এবার গ্রীষ্ম শুধু আসেইনি, পই পই করে বুঝিয়ে দিচ্ছে তার দমক। তাপদাহের এই সময়ে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়েছে বহুগুণ। ফলে বয়স্কদের পাশাপাশি ছোটরাও পড়ে গেছে ঝুঁকিতে। তাই অভিভাভক হিসেবে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিরাপদ এবং শীতল রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
স্কুল একবার খুললো তো আরেকবার বন্ধও করে দিল। কিন্তু কয়েকদিন পরেই ঠিক ঠিক খুলে দেবে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তখন স্কুল পড়ুয়া সোনামনিদের দরকার হবে বিশেষ যত্ন।
জেনে নেওয়া যাক শিশুদের হিটস্ট্রোক থেকে নিরাপদে রাখার ৫টি উপায়-
পানি পান করান আপনার শিশুকে
আপনার শিশুটি নিয়মিত পানি পান করছে তো? লক্ষ্য রাখুন। শিশুদের হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হল তাদের পানি পান করানো।
এমনকি তারা তৃষ্ণার্ত না হলেও তাদের পানি পান করতে উৎসাহিত করুন। পানিতে যুক্ত করতে পারেন লেবুর রস। এতে করে শিশুর পানি পান হতে পারে মজাদার।
মুম্বাইয়ের মাদারহুড হসপিটালের কনসালটেন্ট, পেডিয়াট্রিশিয়ান এবং নিওনাটোলজিস্ট ড. সিদারাদ্দির মতে, গত একমাস ধরে শিশুদের পানিশুন্যতায় ভোগার সমস্যা বাড়ছে। এই সময়ে শিশুদের প্রচুর পরিমানে পানি পান করানোর পাশাপাশি মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে। আর এতে করে তাদের হাইড্রেটেড থাকা সহজ হবে।“
চোখ রাখুন আবহাওয়া পূর্বাভাসে
চোখ রাখুন প্রতিদিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসে। দিনের পরকল্পনা সাজান তার ওপর ভিত্তি করে। এই গরমে বাড়ির বাইরে যত কাজ আছে সব বাদ দিন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা – অন্তত এই সময়টুকু নিজেও যেমন বার হবেন না, তেমনি আপনার স্কুল পড়ুয়া শিশুটিও যেন খেলাচ্ছলে বেড়িয়ে না পড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। স্কুলে যাওয়ার সময় তার হাতে দিন ছাতা, পানির বোতল এবং ছোট একটি পাখা। বাজারে ব্যাটারিচালিত ছোট পাখাগুলোও এক্ষেত্রে সহায় হতে পারে।
গরমে আরামের পোশাক
আপনার শিশুকে হালকা এবং ঢিলেঢালা জামা পরতে দিন। বাতাস চলাচল করতে পারে এমন সুতির জামা হলে খুবই ভালো। তাকে পরতে দিন হালকা রঙের জামা। কালো কিংবা গাড় রঙের যাবতীয় জামাকে এই গরমে না বলুন। হালকা রঙ সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি কম শোষণ করতে পারে। এতে করে আপনার সোনামনির শরীর সূর্যের আঁচ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।
ঠান্ডা এবং শুকনো রাখুন আপনার শিশুকে
শিশুরা ছুটোছুটি করবেই। তবুও খেয়াল রাখতে হবে গরমে আপনার শিশু ঘেমে যাচ্ছে না তো? খুব বেশি ঘেমে যায় এমন কাজ থেকে তাকে বিরত রাখুন। তার পরিবর্তে ইনডোর গেমস কিংবা সাঁতারের মতো কার্যকলাপে তাকে উৎসাহিত করুন।
খেলাধুলার মাঝাখানে শিশুদের ছায়াতে জিরিয়ে নিতে এবং বার বার পানি পান করতে উৎসাহ দিন। দিনে কমপক্ষে ১৩ গ্লাস পানি পান করছে কিনা খেয়াল রাখুন। ঘেমে গেলে ঘাম মুছে দিন। বার বার হাত মুখ ধুতে দিন তাগাদা।
পর্যাপ্ত গোসল
আপনার শিশুটি নিয়মিত গোসল করছে তো? কাজের ব্যস্ততায় হয়তো চোখেই পড়েনি আপনার। এদিকে দর দর করে ঘেমে , সে ঘাম আবার গায়েই শুকিয়ে গেছে। এমন বার বার হলে নির্ঘাত ঠান্ডা লেগে যাবে আপনার শিশুর। আর তাই নিয়মিত গোসল করাতে হবে তাকে। গরমে ঘেমে গেলে দ্বিতীয় বার গোসল করাতেও ভুলবেনা। এ ছাড়া মাঝে মাঝে হাত-মুখ ধুয়ে দিতে হবে, শরীর মুছে দিতে হবে।