Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

আর্জেন্টিনার ক্লাবকে ২ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ জামাল ভূঁইয়াকে

আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দা মায়োর কর্মকর্তার সঙ্গে জামাল ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত।
আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দা মায়োর কর্মকর্তার সঙ্গে জামাল ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত।
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দল সোল দা মায়োতে গত বছর আগস্টে খেলতে গিয়েছিলেন জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু পুরো সময় না খেলে ক্লাব ছেড়ে চলে আসেন বাংলাদেশে। এরপর যোগ দেন আবাহনীতে।

ঢাকায় এসে জানান, আর্জেন্টিনার ক্লাব থেকে চুক্তিমাফিক কোনও টাকা পাননি। এরপর ফিফার কাছে বকেয়া চেয়ে আবেদন করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অবশেষে ফিফা রায় দিয়েছে, জামালের পক্ষে। চুক্তি মাফিক পুরো টাকা সোল দা মায়োকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। সোল দা মায়োর বিপক্ষে অভিযোগের পুরো বিষয়টি দেখভাল করেছেন জামাল ভূঁইয়ার আইনজীবি।

ব্রাজিলিয়ান আন্দ্রে দোস সান্তোস মেগালের বিচারক সোল দা মায়োকে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার জামালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের অঙ্কে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ ২৯৮০ টাকা।

ক্লাবটিতে ১২ হাজার ডলার করে সাত মাসের বেতন পাওনা রয়েছে। সঙ্গে ৫ শতাংশ সুদ যোগ হবে। যেটি দাঁড়ায় ৮৮ হাজার ২০০ ডলারে। পাশাপাশি ফিফার আইন ভঙ্গ করার কারণে ক্লাবটিকে আরও ৭১ হাজার ২২০ ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানেও যোগ হচ্ছে ৫ শতাংশ সুদ।  সব মিলিয়ে প্রায় ৭৪ হাজার ৭৮০ ডলার। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সোল দা মায়ো ক্লাবকে এই অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

জামাল ভূঁইয়া আর্জেন্টিনার ক্লাব থেকে পাচ্ছেন বকেয়া পাওনা। ছবি: সংগৃহীত।

বিচারে সোল দা মায়ো ফিফার ট্রাইব্যুনালের কাছে তাদের পক্ষে কোনও ডকুমেন্টস দেখাতে পারেনি। তবে এমন রায়ের পর আর্জেন্টাইন ক্লাবটি ১০ দিন সময় পাচ্ছে আপিল করার। আর্থিক বিষয়গুলো আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তা নাহলে তিন মাস স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন নিষিদ্ধ থাকবে তাদের।

ফিফার ট্রাইব্যুনাল থেকে এমন রায় পেয়ে জামাল বেশ খুশি। সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক আশা নিয়ে আর্জেন্টিনার সোল দা মায়াতো খেলতে গিয়েছিলাম। ছিলামও অনেক দিন। কিন্তু ওরা আমাকে কোনও টাকা পয়সা দেয়নি। তাই চুক্তির মাঝ পথে সেটি ছিন্ন করে চলে আসতে হয়েছিল। এসেই ফিফার কাছে অভিযোগ করি। এখন রায় পেয়ে আমি অনেক খুশি।’

জামাল যোগ করেন, ‘আসলে ওরা এমন করবে তা চিন্তাও করিনি। যখন টাকা পয়সা পাইনি। এই বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও অব্যবস্থাপনা থেকে সেটি ভঙ্গ করে চলে এসেছি। এসে ওদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করিনি। ফিফায় আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করে অবশেষে রায় পেয়েছি।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত