Beta
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

গরমে কত টাকার আইসক্রিম বিক্রি হয়

ছবি: সকাল সন্ধ্যা
ছবি: সকাল সন্ধ্যা

“জানি ভালো না। কিন্তু এই গরমে একটু স্বস্তি পাওয়ার তো অন্য কোনও উপায়ও নাই। তাই আইসক্রিম খাচ্ছি।”

গরমে আইসক্রিম খাওয়া ভালো না জেনেও কেন খাচ্ছেন প্রশ্নের এভাবেই উত্তর দিলেন কলেজপড়ুয়া মাহমুদা তাবুসসুম।

কড়া রোদ, তার ওপর ভ্যাপসা গরম। দুইয়ে মিলে যেন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। ঘর থেকে বের হওয়ায়ই দায়। বের হলেও রোদের তেজে মনে হয় পুড়ে যাচ্ছে শরীর।

এ অবস্থায় একটু স্বস্তির খোঁজে মরিয়া অনেকে বেছে নিচ্ছেন ঠান্ডা কোমল পানীয়, অনেকে ভরসা রাখছেন আইসক্রিমে।

কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা এবং স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, একটু স্বস্তির খোঁজে আইসক্রিম খেলেও এর কারনে শরীরে দেখা দিতে পারে নানান রকমের জটিলতা এবং রোগ।

এসব জানা সত্ত্বেও বন্ধ নেই আইসক্রিম ব্যবসা । রোজার সময় থেকে দাম বেড়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আইসক্রিমের। কিন্তু তাও বিক্রি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রত্যেক বছর মার্চের শুরুতে গরম পড়তে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে আইসক্রিমের চাহিদা। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। এবার গরম বেশি হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে। আর চলমান তাপদাহ এই চাহিদা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে যা আরও বাড়ত।

এই চিত্র পাওয়া গেছে রাজধানীর অলিগলি থেকে শুরু করে বড় বড় সুপার শপ ও শপিং মলে। শুধু ব্র্যান্ডের আইসক্রিম নয়, চাহিদা রয়েছে দেশীয় কুলফি আইসক্রিম এবং দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কোন আইসক্রিমেরও।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ছোট-বড় অসংখ্য আইসক্রিম তৈরির প্রতিষ্ঠান। বড় শহর থেকে শুরু করে মফস্বল শহর আর গ্রামগঞ্জেও তৈরি হচ্ছে আইসক্রিম।

দেশে আইসক্রিম উৎপাদন ও বাজারজাতকারী বড় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে ইগলু, পোলার, লাভেলো, কোয়ালিটি, জা এন জি, ব্লুপ ও স্যাভয়। আঞ্চলিকভাবেও কয়েকটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রয়েছে। যেমন কুষ্টিয়ার কুলফি, চট্টগ্রামের পান্ডা, মাগুরার পিপাসা আইসক্রিম ও খুলনার মিল্কি ইত্যাদি।

আইসক্রিম শরীরে গরম বাড়ায়

প্রাথমিকভাবে মন ঠান্ডা অনুভূতি করলেও আইসক্রিম খাওয়ার পর দেহে আরও বেশি তাপ উৎপন্ন হয়।

এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার খাদ্যবিষয়ক টিভি চ্যানেলের ওয়েবসাইট এসবিএসফুড ডটকম ডটএইউ’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘ডায়েটিশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়া’র মুখোপাত্র ও পুষ্টিবিদ আনিকা রউফ বলেন, “যদিও বছরের যে কোনো সময়ে পরিমিতি মাত্রায় আইসক্রিম খাওয়া যায়। তবে গ্রীষ্মের চাইতে শীতকালেই খাওয়া উচিত।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন, “প্রাথমিকভাবে মুখে শীতল আরামের অনুভূতি দিলেও আইসক্রিম খাওয়ার পর দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে কিছুক্ষণ পরেই গরম লাগে বেশি। সেই সঙ্গে তৃষ্ণাবোধও বাড়ে।”

রউফ আরও বলেন, “আইসক্রিম ছাড়াও যেসব খাবার ও পানীয়তে উচ্চমাত্রার চর্বি, চিনি বা কার্বোহাইড্রেইটস ও প্রোটিন থাকে গরমকালে সেসব খেলে আরও বেশি গরম লাগে। তাই এই ধরনের খাবার শীত আবহাওয়াতে খাওয়া উপকারী। কারণ হজম করতে গিয়ে দেহ বেশি তাপ তৈরি করে। ফলে শীতে ঠান্ডা লাগে কম।”

শুধু আইসক্রিম নয় যেকোন রকমের ঠান্ডা খেতেই মানা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লেলিন চৌধুরী। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, ‘আমাদের গলায় শ্বাসনালির উপরের দিকে কিছু সুবিধাবাদী জীবাণু থাকে। এরা সুবিধা পেলেই আক্রমণ করে। যখন চারপাশে গরম তখন হঠাৎ করে ঠান্ডা পানি বা আইসক্রিম গলায় গেলে গলা ঠান্ডা হয়। তখন এই জীবাণুগুলো আক্রমণ করে।’

দামও বেড়েছে, বিক্রিও বেড়েছে

বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে নূর মোহাম্মদের। আগে কাজ করতেন ঢাকার মালিবাগের একটি বড় কারখানায়। বেতন-ভাতার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে হারিয়েছেন চাকরি। এরপর থেকে ঢাকার বনশ্রী এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন কুলফি এবং দেশীয় কারখানায় তৈরি আইসক্রিম।

তিনি জানান, আগে সারা দিনে খুব একটা রোজগার হতো না। সব খরচ শেষে ২০০-২৫০ টাকা নিয়ে ফিরতেন বাড়ি। চলমান তাপপ্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে তার রোজগার।

সকাল সন্ধ্যাকে নূর মোহাম্মদ বলেন, “গরম বাইরা যাওয়াতে মানুষ ঠান্ডা খাইতে চায়। অ্যামনে তো আইসক্রিমের দাম অনেক। আমার এগুলার তো দাম কম। তাই মানুষ এগুলা খায়।”

এই গরমে এখন সব খরচ বাদ দিয়ে ১০০০-১২০০ টাকা পকেটে থাকে বলে জানান এই ভ্রাম্যমাণ আইসক্রিম বিক্রেতা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চকবার আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, কাপ আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। হাফ লিটার বক্স আইসক্রিম পড়ছে ১৫০ টাকা এবং এক লিটার বক্স আইসক্রিম ২৮০ টাকা। রোজার মাসের শুরু থেকেই প্রত্যেক আইসক্রিমের দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আইসক্রিমের কাঁচামাল সব আমদানি করতে হয়। ডলার সংকটের, সুদের হার বেশি, গ্যাস সংকটসহ আমদানি শুল্ক বেড়ে গেছে। এর ফলেই আইসক্রিমের মূল্যবৃদ্ধি।

অসহনীয় এই গরমে ব্র্যান্ডের আইসক্রিমেরও বিক্রি বেড়েছে।

আইসক্রিম প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানি লাভেলো সর্বশেষ যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে তাদের ব্যবসা বাড়ার হিসাব পাওয়া যায়।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ- এ তিন মাসে কোম্পানিটি ৪০ কোটি টাকার আইসক্রিম বিক্রি করেছে। গত বছরের একই সময়ে তাদের বিক্রি ছিল ২৪ কোটি টাকার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে লাভেলোর বিক্রি বেড়েছে ১৬ কোটি টাকা বা প্রায় ৬৭ শতাংশ। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানিটির মুনাফাও বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ছয় কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা করেছিল প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে আড়াই কোটি টাকা বা প্রায় ৭৩ শতাংশ।

চাহিদা বেশি চকবার ও বক্স আইসক্রিমের

বাজারে রয়েছে বিভিন্ন স্বাদের আইসক্রিম। এর মধ্যে চাহিদা বেশি চকবার ও বক্স আইসক্রিমের বলে সকাল সন্ধ্যাকে জানান মহাখালী আমতলীর এ অ্যান্ড এ ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক মো. মুমিন।

ঈদের সময় আইসক্রিম বিক্রি বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “গরমে তো এমনি বিক্রি বেশি হয়। এবার তার থেকে একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে। গরম বাড়াতে চাহিদাও বেড়েছে। সব রকমের আইসক্রিমই চলছে। কিন্তু মানুষ সবচেয়ে বেশি চকবার নেয়। আর বাসার জন্য নেয় বক্স আইসক্রিম।”

ছবি: সকাল সন্ধ্যা

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের উৎপাদনকারীরা প্রায় ৪০ ধরনের আইসক্রিম বিক্রি করেন। যার মধ্যে আছে স্টিক, কাপ, কোন, টাব ও কেক। সব ধরনের আইসক্রিমের মধ্যে ভ্যানিলা স্বাদের আইসক্রিম সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়।

বিক্রি বেড়েছে আইসক্রিম পার্লারেও

আইসক্রিমপ্রেমীদের জন্য রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠছে আইসক্রিম পার্লার। যেখানে আইসক্রিমের পাশাপাশি রয়েছে কফি, জুসসহ নানা ধরনের পানীয়। আইসক্রিম পার্লারের চিন্তা নতুন হলেও খুব কম সময়েই পেয়েছে জনপ্রিয়তা। এসব পার্লারে আইসক্রিমের দাম তুলনামূলক বেশি। তাই মূলত উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত মানুষেরই ভিড় বেশি এসব দোকানে।

রাজধানীর বনানীতে গড়ে উঠেছে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড নিউজিল্যান্ড ন্যাচারাল বাংলাদেশের পার্লার। এখানে পাওয়া যায় নিউজিল্যান্ডের সুস্বাদু বিভিন্ন আইসক্রিম। ধানমণ্ডি ও গুলশানের কয়েকটি পার্লারে পাওয়া যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডের নামকরা ব্র্যান্ড মুভেনপিকের আইসক্রিম। আরেকটি জনপ্রিয় পার্লার ক্রিম অ্যান্ড ফাজ ফ্যাক্টরিতে পাওয়া যাচ্ছে নানা ফ্লেভারের আইসক্রিম। বেইলি রোড, বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি ও খিলগাঁও এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি পার্লার।

বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আইসক্রিম বিক্রি হয় গুলশান ও ধানমণ্ডির ‘মি অ্যামোর’ পার্লারে, যার অর্থ ‘আমার ভালোবাসা’। এছাড়া অ্যান্ডারসন আইসক্রিম, ক্লাব লাভেলো, ক্যাফে অ্যান্ড ক্রিমারিসহ বেশ কয়েকটি আইসক্রিম পার্লার গড়ে উঠেছে রাজধানীতে।

খিলগাঁওয়ে এরকমের একটি আইসক্রিম পার্লার স্কুপস আইসক্রিম। সকাল সন্ধ্যা কথা বলেছে এই আইসক্রিম পার্লার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ফয়সাল মাহমুদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, “বিক্রি তো বেড়েছেই। স্কুল-কলেজ খোলা থাকলে হয়তো বিক্রি আরও বাড়ত। আমরা আমাদের প্রাইস নিয়েও কাজ করছি। যেন সমাজের আরও মানুষ এই আইসক্রিমের স্বাদ নিতে পারে।”

দেশে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বাজার

দেশে আইসক্রিম উৎপাদকদের কোনও সংগঠন গড়ে ওঠেনি। সরকারিভাবেও কোনও পরিসংখ্যান নেই। ফলে আইসক্রিমের বাজার কত টাকার বা কোন প্রতিষ্ঠানের কতভাগ শেয়ার রয়েছে- সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি।

এ খাতের উৎপাদকরা বলছেন, বর্তমানে দেশে আইসক্রিমের বাজার প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার।

লংকাবাংলা গ্রুপ ২০১৭ সালে আইসক্রিম বাজারের উপর একটি জরিপ চালায়। জরিপ অনুসারে, ওই বছর আইসক্রিম বাজার ছিল এক হাজার কোটি টাকার। সেই হিসাবে, গত পাঁচ বছরে এই বাজার অনেক বড় হয়েছে।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে কোভিড অতিমারি বড় আঘাত হানে আইসক্রিমের বাজারে। কোভিড দেখা দেওয়ার শুরুর দিকে অনেকের ধারণা ছিল, ঠান্ডা জাতীয় পানীয় পণ্য হওয়ায় আইসক্রিম খেলে কোভিডের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই আইসক্রিমের চাহিদা কমে যায়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আইসক্রিম বাজারে।

আইসক্রিম উৎপাদন ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোর তথ্যমতে, করোনার আগের বছরগুলোতে এ খাতে প্রতি বছর প্রায় ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়। কিন্তু করোনার কারণে এই হার প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। ওই সময় আইসক্রিম বাজারের আকার কমে দাঁড়ায় ৭৩০ কোটি টাকায়, যা ২০১৯ সালের চেয়ে ৫১০ কোটি টাকা কম। ২০১৯ সালে আইসক্রিমের বাজার ছিল এক হাজার ২৪০ কোটি টাকার।

তবে এই দুঃসময় বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পরের বছরই খাতটি ঘুরে দাঁড়ায়। ২০২১ সালের শুরুতেই আগের বছরের চেয়ে ৯২ থেকে ৯৮ শতাংশ বেড়ে যায় বিক্রি। আইসক্রিমের বাজার পৌঁছায় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকায়।

এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সাল নাগাদ আইসক্রিমের বাজার আড়াই হাজার কোটিতে পৌঁছতে পারে।

এই খাতে মোট কত টাকা বিনিয়োগ রয়েছে- সে বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। সংশ্নিষ্টদের ধারণা, বিনিয়োগের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি হতে পারে।

লংকাবাংলা গ্রুপের জরিপ অনুসারে, দেশে বছরে ছয় কোটি লিটার আইসক্রিমের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ শতাংশ আইসক্রিম উৎপাদন করে শীর্ষস্থান দখল করে আছে আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্র্যান্ড ইগলু। ২৮ শতাংশ আইসক্রিম উৎপাদন করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা আইসক্রিম ইন্ডাস্ট্রিজের পোলার।

এর পরের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে লাভেলো। প্রতিষ্ঠানটি মোট চাহিদার ১৫ শতাংশ উৎপাদন করে। ৯ শতাংশ উৎপাদন করে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কোয়ালিটি। বাকি ১০ শতাংশের জোগান দেয় জা এন জি, ব্লুপ, স্যাভয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।

বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ইগলুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আহমেদের সঙ্গে কথা হয় সকাল সন্ধ্যার। নানা প্রতিকূলতা থাকলেও দেশি ব্র্যান্ডগুলো ‘আইসক্রিম শিল্প’কে বিকশিত করছে বলে মনে করেন তিনি।

ইগলুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম বলেন, “বর্তমানে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার আইসক্রিমের বাজার আছে বাংলাদেশে। গত পাঁচ বছর ধরে প্রায় ১০ শতাংশের মতো বিক্রি বেড়েছে।

তিনি আশা করছেন, এই প্রবৃদ্ধি সামনে আরও বাড়বে। এর কারণ ব্যাখ্যায় ইগলুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “ইনফ্রাস্টাকচারের উপর গত কয়েক বছরে বিনিয়োগ বেড়েছে। ফলে, সামনে এই প্রবৃদ্ধি বাড়ার সুযোগ রয়েছে।”

দুধ, দুধ থেকে পাওয়া ফ্যাট, ভেজিটেবল ফ্যাট ও চিনির মতো কাঁচামাল আমদানির জন্য দেশের আইসক্রিম বাজার ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উপর নির্ভরশীল। আইসক্রিম ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিজার, যার সরঞ্জামও আমদানি করতে হয়।

এসব পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমলে আইসক্রিমের বাজার আরও এগিয়ে যাবে জানিয়ে ইগলুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের ব্যবসায় ফ্রিজার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ফ্রিজার আনতে শুল্ক অনেক দিতে হয়। সেই শুল্ক কমালে এই ব্যবসা আরও বড় হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

“একইসাথে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ধরা যেতে পারে। তাহলে এই ব্যবসা সামনে আরও প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত