Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

অফশোর ব্যাংকিংয়ের আইন হলে কী লাভ   

অফশোর ব্যাংকিংয়ে 
লেনদেন চলে  অনিবাসীদের মাধ্যমেই। প্রতীকী ছবি।
অফশোর ব্যাংকিংয়ে লেনদেন চলে অনিবাসীদের মাধ্যমেই। প্রতীকী ছবি।
Picture of শেখ শাফায়াত হোসেন

শেখ শাফায়াত হোসেন

অনেক দেশের অর্থ ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে অফশোর ব্যাংকিংয়ে কর অব্যাহতির মতো উদারনীতি রেখে নতুন আইন চূড়ান্ত করা হচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন অনেক ব্যাংকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা মেনে দেশের অনেক ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরেই অফশোর ব্যাংকিং করে আসছে, তবে এ সংক্রান্ত কোনও আইন এতদিন ছিল না।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভা অফশোর ব্যাংকিং আইন- ২০২৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে, তাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি, রিজার্ভ ও এলসি খোলার সংকটের সমাধানসহ বিদেশি বিনিয়োগ আরও উৎসাহিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আগে চালু থাকা অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের একটি বড় অন্তরায় ছিল সংগৃহীত আমানত ও বিতরণ করা ঋণের ওপর প্রযোজ্য আয়কর।

অনেক দেশে অফশোর ব্যাংকিংয়ের ওপর এই কর অব্যাহতি থাকায় বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তো স্থানীয় ব্যাংকগুলো।

একারণে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে এখাতে কর অব্যাহতি দিয়ে অফশোর ব্যাংকিং আইন প্রণয়ন করতে চলেছে সরকার।

নতুন খসড়া আইনের ১৩নং ধারায় বলা হয়, আপাতত বলবৎ অন্য কোনও আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, (ক-উপধারা অনুযায়ী) অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় অর্জিত সুদ বা মুনাফার ওপর আয়কর বা অন্য কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর আরোপ করা যাবে না। 

উপধারা খ-তে বলা হয়েছে, আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাদের হিসাবের ওপর কোনও শুল্ক বা লেভি আরোপ করা যাবে না। গ-উপধারায় বলা হয়েছে, আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাদের হিসাবের ওপর কোনও শুল্ক ও লেভি আরোপ করা যাবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ আইনের বিষয়ে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “কর অব্যাহতি না থাকার কারণে এতদিন এইচএসবিসি ঢাকার ফান্ডিংও হতো এইচএসবিসি হংকং থেকে। কারণ সেখানে অর্থায়নের ওপর কর নেই। আমরা এ ধরনের কর অব্যাহতির সুযোগ ব্যাংকগুলোকে দিতে পারছিলাম না, কারণ আয়কর আইনে ব্যাংকগুলোকে এই ছাড় দেওয়ার সুযোগ ছিল না।  

“এখন আইনটি পাস হলে ইবিএল, ঢাকা ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের মতো স্থানীয় ব্যাংকগুলো নিশ্চিতে অফশোর ব্যাংকিংয়ের আওতায় অর্থায়ন করতে পারবে। এছাড়া অন্যান্য সব সুবিধাই আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আওতায় ব্যাংকগুলোকে দিয়েছিলাম। তারপরও তারা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল কর ছাড় না থাকার কারণে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী অফশোর ব্যাংকিংয়ের আওতায় সংগৃহীত আমানতের ওপর প্রচলিত ধারার ব্যাংকিংয়ের মতো নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমার (এসএলআর) বাধ্যবাধকতা ছিল। নতুন আইনে সে বিষয়ে অব্যাহতি দেওয়া হবে ব্যাংকগুলোকে। এর ফলে তাদের আমানতের পুরাটাই বিনিয়োগ করতে পারবে। এতে অফশোর ব্যাংকিংয়ের তহবিল আগের থেকে বাড়বে।” 

যেভাবে চালু ছিল

আইন না থাকলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশে একভাবে অফশোর ব্যাংকিং চালু আছে ১৯৮৫ সাল থেকে। তখন এই ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বল্প পরিসরে নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তী সময়ে এ-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা জারি করা হয় ২০১৯ সালে। এখন পর্যন্ত ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৯টি ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্স নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে। এরপর কয়েকটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। এখন এ বিষয়ে আইন করা হচ্ছে।

নতুন আইনেও কেবল তফসিলি ব্যাংকগুলোকে অফশোর ব্যাংকিং করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে কোনও প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ব্যাংকিং করতে পারবে না। অফশোর ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্স আগেও বাংলাদেশ ব্যাংক দিত, নতুন আইনেও এর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করবে।

আইনের খসড়া অনুযায়ী, যেসব ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্স রয়েছে তাদের আর নতুন করে লাইসেন্স নিতে হবে না। যাদের লাইসেন্স নেই তারা লাইসেন্স নিয়ে অফশোর ব্যাংকিং করতে পারবে।

অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা যাবে পাঁচ ধরনের বিদেশি মুদ্রা- ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েন ও চীনা ইউয়ানে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে অন্য বিদেশি মুদ্রায়ও লেনদেনের সুযোগ পাবে ব্যাংকগুলো। এ ধরনের অনেক সিদ্ধান্তই নেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে ন্যস্ত করা হবে বলেও আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে।

সংসদে বিল

দেশে প্রথমবারের মতো অফশোর ব্যাংকিং আইন করতে জাতীয় সংসদে বিল তোলা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শনিবার জাতীয় সংসদে অফশোর ব্যাংকিং বিল–২০২৪ সংসদে উত্থাপন করেন।

পরে বিলটি পরীক্ষা করে এক দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং অর্থ বহিঃউৎস এবং অনুমোদিত বিশেষায়িত অঞ্চলে পরিচালিত শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত তহবিল দ্বারা এই আইনে বর্ণিত শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী অনিবাসী বা ক্ষেত্রমতো বাংলাদেশে নিবাসী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচালিত ব্যাংকিং কার্যক্রম।

রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কগুলোর শতভাগ বিদেশি মালাকিনাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমানত গ্রহণ করতে পারবে। পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট তাদের স্বল্প মেয়াদি ঋণ ও অগ্রিম বা বিনিয়োগ, ঋণপত্র ও গ্যারান্টি সুবিধা প্রদান, বিল ডিসকাউন্টিং, বিল নেগোশিয়েটিং এবং অন্যান্য বৈদেশিক বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বহিঃলেনদেন সেবা প্রদান করতে পারবে।

অনিবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট আমানত ও ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।

অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংক পর্ষদের অনুমোদিত নীতিমালা থাকতে হবে। তফসিলি ব্যাংকের অফশোর কার্যক্রমের জন্য পৃথক হিসাবপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে তহবিল স্থানান্তর করা যাবে।

অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট যেকোনো অনুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট কর্তৃক আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাদের প্রদেয় সুদ বা মুনাফা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করমুক্ত থাকবে। আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাদের হিসাব যেকোনো প্রকাশ শুল্ক ও লেভি মুক্ত হবে।

কর অব্যাহতিতে ব্যবসা বাড়বে  

ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকিং দুই ধরনের- অনশোর ব্যাংকিং ও অফশোর ব্যাংকিং। ব্যাংকগুলো যখন দেশের আমানতকারীদের কাছ থেকে তহবিল নিয়ে দেশের গ্রাহকদের ঋণ দেয়, তখন সেই ব্যাংকিংকে ব্যাংকিংয়ের পরিভাষায় বলা হয় অনশোর ব্যাংকিং। যা আমরা প্রতিনিয়ত দেখি, কিন্তু হয়তো এই পরিভাষাটির সঙ্গে পরিচিত নয় সবাই।

“অফশোর ব্যাংকিং এর ঠিক বিপরীত। অনিবাসীদের কাছ থেকে আমানত নিয়ে দেশে কার্যরত বিদেশি প্রতিষ্ঠান যেমন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকাগুলোতে পরিচালিত শতভাগ বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকে ব্যাংকিংয়ের ভাষায় বলা হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিং। এ দুটি ব্যাংকিং টার্ম।”   

“অফশোর ব্যাংকিং শুরুর প্রথম দিকে স্থানীয় আমনত থেকে তহবিল নেওয়ার সুযোগ ছিল। তবে পরিবর্তে শতভাগ বিদেশি মুদ্রায় তহবিল সংগ্রহ ও লেনদেন করতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পর্যন্ত অনেক বার অফশোর ব্যাংকিংয়ের নীতিমালা পরিবর্তন বা পরিমার্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগে লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যাংকে কোনও অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট ছিল না। পরে একটি করে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটও করতে বলা হয়। এই ব্যাংকিংয়ের আওতায় অর্জিত মুনাফা ও লোকসানের হিসাব মূল ব্যাংকিংয়ে যোগ হবে, এটাও খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া, নতুন কিছু নয়। কারণ, এটা তো ব্যাংকের লেনদেনেরই অংশ।”  

“নতুন আইনে কর অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা যখন এ ধরনের ব্যাংকিং করতাম, তখন দেখতাম কর দেওয়ার ভয়ে অনেক গ্রাহক বা ঋণদাতা সংস্থা বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ব্যবসা করতে চাইতো না।”

“ধরেন ইপিজেডে কাজ করা কোরিয়ান কোনও প্রতিষ্ঠান বাইরের দেশের কোনও কোম্পানির কাছ থেকে মূলধনী যন্ত্রপাতি কিনবে, তার ঋণ দরকার। এই ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। এর ওপর দেশে প্রচলিত আইনে কর অনেক। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান যদি বিদেশি ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে এই ঋণ নেয়, তাহলে তারা দেশের বাইরে থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে পারে। তাতে কর দেওয়ার দরকার হচ্ছে না।”

“তবে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর যেহেতু বাইরের দেশে কার্যক্রম নেই তেমন, সে এই বন্দবস্ত করতে পারে না। ফলে এখন থেকে দেশে কার্যরত বিদেশি ব্যাংকের মতো স্থানীয় ব্যাংকগুলোও সমান তালে অফশোর ব্যাংকিং করতে পারবে” যোগ করেন তিনি।

সুবিধা-অসুবিধা

এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, “এখানে একটা বিষয় কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে, অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থা কিন্তু এখনও আছে। অফশোরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে লোন নিয়ে দেশে ব্যবসা করছে কেউ কেউ। এখন যেহেতু আমাদের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ অনেক কমে গেছে, সেটা বাড়ানোর নানা উদ্যোগের অংশ হিসাবেই এটাকে আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে আইন করা হচ্ছে। এটা ভালো উদ্যোগ। এতে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। ডলার আসবে, রিজার্ভ বাড়বে।

“তবে অসুবিধাও আছে। এই ব্যবস্থা যদি ভালোভাবে তদারকি বা দেখভাল করা না হয়, তাহলে কিন্তু দেশ থেকে টাকার পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। যে কারণে লোন দেওয়া হচ্ছে, সেটা পালন হচ্ছে কি না সেটা মনিটরিং জরুরি”যোগ করেনি তিনি।

অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বাংলাদেশে অফশোর ব্যাংকিং কিন্তু নতুন নয়। এতদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে এটা হতো। এখন সেটাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে; এটাকে আমি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ বলে মনে করি। এটা ভালোভাবে কাজ করলে বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারি খাতেও বিনিয়োগ আসবে। রিজার্ভ বাড়বে।”

বিদ্যমান নীতিমালা ও আইনের পার্থক্য

ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায় অফশোর ব্যাংকিংয়ের নীতিমালা জারির পরও কেন আইনের দরকার হলো? বিদ্যমান নীতিমালার সঙ্গে আইনের ধারায় পার্থক্য কি আছে?

—এ প্রশ্নের উত্তরে ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক ও মেঘনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক জনস্বার্থে ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায় ব্যাংকগুলোর জন্য পরিপালনীয় যেকোনো নীতিমালা বা নির্দেশনা জারি করতে পারে। সেই ক্ষমতাবলেই অফশোর ব্যাংকিংয়ের নীতিমালা জারি করা হয়েছে।”

“সংসদে যে আইনটি উঠেছে, সেটি পাস হলে আরও পাকাপোক্ত হয়ে আইনি কাঠামোর মধ্যে আসবে”যোগ করেন তিনি।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত