Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

মোহাম্মদ আলীর সম্মানে উচ্চ আদালতে বিচার কাজ বন্ধ

supreme-court
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রবিবার বিচার কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। 

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আপিল বিভাগ এবং বেলা ১১টা পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগ খোলা থাকবে। এরপর থেকে উভয় বিভাগের বিচার কাজ আজকের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আপিল বিভাগ।  

রবিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত নেয়।

এর আগে সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন আপিল বিভাগে হাজির হয়ে রীতি অনুসারে এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে বিচার কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান। 

তখন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, “আমরা সকালেই বসে আজকের জন্য বিচার কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আপিল বিভাগ এবং ১১টা পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগ চলবে। এরপর আজকের জন্য বিচারকাজ বন্ধ থাকবে।”

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি কিংবা অ্যাটর্নি জেনারেলের মৃত্যুতে তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিচার কাজ বন্ধ রাখা হয়।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় জানাজা শনিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বারের সভাপতি সম্পাদক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ আইনজীবীরা অংশ নেন।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী

জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত এ জে মোহাম্মদ আলী সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ দেশে আসে। এরপর শনিবার দুপুরে ধানমণ্ডির তাকওয়া মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এ জে মোহাম্মদ আলীর গ্রামের বাড়ি বগুড়া  সদর থানার কর্ণপুর গ্রামে। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তার বাবা এম এইচ খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন।

এছাড়া মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটিরও দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতিও ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত