Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবিতে

রবিবার সকাল ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদার। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
রবিবার সকাল ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদার। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতারণা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের’ চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হাজির হয়েছেন।

রবিবার সকাল ১১টার দিকে তিনি ডিবি কার্যালয়ে যান বলে নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার।

তিনি জানান, ডিবি কার্যালয়ে এখন মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এর আগে শনিবার মিল্টনের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার ডিবিতে হাজির হতে বলা হয়।

এ বিষয়ে শনিবার ঢাকার মিন্টো রোডে নিজের কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, “মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।”

মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে।

মিল্টন সমাদ্দার ও মিঠু হালদার
মিল্টন সমাদ্দার ও মিঠু হালদার

বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় মিল্টনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নতুন নতুন অভিযোগের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বুধবার রাতেই মিরপুরের পাইকপাড়া ও বরিশালের উজিরপুরে আনন্দমিছিল বের করা হয়।

গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মিল্টন সমাদ্দারের বিষয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। আসতে থাকে বিভিন্ন অভিযোগের খবর। এরই এক পর্যায়ে প্রথমে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মিরপুর থানার করা মামলায় মিল্টনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ৬০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে, এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত