Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

জানা গেল পাহাড়ে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার ৪ জনের পরিচয়

ছবির উপরে বাম থেকে সাজোয়া যান, ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়ি, নিচে ডানে গাড়ির চালক ও গ্রেপ্তার তিন কেএনএফ সদস্য।
ছবির উপরে বাম থেকে সাজোয়া যান, ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়ি, নিচে ডানে গাড়ির চালক ও গ্রেপ্তার তিন কেএনএফ সদস্য।
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, কক্সবাজার

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, কক্সবাজার

বান্দরবানের থানচিতে ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার চারজনের পরিচয় জানা গেছে।

তারা হলেন- কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সক্রিয় সদস্য ভানুনুন নুয়াম বম, জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বম এবং উদ্ধার করা গাড়ির চালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সাগর।

সোমবার বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রবিবার বান্দরবানের থানচি ও রুমায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে রবিবার বান্দরবান জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৫ ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন যৌথ অভিযানে কেএনএফ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী চেওসিম বমসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছিলেন। তবে সেদিন বাকি চারজনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, বান্দরবান সদরের রেইছা চেকপোস্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয় কেএনএফ সদস্য ভানুনুন নুয়াম বম। তিনি রোয়াংছড়ির ১ নম্বর রোয়াংছড়ি ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড রৌনিন পাড়া এলাকার জিংচুন নুং বমের ছেলে।

কেএনএফের গ্রেপ্তার অপর দুই সদস্য জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বম সম্পর্কে ভাই-বোন জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তারা থানচির ৩ নম্বর সদর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সিমতাংপি পাড়া লাল মুন চম বমের সন্তান।

তিনি জানান, উদ্ধার করা গাড়ির চালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সাগরকে থানচির টিএনটি পাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মো. ইউছুফের ছেলে।

পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, “থানচিতে যৌথবাহিনী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া কেএনএফের তিন সক্রিয় সদস্যের মধ্যে একজন ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত।”

এদিকে, রুমা-থানচিতে কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে চারটি সাঁজোয়া যান। এসব যানে করে এ দুই উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল দেবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সাঁজোয়া যান প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, “চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চারটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও বাড়ানো হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসব সাঁজোয়া যান রুমা-থানচি উপজেলায় ব্যবহৃত হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত