খুব সহজেই এলিমিনেটর বাধা পার করল ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স তাদের কোন “চ্যালেঞ্জ” দিতে পারেনি। মাত্র ১৩৬ রানের লক্ষ্য ১৪.৫ ওভার হাতে রেখে ছুঁয়েছে তামিম ইকবালরা। তামিমের ৪৩ বলে অপরাজিত ৫২ রানে ৩ উইকেটে ১৩৬ রান তুলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল বরিশাল।
সোমবার রাতের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স ম্যাচের পরাজিত দল বরিশালের মুখোমুখি হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
রান তাড়ায় নামা বরিশালকে বিপদে ফেলতে পারত চট্টগ্রাম। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে সৌম্য সরকারকে ০ রানে ফেরান শুভাগত হোম। পরের ওভারে আল-আমিনের বলে থার্ড ম্যাচে ক্যাচ তুলেছিলেন তামিম। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে সৈকত আলি তামিমের ক্যাচ ফেলেন।
১ রানে জীবন পাওয়া তামিম পরে আবারও ভুল করেছিলেন ৩১ রানে। এবার শর্ট থার্ডম্যানে নিহাদুজ্জামান তার ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন। দু’বার জীবন পেয়ে তামিম আর ভুল করেননি। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।
সৌম্যর বিদায়ের পর তামিমকে দ্রুত ফেরাতে না পারার মাশুল দিয়েছে চট্টগ্রাম। প্রথম উইকেট জুটিতে দ্রুত রান তোলার প্রতিযোগিতায় নামের তামিম-কাইল মায়ার্স জুটি। প্রতিযোগিতায় অনেক এগিয়ে ছিলেন উইন্ডিজ অলরাউন্ডার। মাত্র ২৬ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে খেলেছেন ৫০ রানের টর্নেডো ইনিংসে। মাত্র ৯ ওভারে দুজনের জুটি দাঁড়ায় ৯৮ রানের।
তামিম-মায়ার্স জুটিতে ম্যাচ সহজ হয়ে যাওয়ায় মিরপুরের উইকেটে প্রথম নেমেই মানিয়ে নেয়ার ঝামেলা পোহাতে হয়নি ডেভিড মিলারকে। কোয়ালিফায়ার খেলার আগে বরং ১২ বলে ১৭ করে মিরপুরের উইকেট দেখে নেয়ার সুযোগ হল তার। তামিমের সঙ্গে ইনিংসের শেষদিকে জুটি গড়ে বরিশালের জয়ে ভূমিকাও রাখলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার।