Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

ডিএমপি ‘বিব্রত’, উদীচী বলছে ‘অপ্রয়োজনীয়’

পহেলা বৈশাখে শাহবাগে সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান করেছিল উদীচী।
পহেলা বৈশাখে শাহবাগে সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান করেছিল উদীচী।
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

পহেলা বৈশাখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে সন্ধ্যার পরও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান চালিয়ে তাতে যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে ‘বিব্রত’ হওয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এদিকে এই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানানোকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মন্তব্য এসেছে উদীচীর কাছ থেকে।

এবার বাংলা নববর্ষ বরণের সব আয়োজন সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পুলিশের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশনা মানার অনুরোধও রাখা হয়েছিল।

তবে সংস্কৃতিকর্মীরা এনিয়ে আপত্তি তোলে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সন্ধ্যার পরও অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। দেশের সবচেয়ে পুরনো সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর একটি উদীচী রবিবার পহেলা বৈশাখের দিন শাহবাগে সন্ধ্যা ৬টার পর ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খল’ শিরোনামে অনুষ্ঠান করে।

উদীচীর অনুষ্ঠান নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোর পর সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ এক বিবৃতি পাঠায়। তাতে বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি ‘অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর’।

“নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনও কাম্য নয়।”

উদীচীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছে ডিএমপি।

নিরাপত্তার যে কোনও ঝুঁকি এড়াতে সন্ধ্যার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা থাকার বিষয়টি উল্লেখ করার পাশাপাশি উদীচীর অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় জঙ্গি হামলার তথ্যও তুলে ধরা হয় বিবৃতিতে।

পুলিশের বিবৃতিতের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত দে সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “পহেলা বৈশাখ বা এই জাতীয় যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডগুলো ধরাবাঁধা নিয়ম করে সঙ্কুচিত করার যে নীতি সরকার নিয়েছে, তা আমরা মানি না। সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রগুলো অবাধ ও উন্মুক্ত হওয়া উচিৎ।

“এসব যেন অবাধে পরিচালিত হতে পারে, তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এটাকে সঙ্কুচিত করার নীতি গ্রহণ করে না। আমাদের এই বক্তব্য দেওয়ার জন্যই আমরা সেইদিন কর্মসূচি পালন করেছি।”

“এখন আবার সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এটাকে ধরে যেসব বক্তব্য দিচ্ছে, সেসব বক্তব্যকে আমরা বিব্রতকর এবং অপ্রয়োজনীয় মনে করি,” বলেন অমিত।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত