পোশাক শিল্পের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারের কাছে নীতি সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার সংগঠনটির সভাপতি এস এম মান্নান কচির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকেই নীতি সহায়তা প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে বিজিএমইএ।
বৈঠকে এস এম মান্নান কচি বলেন, “তীব্র ভূ-রাজনৈতিক সংকট এবং এর প্রভাবে বৈশ্বিক বানিজ্যে সৃষ্ট অস্থিরতার প্রভাবে পোশাক শিল্প এক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। উন্নত দেশগুলোয় ভোক্তাদের পোশাকের চাহিদা ও পোশাকের উপর ব্যয় কমেছে। এর বিপরীতে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সৃষ্ট বিভিন্ন কারণে শিল্পের ব্যয় বহুগুণ বেড়ে গেছে।”
এ পরিস্থিতিতে শিল্পকে টেকসই করতে ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে নীতি সহায়তা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে বিজিএমইএ।
সংগঠনের সভাপতি আরও বলেন, “ব্যবসায় সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো আরও দ্রুততর এবং সহজ করা, বিশেষ করে আমদানি করা কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দ্রুত খালাসসহ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো সহজ করাও প্রয়োজন।”
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ যত সহায়ক হবে, রপ্তানি খাতে তত বেশি সাফল্য আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গোটা দেশের অর্থনীতিই এর সুফল ভোগ করবে।”
বৈঠকে এলডিসি পরবর্তী সময়ে পোশাকখাতের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়।
এস এম মান্নান কচি আরও বলেন, “স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে ২০২৬ সালের পর বিভিন্ন বানিজ্য সুবিধা বাংলাদেশ আর পাবে না। তাই অন্তত ২০২৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন নীতি সহায়তার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় খাতগুলোয় বিনিয়োগ বাড়ানো গেলে সেটি হবে আমাদের জন্য সময়োপযোগী কৌশল।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ফুড রেশনিং চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ নিতেও প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ জানায় বিজিএমইএ।
পাশাপাশি শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য সহায়ক রাজস্ব নীতিমালা, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের উপরও জোর দেওয়া হয়।