Beta
বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

একুশে ফেব্রুয়ারি এখন

শহীদ দিবস কি আড়াল হচ্ছে মাতৃভাষা দিবসের আয়োজনে

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতীকী ছবি

ছেলেকে একটি প্রশ্ন করে খানিকটা বিপাকে পড়েছেন আফরোজা তানিয়া। তিনি পেশায় শিক্ষক। স্কুলপড়ুয়া ছেলের কাছে তার প্রশ্ন ছিল— একুশে ফেব্রুয়ারি কি দিবস? “সে উত্তর দিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমি যখন তাকে সংশোধন করিয়ে বললাম, এটা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সে আমাকে উল্টো বলল, তা হতে পারে, তবে মূল হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সে আমাকে উইকিপিডিয়ার রেফারেন্সও দেখালো,” বললেন তানিয়া।

বাঙালির রাষ্ট্রভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের অবিস্মরণীয় দিন ২১ ফেব্রুয়ারি।

“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’— এই গানে যে শোকের ছায়া রয়েছে, তার পরতে পরতে বিধৃত ইতিহাস। সেই ইতিহাস আজ থেকে ৭২ বছর আগের, ১৯৫২ সালের।

আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা এই গানের দ্বিতীয় লাইনে রয়েছে, ‘ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।’

সুরকার আলতাফ মাহমুদের সুরে একুশের এই গানের প্রতিটি ছত্রে শোকের আবহ।

পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর চলে নির্বিচার গুলি। তাতে শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বারসহ অনেকে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আসে বাংলার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। সেই আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথরেখাও তৈরি করে দেয়।

শহীদদের স্মরণে ১৯৫৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো পালিত হয় ‘শহীদ দিবস’। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে তা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে।

এর মধ্যে ২০১০ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের ১৯৩টি দেশে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।

বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় রক্ত ঝরানোর দিনটি সারাবিশ্বে ভাষা রক্ষায় সচেতনতার দিন হয়ে ওঠার পর বাংলাদেশেও ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিক নাম হিসেবে রয়েছে—আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আর তার অন্য নাম হিসেবে রয়েছে—ভাষা আন্দোলন দিবস/শহীদ দিবস।

বাংলাপিডিয়ায় ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক লিখেছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

দিবস পালনের ক্ষেত্রে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শহীদ দিবসকে ছাপিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।

তানিয়া বলেন, “আমরা যখন ছোট ছিলাম, আমার চাচার কাছ থেকে রফিক, জব্বারের কথা শুনেছি। আমার এখনও এই দিনটিতে গায়ে কাঁটা দেয়। যে ইতিহাসে আমরা শোকে কাতর হই।

“একই দিনে নতুন প্রজন্ম শোকের থেকে অর্জনকেই প্রাধান্য দিচ্ছে বেশি। অনেকসময় আমি তো দেখছি এটিও একটি উৎসব তাদের কাছে। পোশাক কিনতে হবে। সেদিকেই তাদের আগ্রহ। আনন্দ আছে, শোক হারিয়ে যাচ্ছে।”

শহীদদের আত্মত্যাগের এই শোকের আবহ কি আসলেও হারিয়ে যাচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর অর্জনের গৌরবের আড়ালে?

রাষ্ট্রীয় দিবসের তালিকায় কীভাবে রয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারির কথা?

সাধারণত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসগুলো নিয়ে পরিপত্র জারি হয়। তার ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন/পালন বিষয়ক সর্বশেষ পরিপত্রটি আসে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো সাজ্জাদুল হাসান স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রে দেখা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস/আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মাঝখানে ‘/’ এই চিহ্ন দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে— এমন প্রশ্নে সাজ্জাদুল হাসান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এটা ঠিক আমি বলতে পারব না। আমার জানা নেই। ক্যাবিনেটে যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেভাবেই লেখা হয়েছে।”

রাষ্ট্রীয় দিবসের তালিকায় থাকা ৯১টি দিবসের আর কোনোটিতেই ‘/’ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়নি। অনেকগুলোতে ‘ও’ ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন ‘জাতীয় পিতার জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস’।

বাংলা ভাষায় যে যতিচিহ্ন রয়েছে, তার মধ্যে ‘/’ এই চিহ্ন বিকল্প অর্থে ব্যবহৃত হয়। অনেকটা ‘অথবা’র পরিবর্তে। কাজেই দুটি শব্দের মাঝে যখন এটি ব্যবহার করা হয়, তার অর্থ দাঁড়ায় যে কোনও একটি ব্যবহার করা যাবে।

এখানেও এই চিহ্ন একই অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে যুগ্মসচিব সাজ্জাদ বলেন, “সেটিও আমি বলতে পারব না।”

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের ফোন নম্বরে কল করা হলেও তিনি ধরেননি, এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো সাজ্জাদুল হাসান স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রে দেখা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ দিবস/আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মাঝখানে ‘/’ এই চিহ্ন দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে— এমন প্রশ্নে সাজ্জাদুল হাসান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এটা ঠিক আমি বলতে পারব না। আমার জানা নেই। ক্যাবিনেটে যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেভাবেই লেখা হয়েছে।”

‘ওহ হ্যাঁ, শহীদ দিবসও’

দিবসটি আসলে কী— এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিলে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কর্তাব্যক্তিদের বেশিরভাগের উত্তর আসে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। কেউ কেউ আবার ত্বরিত সংশোধন করে বলেন, “মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস।”

সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত এই দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা বাণী দিয়ে থাকেন। দেশের সর্বস্তরে থাকে নানা কর্মসূচি।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আমাদের নানা কর্মসূচি রয়েছে।” এই দিন শহীদ দিবসও— মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমাদের অর্জনের মাস এই ফেব্রুয়ারি। অহংকারের মাস। শহীদদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।”

সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও একই উত্তর দেন। মনে করিয়ে দেওয়ার পর তিনিও বলেন, “ওহ হ্যাঁ, শহীদ দিবসও। শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হবে।”

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “শহীদ দিবস পালনে আমরা কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। ভাষা আন্দোলনের এই দিনটিতে যারা শহীদ হয়েছেন, যেসব মায়ের কোল খালি হয়েছ, তাতো শোকের, বিরহের।”

ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ অন্য সংগঠনগুলোর নেতাদের জবাবও ছিল প্রায় একই রকম।

শহীদ দিবসের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার পরে সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, মনের ভেতরে অবশ্যই ‘ভাষা শহীদদের’ প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে এই শ্রদ্ধা ও স্মরণের যে আবেগ, সেটা আড়াল হয়ে পড়ছে কি না— এমন প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট জবাব কেউ দেননি।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের মাস। অহংকারের মাস, গৌরবোজ্জ্বল মাস।”

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ব্যানারে আমরা ভাষা আন্দোলনের কথা লিখি…২১ শে ফেব্রুয়ারিও লিখি। যেটাই লিখি না কেন, আসলে মনে মনে তো সবকিছুই আছে। শোক যেমন আছে, আবার অর্জনের আনন্দও আছে।”

২১ ফেব্রুয়ারিতে কী কর্মসূচি রয়েছে— জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাঈন আহমেদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ভাষা দিবস নিয়ে আমরা প্রতিবছরই নানা কর্মসূচি দিই। এবার যেমন বিভিন্ন ভাষায় গানের একটি কনসার্ট আয়োজন করেছি। তাছাড়া বাংলা ভাষার চাপে আদিবাসী ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, সেটাকেও গুরুত্ব দিয়েছি।”

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়টি কি এখন আড়ালে পড়ে যাচ্ছে—এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “না না, তা তো আছেই, শহীদ দিবসও আছে। সেটির প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে।”

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে দিনটি শহীদদের জন্য পালন করা উচিৎ। তারপর আসবে মাতৃভাষা দিবস।

প্রায় একই অভিমত ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসারও। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “একই সাথে অর্জনের ও শোকের। তবে এই অর্জনটা এসেছে সেই দামাল আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। তাই তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, তাদের আত্মার স্মরণে মন কাঁদা, এটাই আসল।”

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কারণে শহীদ দিবসের চেতনা হারিয়ে যাচ্ছে, আমি সেটা মনে করি না। এটা যেমন শোকের, তেমনি শক্তির। উদীচী মনে করে একুশের এই শোকই শক্তিতে পরিণত হয়েছে।”

তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “তবে পুঁজিবাদী অর্থনীতির লাভ ও লোভের ফাঁদে পড়ে শোকের যে চেতনা, সেটি হারিয়ে যাচ্ছে। দিবসকেও পণ্য বানানো হচ্ছে। তরুণ প্রজন্ম সেই ফাঁদে পড়ছে।”

যেভাবে এল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন কানাডা প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে কানাডার ভ্যাংকুবারের রফিকুল ইসলামের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

১৯৯৮ সালের ৮ জানুয়ারি রফিকুল ইসলাম ‘মাদার ল্যাংগুয়েজ মুভমেন্ট’ এর মাধ্যমে তৎকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার বিষয়ে প্রথম আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি সরাসরি একুশে ফেব্রম্নয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব পেশ করেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানের পরামর্শে ১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ সাত জাতি ও সাত ভাষার ১০ জনের স্বাক্ষর সংবলিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার একটি আবেদন প্যারিসের ইউনেস্কো সদর দপ্তরে পাঠানো হয়।

জবাবে ইউনেস্কোর শিক্ষা বিষয়ক প্রকল্প বিশেষজ্ঞ আনা মারিয়ার পরামর্শ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ১৯৯৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সরাসরি ইউনেস্কো সদর দপ্তরে প্রস্তাবটি পেশ করা হয়।

১৭ লাইনের মূল প্রস্তাবের শেষ লাইনে লেখা হয়— বাংলাদেশ প্রস্তাব করছে যে, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ দিনটিকে সারা পৃথিবীর জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হোক।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ অধিবেশনে প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। প্রস্তাবের সূচনায় বলা হয়— সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের ভাষা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। পৃথিবীতে প্রায় ৫০০০ মাতৃভাষা আছে। মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মর্যাদা দানের জন্য একটি দিবস থাকা প্রয়োজন।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে মাতৃভাষার জন্য অভূতপূর্ব আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ এবং সেদিন যারা প্রাণ উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করা হচ্ছে।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর জেনারেল কনফারেন্স ফর ডিসিপিস্ননারি সেশনে প্রস্তাবটি ১৮৮ ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।

এর ফলে বাংলাদেশের ‘শহীদ দিবস’ একইসঙ্গে পরিণত হয় ‘আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে।

২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে একুশে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

প্রতি বছরেই দেশের সংখ্যা বাড়ছে। এখন বিশ্বে ১৯১টি দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়।

লেখক: প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা।

আরও পড়ুন