Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

ব্যাংকপাড়ায় এখনও ছুটির রেশ

শাপলা চত্বর এখনও ফেরেনি চিনচেনা রূপে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
শাপলা চত্বর এখনও ফেরেনি চিনচেনা রূপে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

ঈদ ও বাংলা নববর্ষের টানা ছুটি শেষ হয়েছে। খুলেছে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান। ব্যাংবপাড়া হিসেবে খ্যাত মতিঝিল এলাকায়ও ফিরতে শুরু করেছে কর্মচাঞ্চল্য।

সোমবার মতিঝিল ঘুরে দেখা গেল, প্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মীরা এসেছেন ঠিকই তবে গ্রাহক উপস্থিতি তুলনামূলক কম। অবশ্য অনেক কর্মীরও এখনও ছুটি শেষ হয়নি। ফলে ব্যাংকপাড়ার চিরচেনা দৃশ্য ফিরতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

এবার রোজা ৩০টা হওয়ায় ঈদের ছুটি ছিল ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল ছিল বাংলা নববর্ষের ছুটি। ফলে একটানা পাঁচ দিন ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা।

মতিঝিলে সরকারি-বেসরকারি একাধিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ ও নববর্ষ উদযাপন শেষে অনেক কর্মীই ঢাকায় ফিরেছেন। সোমবার তারা কাজেও যোগ দিয়েছেন। আবার যারা এই পাঁচদিনের সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়েছিলেন, তারা এখনও ফেরেননি।

পাশাপাশি গ্রাহক সংখ্যাও ছিল কম। কারণ সেই একই, সবাই এখনও ফেরেননি ছুটি কাটিয়ে। ফলে দিনভর কাজের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করে সময় কাটিয়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ঈদের আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, ছুটি শেষে ব্যাংক লেনদেন চলবে সাধারণ সময়ের মতো। অর্থাৎ সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর দাপ্তরিক কার্যক্রমের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জানিয়েছে, পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।

সকালে মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, ভিড় কম থাকায় সহজেই লেনদেন করতে পারছেন গ্রাহকরা। কাজের ফাঁকে ব্যাংক কর্মীরাও নিজেদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তাদের বেশিরভাগেরই পরনে পাঞ্জাবি ও নতুন ঈদ পোশক।

সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম ছুটিতে আছেন।

সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি সুভাষ চন্দ্র দাস শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন ব্যাংকটির বিজনেস আইটি বিভাগের ডিজিএম মো. জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি সুভাষ চন্দ্র দাস শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন ব্যাংকটির বিজনেস আইটি বিভাগের ডিজিএম মো. জহিরুল ইসলামের সঙ্গে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) সুভাষ চন্দ্র দাসকে দেখা গেল বিজনেস আইটি বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে।

সুভাষ চন্দ্র সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ছুটি শেষে কর্মীরা ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ছুটির রেশ এখনও আছে। এই সপ্তাহ শেষে আবার পুরোদমে সব কার্যক্রম চালু হবে আশা করছি।”

বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতিঝিল শাখাতেও ছিল একই চিত্র। কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও প্রথম দিনে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। কাজের চাপ কম থাকায় পুরো ব্যাংকপাড়ায় দেখা গেছে ঈদের আমেজ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, “কর্মীদের একটি অংশ ছুটিতে থাকলেও ব্যাংকের সব ধরনের সেবা চালু রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সেবাগুলো চালু রাখা হয়েছে। ফলে সেবা পেতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না গ্রাহকদের।”

মতিঝিল এলাকার বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল), পূবালী ব্যাংক, দিলকুশা এলাকার স্টান্ডার্ড ব্যাংক ও পল্টনের ইসলামী ব্যাংকের শাখা ঘুরে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শাখাতেই গ্রাহক উপস্থিতি সাধারণ সময়ের তুলনায় কম ছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত