সুপার কাপ ছিল ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল নিয়ে উন্মাদনার নতুন উদ্যোগ। কাজী সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি হওয়ার পর ২০০৯ সালে প্রথম বার আয়োজন করেন কোটি টাকার প্রাইজমানির সুপার কাপ।
২০১১ ও ১৩ সালের এই টুর্নামেন্ট ধারাবাহিকভাবে মাঠে গড়ায়নি। তবে আবারও মাঠে গড়াতে যাচ্ছে সুপার কাপ। বুধবার পেশাদার লিগ কমিটির সভায় নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। সেই অনুসারে আগামী মৌসুমে সুপার কাপের জন্য সময় রাখা হয়েছে।
সভা শেষে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, “আমরা লিগের পর পরবর্তী মৌসুমে সুপার কাপের জন্য সময় বরাদ্দ রেখেছি। লিগের শীর্ষ চারটি দল নিয়ে সুপার কাপ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
৪টি দল নিয়ে সুপার কাপ করলে দলগুলো একে অন্যের সঙ্গে দুই বার মুখোমুখি হয়ে ফাইনাল খেলবে এমনই ফরম্যাট, “দল যেহেতু ৪টি তাই স্বাভাবিক দুই বার করে খেলা হবে।’
সুপার কাপের মূল আকর্ষণ চ্যাম্পিয়ন দলের কোটি টাকার প্রাইজমানি। যদিও ২০১৩ সালে শুধু দেশি খেলোয়াড়দের এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে প্রাইজমানির অঙ্ক কমানো হয়েছিল। এক যুগ পর আবার সুপার কাপ ফিরলে প্রাইজমানি কোটি টাকা থাকবে? লিগ কমিটির চেয়ারম্যান এই বিষয়ে বলেন, স্পন্সর পাওয়ার ওপর প্রাইজমানির অঙ্ক নির্ভর করবে।
চলতি লিগ শেষ হবে ২৯ মে। দুই দিন পরই পরের মৌসুমের দলবদল শুরু হবে। এটি চলবে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত। দলবদল শেষে সেপ্টেম্বরে স্বাধীনতা কাপ; অক্টোবর থেকে লিগ ও ফেডারেশন কাপ শুরু হবে। মে মাসে সুপার কাপের জন্য সময় সূচি নির্ধারিত হয়েছে বৃহস্পতিবারের সভায়।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কার কাজ চলায় গত দুই মৌসুম লিগ ঢাকার বাইরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনা, গোপালগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ স্টেডিয়ামের পাশাপাশি ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন আহমেদ ভূইয়া স্টেডিয়ামও আগামী মৌসুমে যোগ হচ্ছে।