টেকনাফ সীমান্তের তিনটি পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্রসহ পালিয়ে আবারও বাংলাদেশে ঢুকেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কয়েকজন সদস্য। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে হেফাজতে নিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি কতজন বিজিপি সদস্য প্রবেশ করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি।
তিনি বলেন, “মিয়ানমারের সংঘাত চলছে। শনিবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর তিনটি পয়েন্ট দিয়ে এসব সদস্য অস্ত্র-গোলাবারুদসহ পালিয়ে আসে। তাদের সংখ্যা ৫০ জনের নিচে।”
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি বিজিবির কর্মকর্তারা। এমনকি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিও এ বিষয়ে কথা বলেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের ৩ টি পয়েন্ট দিয়ে ৪০ জনকে পালিয়ে আসতে দেখা গেছে। এর মধ্যে সাবরাং আচারবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন, নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জন ও নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ৪ জন প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তাদের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়েছে।
দুই দফায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি ও সেনা বাহিনীর ৬১৮ জনকে এর আগে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
এছাড়া এর আগে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।