Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

সুন্দরবনের কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে ধোঁয়া

ss-sundarban fire-6-5-24
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, খুলনা

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, খুলনা

সুন্দরবনে আগুন লাগার তৃতীয় দিনেও বিভিন্ন স্থানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধোঁয়া শনাক্ত করে চালাচ্ছে নির্বাপণ কাজ।

পূর্ব বন বিভাগের আমুরবুনিয়া এলাকায় ফায়ার লাইন তৈরি করে ও পাইপলাইন টেনে চালানো এ কাজে যোগ দিয়েছে ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি) ও কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি)।

বন সংরক্ষক জানিয়েছেন, অগ্নি নির্বাপণ কার্যক্রম চলবে আরও দুই দিন। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

আমুরবুনিয়ার পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা নুপুর বেগম বলেন, “আমি সিপিজির সদস্য। আগুনের শুরু থেকেই কাজ করছি। ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ চলে যাওয়ার পরও আমাদের রেকি করতে হবে। কোথাও আগুন বা ধোঁয়া দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগকে জানাতে হবে।”

ভিটিআরটি টিমের সদস্য মধ্য আমুরবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, “শনিবার আগুনের ধোঁয়া দেখে আমরা বন বিভাগকে জানায়। আর পানি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে সবাই আসে। আজও কাজ চলতেছে।”

প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ছয়টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস এর উপসহকারী পরিচালক সাঈদুল আলম চৌধুরী বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রথমে কাজ করে। পরে আরও চারটি ইউনিট যোগ দেয়। আগুন পুরোপুরি না নেভা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে।”

সুন্দরবনের আমুরবুনিয়া এলাকার ৫ একর জায়গাজুড়ে চলছে ড্রোন মনিটরিং। এছাড়া বন রক্ষীদের বিভিন্ন টিমও রেকি করছে। যেখানে আগুনের ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে।

বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, “সকালে ড্রোন মনিটরিংয়ে এক জায়গায় ধোঁয়া দেখা যায়। পরে তা পানি দিয়ে নেভানো হয়। বন বিভাগের টিম কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে রেকি করছে, কোথাও ধোঁয়া উঠছে কিনা দেখছি।”

বিকাল চারটার পর সোমবারের মতো কার্যক্রম মূলতবি করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে বন বিভাগের ড্রোন মনিটরিং ও রেকির কাজ চলবে রাতেও।

শনিবার দুপুরে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকার বনে আগুন লাগে। শুরুতে বনকর্মী ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে নামে, পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় মোংলা ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মিলিত চেষ্টায় ২০ ঘণ্টা পর আগুন নেভানো সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত