রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কসহ রাঙ্গামাটির কয়েকটি স্থানে আধাবেলা অবরোধ পালন করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রট (ইউপিডিএফ)।
বান্দরবানে কেএনএফবিরোধী যৌথ অভিযানে ‘নিরীহ মানুষদের নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার, আটক ও হয়রানির’ প্রতিবাদে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ে ‘বাধা-নিষেধ’ প্রত্যাহারের দাবিতে গত মঙ্গলবার সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছিল ইউপিডিএফ। বৃহস্পতিবার সেই কর্মসূচিই পালন করা হয়।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
শুরু থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং স্থানীয়রা এসব ঘটনার জন্য কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) দায়ী করে আসছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অভিযানে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে দুদিন আগে পুরো রাঙ্গামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাকে দেয় ইউপিডিএফ। তবে বুধবার রাঙ্গামাটি শহরে অবরোধ শিথিলের কথা জানানো হয়।
ভোর ৫টা থেকে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন ইউপিডিএফের নেতাকর্মীরা।
অবরোধের বিষয়ে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বেতবুনিয়া, মঘাছড়ি, ঘাগড়াসহ বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ কর্মসূচি সফল করা হয়।
“এছাড়া রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের সাপছড়ি, কুতুকছড়ি, ঘিলাছড়ি, তৈন্যাপাড়া (১৭ মাইল), নানিয়ারচরের টিএন্ডটি বাজারসহ বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটন সড়ক, বাঘাইহাটের দ্বোপদা, নাকশাছড়ি, ১৪ কিলো ও মাচালং ব্রিজপাড়া একইভাবে অবরোধের আওতায় ছিল।”
অবরোধের সময় রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক ও সাজেক পর্যটন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানান নিরন চাকমা।
তবে রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভবাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিনের মতোই লঞ্চ ও নৌযান ছেড়ে যায়।
অবরোধ চলাকালে রাঙ্গামাটিতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে জেলার পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সড়ক থেকে গাছের গুঁড়ি ও জ্বলন্ত টায়ার সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।