Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ইয়েমেনে ডাকল হুতিরা

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা। ছবি: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা। ছবি: রয়টার্স।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ইয়েমেনে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমাতে শিক্ষার্থীদের ধরপাকড়ের পাশাপাশি সাময়িকভাবে বহিষ্কারও করা হচ্ছে।

কিন্তু এতে আগুনে ঘি ঢালার মতো হয়। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পূর্ব উপকূলের নিউ ইয়র্ক থেকে পশ্চিম উপকূলের লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের অর্ধশতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা বন্ধ, অস্ত্র তৈরি ও সরবরাহকারী এবং যুদ্ধ থেকে লাভবান কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে এই বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু দাবি না মেনে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করেছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ইয়েমেনের হুতিরা এই প্রস্তাব দিয়েছে।

হুতিদের নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, “ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর বিষয়ে আমরা আন্তরিক। আমরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে এই যুদ্ধে আমাদের সাধ্যমতো সব উপায়ে লড়াই করছি।”

সানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের মানবিক অবস্থানের প্রশংসা করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা চাইলে ইয়েমেনে এসে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।

সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীরা যে ধরনের আচরণের শিকার হচ্ছেন, সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড তার নিন্দা জানাচ্ছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করা হচ্ছে।”

বিবৃতিতে একটি ইমেল ঠিকানা দিয়ে কোনও শিক্ষার্থী তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করতে চাইলে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হুতিদের শিক্ষার প্রস্তাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ ইয়েমেনিদের ব্যঙ্গের ঢেউ উঠেছে। এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী দুজন পশ্চিমা নাগরিকের ইয়েমেনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত মাদকজাতীয় পাতা কাত চিবানোর একটি ছবি পোস্ট করেছেন। দৃশ্যটিকে তিনি সানা ইউনিভার্সিটিতে পঞ্চম বর্ষে থাকা আমেরিকান ছাত্রদের অবস্থা বলে বর্ণনা করেছেন।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হুতিরা লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। লোহিত সাগরকে আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করা এডেন উপসাগরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান সমর্থিত হুতিরা।

এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এবছর হুতি মিলিশিয়াকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় ফিরিয়ে এনেছে। কারণ লোহিত সাগরে ও এর আশেপাশে জাহাজে তাদের হামলা বিশ্ব অর্থনীতিতে আঘাত করেছে।

তথ্যসূত্র : রয়টার্স

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত