Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

ফিরছে মানুষ, চেনা রূপে ফেরেনি ঢাকা

ঈদ উদযাপনে গ্রামে যাওয়া মানুষ এখন ঢাকামুখী। সোমবার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে তোলা ছবি : সকাল সন্ধ্যা
ঈদ উদযাপনে গ্রামে যাওয়া মানুষ এখন ঢাকামুখী। সোমবার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে তোলা ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

ঈদের লম্বা ছুটি শেষ। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) খুলেছে ব্যাংক, অফিস, আদালত। নাড়ির টানে গ্রামে যাওয়া মানুষ এখন ঢাকামুখী।

সোমবার ঢাকার সদরঘাট, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর গিয়ে দেখা গেছে, নগরী ঢাকায় ফিরছে মানুষ। তবে কাউকে আবার পরিবার নিয়ে গ্রামে বাড়িও যেতে দেখা গেছে, যদিও সে সংখ্যা সীমিত।

মানুষ ফিরতে শুরু করলেও চিরচেনা রূপে এখনও ফেরেনি ঢাকা। গত কয়েকদিনের মতো নগরীর প্রধান সড়কগুলো সোমবারও অনেকটাই যানজটমুক্ত। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়িসহ গণপরিবহনের সংখ্যাও কম।

ঢাকায় ফেরা লোকজন বলছেন, ঢাকায় ফেরার পথে তেমন ভোগান্তি ছিল না। স্বস্তি ছিল লঞ্চযাত্রায়ও। তবে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন দূরপাল্লার বাসযাত্রীরা।

যাত্রীচাপ ছিল ট্রেনে

সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীচাপ অনেক বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন এই ট্রেনে ঢাকায় ফেরা গুলিস্তানের ব্যবসায়ী মো. রাসেল। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “যাত্রী ছিল অনেক। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। স্ট্যান্ডিং যাত্রীও ছিল অনেক। শিডিউল বিপর্যয় ছিল না। সকাল ৬টায় ছেড়ে বেলা সাড়ে ১১টায় কমলাপুর আসছে।”

নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়া নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “ঈদের আনন্দ খুব ভালোভাবেই করেছি। পথে কোনও ঝামেলা ছিল না। সব ঠিকঠাক।”

বাসে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ

ঈদযাত্রা মোটামুটি ভালোই হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লার শাহরস্তির বাসিন্দা সাফায়েত উল্লাহ। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “ভাড়া তো এখন বেশি নিবেই। এই ধরেন ১০০ টাকা বেশি নিয়েছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে। আমরা যেখান থেকে আসছি– আমাদের ভাড়া ছিল আড়াইশ টাকা, আমরা সাড়ে তিনশ টাকা দিয়ে আসছি।”

পথে অন্য কোনও ভোগান্তি ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ ঈদ ভালোই কেটেছে।”

ঈদযাত্রা ভালো ছিল তবে গাড়ি না পাওয়ার কারণে গোপালগঞ্জ থেকে অনেক কষ্ট করে ঢাকায় আসতে  হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসলাম খান নামে এক যাত্রী। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “কোনও গাড়ির টিকেট নাই। পরে অন্য একটা গাড়ি আরেক কোম্পানি রিজার্ভ নিছে, ৫০০ টাকার টিকিট ছয়শ করে নিছে।”

পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন মো. মিজান। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “পুরা রাস্তায় জ্যাম ছিল না। যাত্রাবাড়ীর কাছে এসে ১০ মিনিট বসে ছিলাম।”

ঈদ ভালোই কেটেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “শুক্রবার গিয়েছিলাম। আজ আসছি। পরিবার বাড়ি রেখে আসছি।”

স্বস্তি ছিল লঞ্চ যাত্রায়

গ্রামে ঈদ উদযাপন শেষে লঞ্চে ঢাকার সদরঘাটে এসেছেন হাতিয়ার বাসিন্দা মাহমুদুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী  সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদরঘাট এসে পৌঁছায় লঞ্চ। যাত্রা ভালোই ছিল। ভাড়া বেশি– ওরকম কিছু ছিল না। জাস্ট কোম্পানির কেবিনগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছে। স্টাফ কেবিনগুলো দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে।”

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা থেকে ঈদযাত্রা শেষে নগরীতে ফিরেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেহেদী হাসান। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “লঞ্চে যাত্রীর চাপ খুব একটা বেশি ছিল না। যারা বাসের টিকিট পায়নি তারা লঞ্চে এসেছে। স্বাভাবিক সময়ে বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ৮৫০  টাকা থাকলেও এখন ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। লঞ্চের সিঙ্গেল কেবিন ১২০০ টাকা।”

লঞ্চে ভাড়া বেশি নেওয়া হয়নি বলেও মত এই যাত্রীর। তিনি বলেন, “ভোগান্তি তো ছিল না। খুবই স্বস্তি।”

যাত্রাবাড়ী-কমলাপুরে সড়কে জট

সকালের দিকে ঢাকার প্রধান সড়কগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। অধিকাংশ দোকানপাটও ছিল বন্ধ। ঢার ফার্মগেট থেকে কোনও রকম ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই গণপরিবহনগুলো সদরঘাট পৌঁছেছে।

তবে ভিন্নচিত্র ছিল ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও কমলাপুর এলাকায়। এ দুই জায়গায় পরিবহনগুলোকে আধাঘণ্টারও বেশি ট্রাফিক জ্যামে পড়তে হয়। শনির আখড়া থেকে কাজলা যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এবং সায়েদাবাদ জনপদ মোড় থেকে কাজলা পর্যন্ত যানজটে ছিল। অন্যদিকে মানিকনগর বিশ্বরোড থেকে কমলাপুর স্টেশন এলাকায় যেতেও পরিবহনগুলোকে বেগ পোহাতে হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত