Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

ক্রিকেটার তৈরিতে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের অনুশীলন মাঠে বাছাইকৃত ক্রিকেটারদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মেয়র ও বিসিবি পরিচালক আ জ ম নাছির উদ্দিন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. সিরাজউদ্দিন মো: আলমগীর। ছবি : সৌজন্য।
চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের অনুশীলন মাঠে বাছাইকৃত ক্রিকেটারদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মেয়র ও বিসিবি পরিচালক আ জ ম নাছির উদ্দিন ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. সিরাজউদ্দিন মো: আলমগীর। ছবি : সৌজন্য।
Picture of শিহাব উদ্দিন

শিহাব উদ্দিন

চট্টগ্রাম থেকে
চট্টগ্রাম থেকে

চট্টগ্রামের ক্রিকেটার আকরাম খানের হাত ধরে ১৯৯৭ সালে বড় মঞ্চে প্রথম ক্রিকেট শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। এই অঞ্চল থেকে উঠে আসা মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আফতাব আহমেদ, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হকদের অবদান বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক। সেই ধারাবাহিকতা রাখতে দারুণ উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।

শুধু টুর্নামেন্ট দেখে প্রতিভার খোঁজে থাকতে চায় না তারা। ক্রিকেটার তৈরি করতে চায় নিজেরাই। হবে অ্যাকাডেমি। যা অন্য কোন বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় নেই। নতুন এই উদ্যোগের কার্যক্রমের নাম দেয়া হয়েছে “আগামীর ক্রিকেটার খুঁজছে চট্টগ্রাম বিভাগ”। ক্রিকেটার বাছাইয়ের প্রথম ধাপ শেষ এবার সামনের দুই ধাপ বাকি।

খেলোয়াড় তৈরিতে দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি। ঢাকার অদূরে সাভারের জিরানিতে থাকা এই প্রতিষ্ঠান থেকেই সেরা ক্রিকেটাররা উঠে আসেন। ঢাকা ছাড়া চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও দিনাজপুরেও আছে বিকেএসপির আঞ্চলিক কেন্দ্র। রাজশাহীতে হচ্ছে নতুন কেন্দ্র। এই কেন্দ্র গুলোকে ক্রিকেটার তৈরির অ্যাকাডেমিও বলা চলে।

দেশ জুড়ে অনেক ক্রিকেট অ্যাকাডেমি আছে। বিসিবির অধীনে অ্যাকাডেমি ক্রিকেট কাপও হয়। সেখান থেকেও সেরা ক্রিকেটার উঠে আসেন। কিন্তু বিকেএসপির বাইরে বিভাগীয় উদ্যোগে অ্যাকাডেমি গড়ে ক্রিকেটার তৈরির চেষ্টাটা এই প্রথম।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ড. সিরাজউদ্দিন মো: আলমগীর সকাল সন্ধ্যাকে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, “আমরা চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে একটা উদ্যোগ নিয়েছি। সেটা হল নিজেদের ক্রিকেটার তৈরি করা। একসময় তো জাতীয় দল বা জাতীয় লিগে চট্টগ্রাম ক্রিকেটারদের আধিক্য ছিল। কিন্তু এখন একটু কমে গেছে। সেই ধারাটা ফেরানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি।”

ইতিমধ্যে ক্রিকেটার বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামে বিভাগের কোচদের পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে উঠে আসা জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, নাজিমুদ্দিনরা যুক্ত ছিলেন ক্রিকেটার বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায়। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা থেকে মোট ৭৫ ক্রিকেটার বাছাই করা হয়েছে অ্যাকাডেমির জন্য। এই ক্রিকেটারদের নিয়ে হবে ২১ দিনের স্কিল ক্যাম্প।

ক্যাম্প থেকে বাছাই করা ক্রিকেটারদের নিয়ে দুটো যুব দল গড়ার কথা জানিয়েছেন সিরাজউদ্দিন, “আগামী ১৫ তারিখ থেকে ২১ দিনের একটা স্কিল ক্যাম্প করাবো। এখন থেকে ক্রিকেটার নিয়ে চারটা দল করবো। এই দলগুলো দুই দিনের ও একদিনের ক্রিকেটের দুটো টুর্নামেন্ট খেলবে। সেখান থেকে সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে আমরা অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৮ দল গড়বো। এদের নিয়ে বিভাগীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কার্যক্রম শুরু করবো। এদের জন্য বিদেশি কোচও আনা হবে। ইতিমধ্যে আমরা শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু কোচদের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর এই দলগুলোকে নিয়মিত খেলার মধ্যে রাখা হবে। বিদেশেও এদের খেলা রাখা হবে।”

চট্টগ্রাম সাগরীকা স্টেডিয়ামের পাশেই মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অ্যাকাডেমির কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। বিসিবি থেকে দ্রুত বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে আলাদা করার উদ্যোগ আছে। আলাদা হওয়ার আগেই চট্টগ্রাম বিভাগ নিজেদের কাজ শুরু করেছে। তবে অ্যাকাডেমি গঠনের উদ্যোগ আরও আগে থেকেই নেয়া ছিল বলে জানিয়েছেন সিরাজউদ্দিন।

বিসিবির সাবেক এই পরিচালকের ভাষ্য অন্য বিভাগও এমন উদ্যোগ নিলে বিসিবির ওপর চাপ কমবে, “চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংস্থা থেকে আমরা এই প্রথম এমন উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই সব বিভাগ এভাবে সহযোগিতা করুক। তাহলে ক্রিকেট বোর্ডের জন্য কাজটা সহজ হবে। ঢাকায় বসে তো দেশের সব দিকে চোখ রাখা সম্ভব নয়। এই রকম উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু ক্রিকেটার না, কোচ, ট্রেনার, ফিজিও বা মাঠের বাইরের সংগঠকরাও বের হয়ে আসবেন। যা মূলত দেশের ক্রিকেটের জন্যই ভালো অবস্থান এনে দিবে।”

বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার বাছাই ক্যাম্পের স্পন্সর ছিল বরটাকিয়া গ্রুপ, স্কিল ট্রেনিং প্রোগামের স্পন্সর ফোরএইচ গ্রুপ আর টুর্নামেন্টে স্পন্সর করেছে ইস্পাহানি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত