Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

পহেলা বৈশাখ আসলেই লাল খাতা বেচেন তারা

বছরের অন্য সময় বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকলেও পহেলা বৈশাখে খাতা বিক্রি করেন তারা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
বছরের অন্য সময় বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকলেও পহেলা বৈশাখে খাতা বিক্রি করেন তারা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

রাজধানীর পুরান ঢাকার কোতোয়ালী রোড। ব্যস্ত এই সড়কের পাশে লাল রঙের বিভিন্ন আকারের খাতার স্তুপ নিয়ে বসেছেন মো. আলমগীর হোসেন। কোনও খাতা ঢাউস আকৃতির, কোনওটা অনেক ছোট। তবে প্রতিদিন নয়, পহেলা বৈশাখের একদিনই এভাবে খাতা বিক্রি করেন তিনি।

শুধু আলমগীর নন তার মতো আরও কয়েকজনকে খাতার স্তুপ নিয়ে রবিবার বসে থাকতে দেখা গেল পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার ও শাঁখারীবাজার এলাকায়। তারা সবাই একদিনের খাতা ব্যবসায়ী। বছরের অন্য সময় বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকলেও পহেলা বৈশাখে খাতা বিক্রি করেন তারা।     

সকাল সন্ধ্যাকে মো. আলমগীর বলেন, “সারা বছর পুরান ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করি। কিন্তু পহেলা বৈশাখে বেশিরভাগ মার্কেট বন্ধ থাকায় কোনও কাজ থাকে না। তবে এই দিন আবার অনেক দোকানে হালখাতার আয়োজন করা হয়।”

“সেসব দোকানে হিসাবের নতুন টালি খাতা খোলা হয়। তাই লাল রঙের টালি খাতার চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এজন্য বাড়তি আয়ের আশায় এদিন খাতা নিয়ে রাস্তার ধারে বসে পড়ি। এতে ভালোই আয় হয়।”

নজরুল নামে আরেক খাতা বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় সকাল সন্ধ্যার।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা হালখাতার আয়োজন করুক আর না করুক, এই দিনে নতুন হিসাবের খাতা খুলবেই। দোকানের প্রয়োজন অনুসারে কেউ বড় খাতা নেন, কেউবা মাঝারি, কেউ ছোট খাতা নেন। তাই বিক্রি ভলোই হয়।

সকাল থেকে ২শ’র বেশি খাতা বিক্রি হয়েছে বলে জানান নজরুল।

তার পাশেই খাতা বিক্রি করছিলেন মো. রশীদ। পুরান ঢাকার প্রসন্নপ্রসাদ লেনে একটি খাতার কারখানায় কাজ করেন তিনি। পহেলা বৈশাখে কারখানা বন্ধ থাকায় সড়কের পাশে বসে খাতা বিক্রি করছেন বলে জানান রশীদ।

তিনি বলেন, “সকালে কারখানা মালিকের কাছ থেকে ৫০০ খাতা এনেছি। তার বেশিরভাগই বিক্রি হয়ে গেছে। যেগুলো বিক্রি হবে না সেগুলো আবার কারখানায় ফেরত দেব। আর যেগুলো বিক্রি হবে সেগুলোর পাইকারি দাম মালিককে দিয়ে দেব। এতে বাড়তি কিছু টাকা আয় হয়।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত