শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সেখানে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা এবং স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে ব্যর্থ হওয়ায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।
মন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সচিব এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা সচিবকেও এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে শিক্ষামন্ত্রীকে দ্রুত নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত গরমের সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসের প্রভাতি শাখা সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৮টা এবং দিবা শাখার সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত করতে লিখিত নির্দেশনা জারির অনুরোধ করা হয়েছে।
এ নির্দেশনা জারি না করা হলে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে শিক্ষামন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে বলা হয়, তিনি চলতি বছরের রমজান মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জনদূর্ভোগ তৈরি করেছিলেন। আবারও প্রচণ্ড দাপদাহ ও হিট অ্যালার্টের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অবর্ননীয় কষ্ট ও ভোগান্তিতে ফেলেছেন।
“আপনি নিজে এসি অফিসে কাজ করেন। এসি বাসায় থাকেন, এসি গাড়িতে চলাচল করেন তাই আপনার কছে হয়ত দাপদাহ কোনও সমস্যা বলে মনে হয় না। এই অবস্থায় আপনার উচিত ছিল ভার্চুয়াল ক্লাস চালুর মাধ্যমে শিক্ষার গতি ঠিক রাখা। কিন্তু একজন সনাতন চিন্তাধারার শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে স্মার্ট বাংদেশে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোল সম্ভব না।”
এছাড়া স্কুল-কলেজ বন্ধ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের সমালোচনা করায় মন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন বলেও সেখানে উল্লেক করা হয়েছে।
নোটিশকারী আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেন, “আপনি (শিক্ষামন্ত্রী) জনদুর্ভোগ অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে অনতিবিলম্বে আপনার পদত্যাগ করা উচিত।”