অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, “সরকার গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি করতে চায় না। তবে সাংবাদিক ও ওনাবের দাবির সঙ্গে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি যে, একটা শৃঙ্খলা আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে সে প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি।”
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের আওতায় নেওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেন।
দায়িত্বশীল সাংবাদিক ও সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমকে প্রণোদনা ও সমর্থন দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, ওনাবের এ দাবির সঙ্গেও একমত পোষণ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সাংবাদিকরাই বলছেন শৃঙ্খলার জন্য নজরদারি দরকার। গণমাধ্যম এতটাই মুক্ত ও স্বাধীন যে নিবন্ধন ছাড়াও তারা চলছে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন।
“এটা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্ত গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে অবাধ স্বাধীনতার কারণে কিছুটা শৃঙ্খলার অভাবও দেখা দিচ্ছে।”
অনিবন্ধিত পোর্টালগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপতথ্যের বিস্তার হয় অভিযোগ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, “যা পেশাদার সাংবাদিকদের পীড়া দেয় বলে বিভিন্ন সময় তারা জানিয়েছেন। এটা খুব ভালো দিক যে, আমাদের সাংবাদিকরা চাচ্ছেন গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা এবং দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে সরকার পূর্ণাঙ্গভাবে সাংবাদিকদের সাথে একমত।”
সরকার মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “অপতথ্যের বিস্তৃতি, গুজব ও অপপ্রচার সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম, গণতন্ত্র সবকিছুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সকলের স্বার্থে এগুলো রোধ করার জন্য সরকার ও গণমাধ্যমের একটি অংশীদারত্ব দরকার।”
গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপন নীতিমালাসহ অন্যান্য নীতিমালা সময়োপযোগী ও আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন ওনাব সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেবসহ অন্যরা।
