মৌসুমটা যাচ্ছেতাই কেটেছে বায়ার্ন মিউনিখের। ১১ বছর পর বুন্দেসলিগার শিরোপা হারিয়েছে তারা। ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি জার্মান কাপেরও। শিরোপা জয়ের আশা আছে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগে। কোয়ার্টার ফাইনালে ছন্দে থাকা আর্সেনালকে হারিয়ে জাগিয়েছে সেই সম্ভাবনাও ।
ওয়েম্বলির ফাইনালে যেতে আগে সেমিফাইনালে হারাতে হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজাখ্যাত রিয়াল মাদ্রিদকে। ১৪বারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আজ (মঙ্গলবার) নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শেষ চারের প্রথম লেগে অগ্নিপরীক্ষা হ্যারি কেইনদের (ম্যাচ শুরু রান ১টায়, দেখাবে সনি স্পোর্টস ১ ও ২)।
এই মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ১৫ ম্যাচ হারেনি বায়ার্ন। মাঠটা তাই দুর্গ তাদের। স্পেনের বাইরে রিয়াল সবচেয়ে বেশি হেরেছে বায়ার্নের মাঠেই। তাই তাদের ভয়ংকর দল বললেন রিয়াল কোচ আনচেলোত্তি, ‘‘মানসম্পন্ন বড় এক দলের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি আমরা। ওরা বুন্দেসলিগায় এবার ভালো না খেললেও চ্যাম্পিয়নস লিগে যেভাবে আর্সেনালকে হারিয়েছে, তাতেই বুঝিয়েছে নিজেদের মানটা। নানা ছকে খেলতে পারে বায়ার্ন, ওরা ভয়ংকর প্রতিপক্ষ। তবে আমরাও আত্মবিশ্বাসী।’’
মুখোমুখি ২৬ ম্যাচে রিয়ালের জয় ১২টি, বায়ার্নের ১১টি। ড্র হয়েছে ৩ ম্যাচ। তবে সবশেষ ছয়বারের দেখায় রিয়ালকে হারাতে পারেনি বায়ার্ন। জার্মান ক্লাবটি শেষবার রিয়ালকে হারিয়েছে ২০১১-২০১২ মৌসুমের সেমিফাইনালে, তাও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৩ সমতার পর টাইব্রেকারে।
২০১৩-১৪ মৌসুমের সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ গোলের জয়ে প্রতিশোধ নেয় রিয়াল। ২০১৬-১৭ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে ৬-৩ আর ২০১৭-১৮ মৌসুমের সেমিফাইনালে রিয়ালের জয় ৪-৩ ব্যবধানে।
এমন এক দলকে সমীহই করছেন বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল, ‘‘রিয়াল চ্যাম্পিয়নস লিগের সবচেয়ে সফল দল আর সেটা এমনি এমনিই হয়নি। ওদের হারাতে গেলে ভাগ্য, ছন্দ, স্বাধীনতা-দরকার পুরো প্যাকেজটার।’’
ম্যাচের ভাগ্য গড়তে পারেন ইংলিশ জাতীয় দলের দুই সতীর্থ হ্যারি কেইন ও জুড বেলিংহাম। বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের হয়ে ৩১ ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ৩৫ গোল করেছেন কেইন। লা লিগায় রিয়ালের হয়ে বেলিংহামের গোল সবচেয়ে বেশি ১৭টি। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হাসবেন কে?