Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

বিনা কারণে কারাগারই বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা : রিজভী

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সকাল সন্ধ্যা
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার ‘বিএনপির সব রাজবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। জিয়া প্রজন্ম দল কেন্দ্রীয় কমিটি এ কর্মসূচির ডাক দেয়।  

বিএনপির নেতাকর্মীদের সবসময় কারাগারে থাকতে হয় অভিযোগ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, “বিএনপির জন্য দিনের আলো যেন নিষিদ্ধ। তারা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে ঢোকানো, ধরে ফেলা- শেখ হাসিনার এই কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না।”

তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। কারণ, তিনি জানেন তার কোনও জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকার প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠে।”

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরও অভিযোগ করেন, দলটির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ‘ডামি’ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনও কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক, ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দি নেই। যারা বন্দ, তারা বিভিন্ন মামলার আসামি। রাজবন্দি নামে কোনও শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে, তাদের কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়ে ঢোকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছেন।

“গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু সারাদেশের মানুষ মনে করত, শেখ মুজিবসহ অন্য রাজবন্দিদের বিভিন্ন মামলা দিয়ে কারাগারে ঢোকানো হয়। মহাত্মা গান্ধীসহ উপমহাদেশে এরকমভাবে আরও অনেকে কারাগারে গেছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে, সেটা লেখা থাকে না।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, “আপনার নামে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেগুলো উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।”

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জিয়া প্রজন্ম দল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নী।

কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত