হাজার মুরগি প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা রয়েছে। তাদের মোট হ্যাচারির সংখ্যা ১৩টি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ফিড কারখানা রয়েছে দুটি।

কাজী ফার্মসের মতোই প্যারাগন, আফতাব, নারিশ ও সিপিও একই সঙ্গে খাদ্য, বাচ্চা, ডিম ও মাংস উৎপাদন করে থাকে। প্যারাগন গ্রুপের দুটি খামারে ব্রয়লারের জিপি রয়েছে ১৪ হাজার। জিপি ও লেয়ার ফার্মের সংখ্যা ৩টি।

অভিযোগ ভিত্তিহীন?

মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে করপোরেটদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন দেশের কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাতের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস গ্রুপের বিক্রয় বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবু কায়সার মো. সালেহ।

সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “যারা আমাদের নামে এসব অভিযোগ দিচ্ছে, তারাও তো আমাদের কাছ থেকেই মুরগি নিচ্ছে। সেটা তো কাগজপত্র করেই নিচ্ছে, সেখানে দাম লেখা থাকে। সেটা দেখলেই হয়।

“সরকার যে দাম ঠিক করে দিচ্ছে, সেই দামেই আমরা বিক্রি করছি। আমাদের সব কাগজপত্র করা আছে। সরকারের নিয়ম মেনেই আমরা ব্যবসা করছি। ফলে এসব অভিযোগের কোনও মানে হয় না।”

তবে করপোরেটদের কাছ থেকে মুরগি কেনেন এমন এক ব‍্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গত তিন/চার মাস ধরে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রশিদ দিচ্ছে না।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে অতিরিক্ত দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির কারণ জানতে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এই ৪ প্রতিষ্ঠান হলো কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ ও প্যারাগন পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড।

এছাড়া ২০২২ সালে ডিমের বাজারে অস্থিরতার সুযোগে প্রতিটি ডিমে ৩ টাকা ১৫ পয়সা লাভ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল কাজী ফার্মস গ্রুপের বিরুদ্ধে।

কেন তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ— এ প্রশ্নের জবাবে আবু কায়সার মো. সালেহ বলেন, “আমাদের পক্ষে তো এটা বলা মুশকিল। যে যার জায়গা থেকে বলতে পারবে, কেন তারা এসব বলে। আমরা সৎভাবে ব্যবসা করি, কে কী বলল আমাদের নামে- সেটা গুরুত্বপূর্ণ না।”

কী বলছে ভোক্তা অধিকার

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সঙ্গে কথা হয় সকাল সন্ধ্যার। মুরগির বাজার যে নতুন করে চড়ছে, এর কারণ কী—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সমস্যা প্রতিদিনই হচ্ছে। এর আগে যখন মুরগির দাম ৩০০ টাকা হয়ে গিয়েছিল, আমরা তখনও কাজ করেছি। এবারও যদি এরকম কিছু হয় আমরা কাজ করব।

“কিন্তু এসব তো শুধু আমাদের একার দেখার বিষয় না। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরও কাজ করার জায়গা আছে। ভোক্তা পর্যায়ে যদি দাম সহনশীলতার মাত্রা পেরিয়ে যায়, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত