Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

৩ দিনের ইউএস ট্রেড শো শুরু ঢাকায়

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকায় তিন দিনব্যাপী ২৯তম ইউএস ট্রেড শো শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ প্রদর্শনী শুরু হয়। আগামী ১১ মে পর্যন্ত এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এবারের ট্রেড শোতে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪টি প্রতিষ্ঠান। ঢাকায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

ইউএস ট্রেড শো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থাই বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সাহায্য করে। বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির প্রমাণ রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরও বাণিজ্য বৃদ্ধি হলে তা আমাদের স্থিতিশীলতা আরেক ধাপে নিয়ে যাবে। এই ট্রেড শো সেই পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।”

ব্যবসা কীভাবে আরও সহজ করা যায় সেই উদ্দেশ্যে কাজ করার কথা জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, “চ্যালেঞ্জ শুধু বাংলাদেশ না, অনেক দেশকেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অনেকদিন টাকা স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এখন কিছুটা স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতদিন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে বিনিময়মূল্য এবং ইন্টারেস্ট রেটে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা সেটা মুখোমুখি হয়ে পরিবর্তন করতে পারব। আমরা সামনের বাজেটে এসব বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিব।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বছরে বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা একটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের চিহ্ন।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রধান উৎস হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, যা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে পারস্পরিক স্বার্থকে প্রতিফলিত করে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বৃহত্তম বাজারের প্রতিনিধিত্ব করে। তার উপর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হয়েছে স্বার্থ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে। বাংলাদেশ সফটওয়্যার উন্নয়ন এবং ফ্রিল্যান্স পরিষেবাগুলোর জন্য একটি বিশিষ্ট আউটসোর্সিং গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি সফটওয়্যার রপ্তানির প্রাথমিক বাজার হিসেবে কাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, গত দুই দশক ধরে এই ট্রেড শো বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের সবচেয়ে বড় শো। এখানে নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রের সেরা পণ্যগুলো প্রদর্শনী হয়। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্কে এই ট্রেড শো খুব গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, আমেরিকার লোকজন প্রতিদিন সকালে উঠে ভাবে– বিশ্বের কোথায় ব্যবসা করা যায়, যেখানে সে তার বিনিয়োগের ভালো রিটার্ন পাবে। বাংলাদেশের সরকার বেশ কিছু বছর ধরে তার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে। ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ এখন বাংলাদেশের দিকে তাকাচ্ছে। এখন বাংলাদেশের উচিত তাদের বিনিয়োগকে নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশকে এশিয়ার ‘উদীয়মান বাঘ’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলে, বিনিয়োগের অভাব হবে না।

১৯৯২ সাল থেকে শুরু হয় এই ট্রেড শো। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাৎসরিক বাণিজ্য প্রায় এক হাজার কোটি ডলারের। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ১৯ শতাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত