Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

সরকারের কাছে বাজেট নিয়ে প্রত্যাশা নেই দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের : সিপিডি

রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘নতুন সরকার, জাতীয় বাজেট ও জনমানুষের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা আয়োজন করে সিপিডি।
রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘নতুন সরকার, জাতীয় বাজেট ও জনমানুষের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা আয়োজন করে সিপিডি।
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

আগামী বাজেট নিয়ে দেশের ৬৪ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের কোনও প্রত্যাশা নেই। এই তথ্য উঠে এসেছে অর্থনীতির গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে।

এই জরিপে বাজেট নিয়ে ১৭ শতাংশ মানুষই কোনও মতামত দেয়নি। আর ১৯ শতাংশ মানুষ মতামত দিয়েছে।

যারা মতামত দিয়েছে, তাদের মধ্যে ২১.৫৭ শতাংশ শোভন কর্মসংস্থান, ১৭.৫১ শতাংশ শিক্ষা ও ১২.০৯ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষায় জোর দেওয়ার কথা বলেছে।

এছাড়া অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ, দক্ষতা উন্নয়ন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, কৃষি, স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দিতে বলেছে তারা।  

রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে ‘নতুন সরকার, জাতীয় বাজেট ও জনমানুষের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, “আমরা যখন এই জরিপ শুরু করি তখন প্রায় ৮৯ শতাংশ মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছে সিপিডিকে এই জরিপ করার জন্য। কিন্তু সরকারের কাছে বাজেট ধরে প্রত্যাশা কী—জানতে চেয়ে আমরা অবাক হয়ে দেখি যে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের বর্তমান সরকারের প্রতি কোনও প্রত্যাশা নেই। দেশের মানুষ এক জটিল অবস্থায় বর্তমানে রয়েছে।” 

বাজেট প্রত্যাশা নিয়ে জনমতের এই জরিপে ৬৬টি সংস্থার সাহায্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষের মত তুলে আনার চেষ্টা চালায় সিপিডি। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাঠ পর্যায় থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সিপিডি জানিয়েছে।

সিপিডির এই গবেষণার মূল প্রবন্ধ পাঠ করার সময় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “জটিল আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থায় এবারের বাজেট ঘোষণা হতে যাচ্ছে। একইসাথে নতুন সরকার এবার বাজেট দেবে। যদিও যে উপায়ে নির্বাচন হয়েছে, তাতে দেশের মানুষের জনসন্তুষ্টি নেই।” 

দেশের অর্থনীতিতে ‘সমস্যার ত্রি-যোগ’ হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তিনটি সমস্যা এবার মুখ্য। একটি সমস্যা- উচ্চ মূল্যস্ফীতি। সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়েই চলছে। দ্বিতীয়টি হলো- ঋণ ঝুঁকি। সরকার শুধু বিদেশ নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণও নিয়েছে। ঋণের কারণে বিনিয়োগ হারের উপর চাপ বাড়ছে। আমাদের এতদিন গর্ব ছিল, আমরা কোনওদিন খেলাপি হইনি। কিন্তু এবার তাতে চিড় ধরতে যাচ্ছে। তৃতীয় সমস্যা হচ্ছে- প্রবৃদ্ধির হার ধীর হয়ে গেছে। তাতে করে সরকারের খরচ করার হাত কমে গেছে।”   

“এখন আমাকে কেউ প্রশ্ন করতে পারে এই পরিস্থিতি কি পাল্টাবে? তাহলে আমি বলব, তা নির্ভর করবে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর,” যোগ করেন দেবপ্রিয়।  

সিপিডির গবেষণা বলছে, চলতি বছরের মার্চের তথ্য অনুযায়ী দেশে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯.৮১ শতাংশ। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ৯.৮৭ শতাংশ এবং খাদ্য বাদে অন্যান্য জিনিসে মূল্যস্ফীতি ৯.৬৪ শতাংশ। সরকারের ঋণ বর্তমানে জিডিপির প্রায় ৩৬ শতাংশ এবং বেসরকারি পর্যায়ে ঋণ রয়েছে জিডিপির ৫.১৩ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.১০ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৭৮ শতাংশ। চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি আরও কমে হয়েছে ৪.৮৪ শতাংশ। সরকারের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭.৫ শতাংশ, তা অর্জনে অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতে প্রবৃদ্ধি হতে হবে ১০ শতাংশ। 

সিপিডি আগামী বাজেটে কিছু খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষা খাতে জিডিপির ৩ শতাংশের বেশি, স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ২ শতাংশের বেশি এবং সামাজিক সুরক্ষায় কম করে হলেও ৩ শতাংশ বরাদ্দ বাড়াতে হবে।  

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “বাজেট যাই হোক না কেন, তা খরচের সময় যেন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা থাকে। ২ টাকা খরচ হলেও সেটা যেন ঠিকভাবে হয়, তা লক্ষ রাখতে হবে।”

এক্ষেত্রে তিনি সংসদীয় কমিটির দায়িত্ব ঠিকঠাক পালনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, “বাজেট নিয়ে যতগুলো সংসদীয় কমিটি আছে, সেগুলো যেন নিয়মিতভাবে সভা করে। তিন মাসে একটি সভা করার কথা থাকলেও গত বছর ২টির বেশি সভা হয়নি। তিন মাস অন্তর অন্তর অর্থমন্ত্রীর সংসদে অর্থরিপোর্ট দেওয়ার কথা,  কিন্তু তার বরখেলাপ হয়েছে। সামনে যেন আর তা না হয়।”  

বাজেটে মৌলিক অধিকার ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ না বাড়লে বাংলাদেশের আগামীর লক্ষ্য পূরণ হবে না বলে মনে করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে, কিন্তু মানুষের বেতন বাড়ছে না। তাতে কিন্তু নতুন দরিদ্র তৈরি হচ্ছে। এবারের বাজেটের লক্ষ্য হবে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে মানু্ষকে আরও যুক্ত করতে হবে।

“ভৌত কাঠামোগত উন্নয়নে খরচ করলেও বেশি জরুরি এখন মানবসম্পদ রক্ষায় খরচ করতে হবে। তা না হলে আমরা যেখানে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চাই, সেখানে নিয়ে যেতে পারব না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।”

বিভিন্ন দুর্বলতা থাকলে সরকারকে তা স্বীকার করে নিতে হবে বলে মনে করেন ফাহমিদা খাতুন।

তিনি বলেন, “আমরা একটা উন্নয়নশীল দেশ। ফলে দুর্বলতা থাকবে। কিন্তু সেই দুর্বলতা স্বীকার না করলে তা কাটানো যাবে না।   

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “বাজেটকে আমরা জনগণের বলি। কিন্তু জনগণের সম্পৃক্ততা বাজেটে থাকে না। বর্তমানে কিছু পেশাজীবী বা ব্যবসায়িক সংগঠনের সাথে সভা করে সরকার। কিন্তু তাতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয় না। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা নিতে হবে।” 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ সিপিডির প্রশংসা করে বলেন, “এমপি হিসেবে যে কথাগুলো আমাদের বলা উচিত, তা সিপিডি বলছে। আমাদের কাছে কোনও তথ্য থাকে না, কিন্তু সিপিডি সেই তথ্য শুধু সংরক্ষণই নয়- দেশের মানুষকে জানাচ্ছে।”

স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবির সঙ্গেও একমত পোষণ করেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের এই সংসদ সদস্য।   

তিনি বলেন, “আমার ফরিদপুরে হাসপাতালগুলোতে যন্ত্র অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলো ধরে কমিটি আছে, কিন্তু সেসব কমিটি ২০১৯ সালের পর আর সভা করেনি। অব্যবস্থাপনা ও অপরিকল্পিতভাবে দেশের চিকিৎসা খাত চলছে। শিক্ষাখাতেও আমরা মানসম্মত শিক্ষা দিতে পারছি না। ফলে বিশ্ব বাজারে আমরা প্রতিযোগিতা করতে পারছি না। এ কারণে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন।”  

বেসরকারি সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, “অনেকেই প্রশ্ন করেছেন এখন বাজেট নিয়ে আলোচনা করলে তা কি বাজেটে যুক্ত হওয়ার সময় আছে। মানুষের অভিব্যক্তি দেখলেই বোঝা যায় বাজেট নিয়ে মানুষের কোনও প্রত্যাশা নেই। প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির যে বিশাল ফারাক তা, এই গবেষণায় উঠে এসেছে। তাই মানুষ সরকারের উপর প্রত্যাশা করতেও ভুলে যাচ্ছে।”

এনজিওগুলোর অর্থছাড়ে জটিলতায় প্রচুর অর্থ বাংলাদেশ থেকে বাতিল হয়ে উগান্ডায় চলে গেছে বলে দাবি করেন রাশেদা। তিনি বলেন, “এনজিওগুলোর অর্থছাড় দিতে মাসের পর মাস লাগে। এই অর্থগুলো মানবসম্পদ উন্নয়নে এসেছিল। কিন্তু এজেন্সি বা এসবির ক্লিয়ারেন্সের জন্য এসব অর্থ আটকে থাকে। এখানে এসব এজেন্সির কাজ কী- আমি বুঝি না।”

মূলধারার শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। কোথায় যাচ্ছে এই শিক্ষার্থীরা। কেউ যাচ্ছে মাদ্রাসায়, কেউ যাচ্ছে লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে। এজন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সকল শিক্ষা মাধ্যমকে একটি আইনের মধ্যে আনতে হবে।”

জনগণের প্রত্যাশা না থাকলেও দাবি ঠিকই আছে বলে মনে করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান।

সভায় তিনি বলেন, “যে টাকায় বাজেট বরাদ্দ হবে, তা কিন্তু আমার টাকা, জনগণের টাকা। সামষ্টিক অর্থনীতি, রাজনীতি বা দেশ কীভাবে চলবে, সেই দাবিগুলো কিন্তু এই জরিপে উঠে এসেছে।”

শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল ও শ্রমিকের রেশন নিশ্চিতের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “শ্রমিকের রেশন বা শিশুদের মিড ডে মিলকে ব্যয় হিসেবে দেখা হয়। আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। এগুলোকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে। এগুলোতে যদি বিনিয়োগ না বাড়ায়, তাহলে দেশের অর্থনীতির সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে না।”

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিস্তার করলেই হবে না, মানসম্মত হতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দ্বিতীয় প্রজন্মের এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে সরকারকে। তা নাহলে ২০৪১ সালের যে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।

“আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সুরক্ষায় জিডিপির ৮ শতাংশ দাবি করেছি। গত বাজেটে তা ছিল ৪ শতাংশের মতো। তাহলে বাকি ৪ শতাংশ সরকার যদি বাড়ায়, তাহলে অন্য খাত থেকে কমাতে হবে। এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নেতাদের নিতে হবে।”  

সভায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রামীণ ও শহুরে মানুষের চাহিদা ভিন্ন বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “গ্রামে মানুষ একটা ভালো রাস্তা চায়। স্বাস্থ্যখাতে আরও বেশি সেবা চান। কয়েকবছর আগেও যেখানে বিদ্যুৎ ছিল না, তারা এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। তারা এখন দাবি করছে টেকসই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের। গ্রামীণ মানুষদের এসব দাবি, তাদের চাহিদাকেও বাজেটে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।” 

দেশের মানুষের মানসিকতা বদলানো প্রয়োজন দাবি করে তিনি বলেন, “আমাদের সব কিছু ঢাকায় হতে হবে, চট্টগ্রামে হতে হবে। নিদেনপক্ষে সিলেটে হতে হবে। কিন্তু সুনামগঞ্জ বা শাল্লায় হবে না। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে।” 

সরকারের অপচয়রোধে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন সাবেক এই মন্ত্রী। 

সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সিন্ডিকেট না ভাঙলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “ভারত, শ্রীলঙ্কা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, কিন্তু আমরা পারছি না। এর কারণ আমাদের এখানে ৪-৫টি কোম্পানি বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না।”

সিন্ডিকেট কেন ভাঙা যাচ্ছে না— দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের এই প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “এরা খুবই শক্তিশালী। আমার থেকেও আপনারা বেশি ভালো জানেন, কেন ভাঙা যাচ্ছে না।”

দেশের মানুষের সরকারের প্রতি প্রত্যাশা নেই- এর কারণ হিসেবে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনের এই সংসদ সদস্য সুশাসনের অভাবকেই দায়ী করছেন।

তিনি বলেন, “আজকে ব্যাংকগুলোকে এক করা হচ্ছে। আমরা ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্যাগুলো ১০ বছর ধরে বলে আসছি, কিন্তু সরকার কানে তোলেনি। আজকে আইএমএফ বলার পর সরকার কাজ করছে। এ থেকে বোঝা যায় সরকারের সুশাসনের অভাব কতটুকু।  

“কোভিডের আগের ঊর্ধ্বগামী একটি অর্থনীতি কীভাবে এই অবস্থায় আসে? ওই সময় বিশ্ব বন্ধ হয়ে গেলেও আমাদের কল-কারখানা কিন্তু চলেছে। তাহলে সমস্যা কোথায়? রপ্তানি আমাদের কমেছে, কিন্তু এখনও ধনাত্মক ধারায় রয়েছে। তাহলে কোথায় যাচ্ছে এসব টাকা। আমাদের টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে শুধুমাত্র সুশাসনের অভাবে।”

“সংসদের বাজেট পেশ হলে দেখা যায় সরকারি দলের সাংসদরা তার প্রশংসা করেন, আর বিরোধী দল সমালোচনা করছে। এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে সংসদে সবার দেশের জন্য ভালো হয়- এমন বিষয়ে খোলামেলা সমালোচনা করা উচিত।”  

বাজেট প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের থেকে নানা প্রেসার গ্রুপ বা অংশীদারদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বলেও মন্তব্য করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত