Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

পুঁজিবাজার : উল্লম্ফনের পরের দিনই পড়ল সূচক  

ঢাকার একটি ব্রোকারেজ হাউসে পুঁজিবাজারের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
ঢাকার একটি ব্রোকারেজ হাউসে পুঁজিবাজারের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

দেশের পুঁজিবাজারে অনেক দিন পর একদিনের উল্লম্ফনে আস্থা ফেরেনি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। ফলে বিক্রির চাপ বাড়ায় পরের দিনই পতনে ফিরেছে বাজার। তবে লেনদেন ৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৬৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে নেমেছে। অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬১ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের পুনঃনিয়োগের দিনে সূচকের উল্লম্ফন হয়েছিল এই বাজারে। ডিএসইএক্স প্রায় ১০০ পয়েন্টের মতো বেড়েছিল। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছিল ১৮৪ পয়েন্ট। এমন উত্থান অনেক দিন দেখা যায়নি পুঁজিবাজারে।

গত কয়েক মাসের টানা দরপতনে পর সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স ৯৭ দশমিক ৩৬ দশমিক পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে উঠে।

গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক পড়ে গিয়েছিল ৬০ পয়েন্ট। সূচকের ঘরে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্ট নিয়ে রবিবার সকালে লেনদেন শুরু হয় ইতিবাচক প্রবণতায়। আধা ঘণ্টার মাথায় সূচক কিছুটা কমে গেলেও এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। লেনদেন শেষ হয় সূচকে ৫ হাজার ৬১৫ পয়েন্ট নিয়ে।

অন্য দুই সূচক ডিএসইএস ১৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়েছিল। ডিএস-৩০ সূচক ২১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়েছিল।

কিন্তু সোমবার দুই বাজারেই মূলসূচকের পতন হয়েছে। তবে বিক্রির চাপে লেনদেন বেড়েছে।

এদিন ডিএসইএক্স ৪৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৬৯ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে।

অন্য দুই সূচক ডিএসইএস ১২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২১ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৯৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার ডিএসইতে ৬৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন রবিবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ৬১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, কমে ২৭৭টির এবং অপরিবর্তিত ৩৪টির দর।

আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে আধিপত্য ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের। মোট লেনদেনের ২৭ শতাংশ হয় এ খাতে। হিস্যায় এগিয়ে থাকা আরও দুটি খাত হলো বস্ত্র (১৮.৯ শতাংশ) ও খাদ্য (১২ শতাংশ)।

রবিবারও এ তিন খাতের বড় হিস্যা ছিল ডিএসইর লেনদেনে। ওষুধ ও রসায়ন খাত ১৯.৮ শতাংশ, বস্ত্র ১৬.৪ শতাংশ ও খাদ্য খাতে ১৪.৩ শতাংশ লেনদেন হয়।      

সোমবার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬১ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৯৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। রবিবার এই বাজারে ১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।

সোমবার সিএসইতে ২২১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১২০টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির দর।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত