ঢাকার খিলগাঁওয়ে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ‘শঙ্কামুক্ত’ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আনু মুহাম্মদ বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা সর্ম্পকে জানতে চাইলে ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল মঙ্গলবার দুপুরে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “তার (আনু মুহাম্মদ) শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তাকে শঙ্কামুক্ত বলছি আমরা।”
পরবর্তী চিকিৎসার ধাপগুলো কী হবে—এ প্রশ্নের জবাবে ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, “তার চিকিৎসায় ১৮ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড হয়েছে। তারাই সব ইনভেস্টিগেশন করছেন। আগামীকাল বুধবার বোর্ড সব রিপোর্ট নিয়ে ফের বসবে, পর্যালোচনা করবে, এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী বোর্ডই সব সিদ্ধান্ত নেবে।”
একটি স্মরণসভায় যোগ দিতে গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিনাজপুর গিয়েছিলেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ।
রবিবার একতা এক্সপ্রেসে ঢাকায় ফেরার সময় তিনি দুর্ঘটনায় পড়েন। জানা যায়, খিলগাঁওয়ে পৌঁছানোর পর ট্রেনটি ধীরে চলতে থাকলে সেখানেই নেমে পড়ার চেষ্টা করেন আনু মুহাম্মদ। তখন পা পিছলে পড়ে বাঁ পায়ের প্রায় সব আঙুল থেঁতলে যায়। ডান পায়ের বুড়ো আঙুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে পায়ের আঙুলে অস্ত্রোপচার হয়।
এরপর গতকাল রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে তাকে স্থানান্তর করা হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে গঠিত হয় ১৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
ডা. সেন সকাল সন্ধ্যাকে মঙ্গলবার বলেন, “তার (আনু মুহাম্মদ) চিকিৎসায় সর্বোচ্চ যা যা দরকার, সব করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও তার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। তাকে সবকিছু জানানো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও যা করা হবে, সবই তাকে জানানো হবে। আমরা আশা করছি, হয়তো কিছুদিনের মধ্যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।”