Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

হাতিয়ায় বিষধর ইয়েলো বেলিড সাপ

হাতিয়ায় সৈকতে দেখা দেওয়া সি বেলিড স্নেক।
হাতিয়ায় সৈকতে দেখা দেওয়া সি বেলিড স্নেক।
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, নোয়াখালী

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, নোয়াখালী

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় একটি সাপ দেখার খবরে স্থানীয়দের মধ্যে এবং সোশাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা।

স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ তাসনিম মাহমুদ তামিম ঘুরতে চর ইশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে বুধবার এই সাপটি দেখতে পান। তার কাছে শুনে আরও অনেকে যান সাপটি দেখতে। সাপের কয়েকটি ছবি সোশাল মিডিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়ে।

ছবি দেখে স্থানীয় বন কর্মকর্তারা সাপটি সাগরের ‘ইয়েলো বেলিড’ সাপ বলে শনাক্ত করেছেন। এই প্রজাতির সাপ বাংলাদেশে সচরাচর দেখা যায় না। সাগরের সাপটি জোয়ারে উপকূলের কাছে চলে এসেছিল বলে তাদের ধারণা।

তাসনিম মাহমুদ সাংবাদিকেদর বলেন, “আমি সাপটি দেখে ভয় পেয়েছি। এমন সাপ কখনও দেখিনি। পরে অনেকে ভিড় জমায় সাপটি দেখার জন্য।”

তিনি জানান, সাপটার পেটের রঙ হলুদ এবং দেহের উপরিভাগ কালো।

হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, “গতকালই প্রথম হাতিয়ায় ‘ইয়েলো-বেলিড সি’ সাপটি দেখা গেছে। আমাদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। আমরা বনবিভাগসহ ঊর্ধ্বতনদের সাথে কথা বলেছি।”

তবে উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল বলছেন, এই প্রজাতির সাপ এর আগে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সৈকতে দেখা গিয়েছিল।

তিনি বলেন, “এটা বিষধর সাপ। সচরাচর এদের দেখা যায় না। গত বছরে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এই সাপ দেখা গিয়েছিল। এবার হাতিয়ায় দেখা মিলল।

“এরা বেশিরভাগ সময়েই অগভীর পানিতে থাকতে পছন্দ করে। উপকূলের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে থাকে। হাতিয়ার সাপটি জোয়ারের প্রভাবে উপরে উঠেছে।”

উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, “ভয়ঙ্কর বিষধর এই সাপের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশে নেই। তাই সৈকতে এই ধরনের সাপ দেখলে লোকজনের সতর্ক হওয়া উচিৎ। সাপ দেখলে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সাপটিকে সমুদ্রে চলে যেতে দিতে হবে।”

সাপটির বৈজ্ঞানিক নাম হাইড্রোফিস প্ল্যাটেরাস। এই সাপের আবাসস্থল সাগর। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে এই সাপের বাস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত