Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

১ টাকায় চিপসের প্যাকেট, ২ টাকায় ডাবের খোসা কিনবে ডিএনসিসি

পরিত্যক্ত এসব সামগ্রী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিনে নেবে ডিএনসিসি। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
পরিত্যক্ত এসব সামগ্রী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিনে নেবে ডিএনসিসি। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

চিপস খাওয়ার পর প্যাকেটটি ফেলে না দিয়ে জমা দিলে তার বিপরীতে পাওয়া যাবে এক টাকা। ডাবের খোসা জমা দিলে পাওয়া যাবে দুই টাকা। একইভাবে ডিসপোজেবল কাপ, প্লাস্টিক বা মেলামাইনের পুরোনো পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার কিংবা কনডেন্সড মিল্কের কৌটার বিনিময়েও পাওয়া যাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ। তবে এসব দ্রব্য নির্দিষ্ট পরিমাণে জমা দিতে হবে।

সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এসব পরিত্যক্ত সামগ্রী সংগ্রহ করে তার বিনিময়ে অর্থ দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মূলত ডেঙ্গু মোকাবেলায় শহরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসেই এই উদ্যোগ।

এর সঙ্গে পরিবেশের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপসহ বিভিন্ন দ্রব্যও সংগ্রহ করা হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার গুলশানে নগর ভবনে আয়োজিত ২৬তম করপোরেশন সভা শেষে এসব কথা জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়গুলোয় গিয়ে যে কেউ এসব সামগ্রী জমা দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিটি ওয়ার্ড যেসব পরিত্যক্ত দ্রব্য কিনে নেবে, প্রতিদিন সেগুলো সংগ্রহ করে কাছের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে তা অপসারণ করবেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।

জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ, জানালেন মেয়র। তিনি বলেন, “আশা করি এর ফলে জনগণ অব্যবহৃত এসব দ্রব্যাদি যত্রতত্র ফেলা বন্ধ করবে এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি সংগ্রহ করে সিটি করপোরেশনে জমা দেবেন।”

সভায় কাউন্সিলরদের সম্মতির পর পরিত্যক্ত দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

সে অনুযায়ী, চিপস বা এ ধরনের পণ্যের ১০০টি প্যাকেট জমা দিলে বিনিময়ে পাওয়া যাবে ১০০ টাকা, ১০০টি আইসক্রিমের কাপ বা ডিসপোজেবলব গ্লাস/কাপের বিনিময়েও মিলবে ১০০ টাকা।

অব্যবহৃত প্রতি কেজি পলিথিনের জন্য ৫০ টাকা, প্রতিটি ডাবের খোসার জন্য দুই টাকা, মাটি, প্লাস্টিক, মেলামাইন বা সিরামিকের প্রতিটি পাত্রের জন্য দেওয়া হবে তিন টাকা।

একটি পরিত্যক্ত টায়ার জমা দিলে পাওয়া যাবে ৫০টাকা, প্রতিটি পরিত্যক্ত কমোড বা বেসিন ইত্যাদির জন্য ১০০ টাকা এবং প্রতি কেজি পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের সামগ্রীর জন্য দেওয়া হবে ১০ টাকা।

ঈদের পরে কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানান মেয়র।

তিনি বলেন, “ঈদের পর থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে জনগণকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন শুরু করতে হবে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা করতে হবে, সচেতনতামূলক র‍্যালি করতে হবে।

“সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা জরুরি। তাদের মধ্যে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে যে, এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য নিজেদের ঘর বাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছাদে, বারান্দায়, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলোতে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত