Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

বাংলাদেশ-কানাডার দুই জুনায়েদ সিদ্দিকী

বাংলাদেশের জুনায়েদ সিদ্দিকী (বামে), কানাডার জুনায়েদ সিদ্দিকী (ডানে)।
বাংলাদেশের জুনায়েদ সিদ্দিকী (বামে), কানাডার জুনায়েদ সিদ্দিকী (ডানে)।
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলা কোরে অ্যান্ডারসন এবারের বিশ্বকাপ মাতাবেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে। ভারত, পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া আরও অনেক ক্রিকেটার এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ওমান, নামিবিয়ার মত দলগুলোর জার্সিতে।

বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সময় কানাডার এমন একটি নামে চোখ আটকে গিয়েছিল অনেকের। তিনি জুনায়েদ সিদ্দিকী। তাহলে কি বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার জুনায়েদ জাতীয়তা বদলে খেলবেন কানাডার হয়ে?

না, এমন কিছু ঘটেনি। কানাডার জুনায়েদ সিদ্দিকী অভিবাসী হলেও বাংলাদেশি নন। ৩৯ বছর বয়সী জুনায়েদের জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে। এরপর জাতীয়তা বদলে নাগরিকত্ব নেন কানাডার। মূলত তিনি লেগ স্পিনার, পাশাপাশি করতে পারেন ব্যাটিংও। ২০ টি-টোয়েন্টিতে উইকেট নিয়েছেন ১৪টি আর রান করেছেন ৫১।

কানাডার জুনায়েদ সিদ্দিকী বিশ্বকাপ খেলবেন  ৩৯ বছর বয়সে। অথচ বাংলাদেশের জুনায়েদ সিদ্দিকীর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে গেছে ২০১২ সালে। তখন তার বয়স মাত্র ২৪ বছর! যদিও টি-টোয়েন্টি ছিল তার প্রিয় ফরম্যাট।

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী।

বাংলাদেশে ২০০৬ সালে এই ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট হয়েছিল প্রথমবার। সেখানে প্রথম বাংলাদেশি হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন জুনায়েদই। এরপর ডাক পান জাতীয় দলে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক পাকিস্তানের বিপক্ষে।

 সেই ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছিল ৪ উইকেটে। তবে ৪৯ বলে ৬ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ৭১ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার বাংলাদেশের অভিষিক্ত ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীর। শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ আসিফ, উমর গুলদের মত বোলারদের পাত্তাই দেননি জুনায়েদ।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মাত্র ৭টা টি-টোয়েন্টি খেলেছেন জুনায়েদ। তাতে তার ১৪৭.২২ স্ট্রাইক রেট রীতিমতো চোখ ধাঁধানো। অন্তত ৭ ম্যাচ খেলেছেন এমন বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেটই সবচেয়ে বেশি।  তারপরও জাতীয় দলে ক্যারিয়ারটা লম্বা হল না কেন?

 নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা টানা ব্যর্থতায় একের পর এক সুযোগ পেলেও সেই সৌভাগ্য হয়নি জুনায়েদের। এজন্য দায়ী কে? জুনায়েদ কাউকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন না। বরং মেনে নিলেন নিজের ভাগ্যটা, ‘‘এই প্রশ্নটা সবাই করে আমাকে। আমি বলব ভাগ্য সহায় ছিল না। সে সময় আমি মারতে পরতাম, বল ছাড়তে পারতাম না। তখনই আমার টেস্ট অভিষেক হল, যেখানে বল ছাড়াটা একটা শিল্প। আমি সেটা পারিনি। আর টেস্টের খারাপ পারফর্ম্যান্সে বাদ পড়েছি টি-টোয়েন্টি থেকেও।’’

এজন্য দল নির্বাচনের দায়িত্বে থাকাদের জুনায়েদের পরামর্শ, ‘‘যারা যেই ফরম্যাটে স্বাচ্ছন্দ্য তাদের সেই ফরম্যাটে খেলতে দেওয়া উচিত। সবাইকে সব ফরম্যাটে খেলালে সাফল্য পাওয়া কঠিন।’’

গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুনায়েদ নিজেই জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ‍ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে কোচিংয়ের লেভেল টু শুরুর করার কথা। এখন ভালো কোচ হওয়াই লক্ষ্য তার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত